ক্রাইমবার্তা ডেস্করিপোর্ট:চট্টগ্রামের কর্ণফুলী উপজেলায় এক বাড়ির চার নারীকে ধর্ষণের ঘটনার প্রমাণ পাওয়া গেছে।চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্বাস্থ্য পরীক্ষায় ওই নারীদের ধর্ষণের প্রমাণ পাওয়া যায় বলে জানিয়েছে কর্ণফুলি থানার পুলিশ।
ধর্ষিত নারীদের তিনজন প্রবাসী তিন ভাইয়ের স্ত্রী। অন্যজন বেড়াতে আসা ননদ। গৃহবধূদের একজন ছয় মাসের অন্তঃসত্ত্বা ছিলেন।
১২ ডিসেম্বর গভীর রাতে কর্ণফুলী থানার বড়উঠান ইউনিয়নের ওই বাড়িতে ডাকাতির পর তাদের ধর্ষণ করা হয়।
এ ঘটনার পর পটিয়া ও কর্ণফুলী থানায় গিয়ে হয়রানির শিকার হন নিপীড়িত নারীরা।
পরে ভূমি প্রতিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরীর হস্তক্ষেপে ঘটনার পাঁচ দিন পর ১৭ ডিসেম্বর রাতে মামলা নেয় কর্ণফুলী থানার পুলিশ।
থানার ওসি সৈয়দুল মোস্তফা জানান, মামলার পর ঘটনার সঙ্গে জড়িত অভিযোগে মোহাম্মদ সুমন ওরফে আবু (২৩) ও কালু নামে দুজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
ধর্ষিত নারীদের পরিবারের সদস্যরা জানান, ঘটনার পর সকালে পরিবারের সদস্যরা কর্ণফুলী থানায় মামলা করতে গেলে পুলিশ তাদের পটিয়া থানায় পাঠায়।
পটিয়া থানার পুলিশ তাদের আবার কর্ণফুলী থানায় পাঠায়। পরে ভূমি প্রতিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরীর নির্দেশে পুলিশ সক্রিয় হয়।
মামলা নিতে বিলম্ব করার কথা স্বীকার করেন কর্ণফুলী থানার ওসি সৈয়দুল মোস্তফা।
তিনি বলেন, প্রথমে তারা ধর্ষণের কথা বলেননি। গ্রামের নামও ভুল বলেছিলেন। এ জন্য সেটি পটিয়া থানায় পড়ায় তাদের সেখানে পাঠানো হয়েছিল। ঠিকানা বলতে ভুল করায় মামলা গ্রহণে দেরি হয়েছে।
২০ডিসেম্বর২০১৭,বুধবার:ক্রাইমর্বাতাডটকম/প্রতিনিধি/আসাবি