ক্রাইমবার্তা রিপোর্ট:জিয়া পরিবারের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ করে মন্তব্য করায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে উকিল নোটিশ পাঠিয়েছেন বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া।
এতে জিয়া পরিবারের বিরুদ্ধে দুর্নীতিসংক্রান্ত অপবাদমূলক বক্তব্য দেয়ায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে খালেদা জিয়ার কাছে নিঃশর্ত ক্ষমা প্রার্থনা করার আহ্বান জানানো হয়েছে।
মঙ্গলবার কুরিয়ার সার্ভিসের মাধ্যমে খালেদা জিয়ার পক্ষে এ উকিল নোটিশ পাঠান তার আইনজীবী ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দিন খোকন।
বুধবার এর সত্যতা নিশ্চিত করেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তিনি বলেন, জিয়া পরিবারের দুর্নীতিসংক্রান্ত বক্তব্যকে রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বরাবর উকিল নোটিশ পাঠানো হয়েছে।
উকিল নোটিশে প্রধানমন্ত্রীকে উদ্দেশ্য করে বলা হয়েছে, গত ৭ ডিসেম্বর গণভবনে মিডিয়া ব্রিফিংয়ে আপনি খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে কিছু মানহানিকর বিবৃতি দিয়েছেন। এতে আপনি বলেছেন- সৌদি আরবে খালেদা জিয়া একটি শপিংমলের মালিক ও সেখানে তার বিপুল সম্পদ রয়েছে এবং তিনি মানিলন্ডারিংযের সঙ্গেও জড়িত। আপনি পুত্রদের সম্পর্কেও মিথ্যা উক্তি করেছেন।
খালেদা জিয়া এবং তার পুত্রদের সম্পর্কে আনিত অভিযোগ সাজানো, বানোয়াট ও উদ্দেশ্যপ্রণোদিত এবং বিদ্বেষমূলক বলে উকিল নোটিশে উল্লেখ করা হয়েছে।
এতে অভিযোগ করা হয়েছে, খালেদা জিয়ার সুনাম বিনষ্ট করার হীন উদ্দেশ্য পরিকল্পিতভাবে’ প্রধানমন্ত্রী এসব অভিযোগ এনেছেন।
উকিল নোটিশে দাবি করা হয়েছে, দুর্নীতির অভিযোগের মাধ্যমে খালেদা জিয়ার রাজনৈতিক ক্যারিয়ার ধ্বংসের চেষ্টা করা হয়েছে। এর মাধ্যমে খালেদা জিয়ার অপূরণীয় লোকসান ও ক্ষতি হয়েছে।
এ জন্য প্রধানমন্ত্রীকে আইনত দায়ী বলে অভিযুক্ত করে তাকে ক্ষমা চাওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন খালেদা জিয়ার আইনজীবী।
ক্ষমা চাওয়ার বিষয়টি ৩০ দিনের মধ্যে সব জাতীয় দৈনিকের প্রথম পাতায়, ইলেকট্রনিক মিডিয়া, অনলাইন সংবাদপত্র ও সামাজিক মাধ্যমে প্রচার করতে বলা হয়েছে।
অন্যথায় বিদ্বেষপূর্ণ ও মানহানিকর বক্তব্য দেয়ায় প্রধানমন্ত্রীর কাছ থেকে ক্ষতিপূরণ আদায়ে ব্যবস্থাগ্রহণ করা হবে বলে উকিল নোটিশে উল্লেখ করেন খালেদা জিয়ার আইনজীবী।
২০ডিসেম্বর২০১৭,বুধবার:ক্রাইমর্বাতাডটকম/প্রতিনিধি/আসাবি