মোঃ রিয়াজুল ইসলাম;নাটোর সংবাদদাতা
নাটোরের নর্থবেঙ্গল সুগার মিলের সিবিএ নির্বাচনে আওয়ামী লীগ ছাড়া অন্য সকল প্রার্থীদেন নির্বাচনের মনোনয়ন পত্র জমাদানে বাধা প্রদান করা হয়েছে। বিএনপি সমর্থিত সিবিএ’র বর্তমান সভাপতি আব্দুল হাই এর মনোনয়নপত্র ছিনিয়ে নেয়া হয়েছে। ওইসব প্রার্থীরা মিল কর্তৃপক্ষ ছাড়াও জেলা প্রশাসন ও পুলিশকে জানিয়েও কোন প্রতিকার পাননি। কোন প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী না থাকায় বুধবার বিকেলে তাদের সকলকেই বিজয়ী ঘোষণা করেছে নির্বাচন কমিশন। মনোনয়ন পত্র জমা দিতে না পারা প্রার্থী এবং ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, নাটোরের নর্থবেঙ্গল সুগার মিলের সিবিএ নির্বাচনের তফশিল অনুযায়ী মঙ্গলবার সকাল থেকে রাত আটটা পর্যন্ত ছিল মনোনয়নপত্র উত্তোলন ও জমা দানের দিন। ওই দিন বিএনপি সমর্থিত সিবিএ’র বর্তমান সভাপতি আব্দুল হাই এবং সাত বারের যুগ্ম সম্পাদক অফিস সহকারী (সংস্থাপন) মোঃ আব্দুল বাতেনসহ সিবিএ’র ১৭টি পদে বিভিন্ন দলের মনোনয়ন প্রত্যাশীরা মনোনয়নপত্র উত্তোলন করেন। বিকেলে সকলেই মনোনয়নপত্র জমা দানের জন্য প্রধান নির্বাচন কমিশনার মিলের ডিজিএম জাকির হোসেনের দপ্তরে যাওয়ার সময় ১৫ থেকে ২০ জন বহিরাগত যুবক আওয়ামী লীগ ছাড়া অন্য সকল প্রার্থীকে ভবনের গেট থেকে জোর করে ফিরিয়ে দেন। ফিরতে না চাইলে তারা বিএনপি সমর্থিত সিবিএর বর্তমান সভাপতি আব্দুল হাইকে লাঞ্ছিত করে তার মনোনয়নপত্র ছিনিয়ে নেন। ওই সুগার মিলের সাত বারের নির্বাচিত যুগ্ম সাধারন সম্পাদক অফিস সহকারী (সংস্থাপন) মোঃ আব্দুল বাতেন তার মনোনয়ণ পত্র জমা দিতে বাধা দেয়ার বিষয়টি স্বীকার করে বলেছেন এটা খুবই দুঃখজনক। বিএনপি সমর্থিত অপর সভাপতি প্রার্থী শহিদুল ইসলাম সহ অন্যান্য মনোনয়ন পত্র জমা দিতে না পারা প্রার্থীরা বলেছেন, আগে থেকে নিরাপত্তাহীনতার বিষয়টি মিল কর্তৃপক্ষ ছাড়া জেলা প্রশাসন ও পুলিশকে জানিয়েও কোন লাভ হলনা। তারা বলেছেন, নির্বাচন পরিচালনাকারী একজন সহকারী কমিশনার চিনি ও খাদ্য শিল্প কর্পোরেশনের চেয়ারম্যানের ঘনিষ্ঠজন হিসেবে পরিচয় দিয়ে প্রভাব খাটিয়ে তিনিই এসব অনিয়ম করছেন। তারা বলেন, নর্থবেঙ্গল সুগার মিলের সিবিএ সংগঠনটি অরাজনৈতিক। এবারেই প্রথমবার থানা আওয়ামী লীগ দলীয় প্যানেল দিয়ে নির্বাচনে অংশ গ্রহণ করায় প্রার্থীরা জোর করে বিজয় ছিনিয়ে নিয়েছে। এ সব বিষয়ে জানতে চাইলে প্রধান নির্বাচন কমিশনার মিলের ডিজিএম জাকির হোসেন বলেন, মৌখিক ভাবে নিরাপত্তাহীনতার অভিযোগ পেলেও তারা লিখিত কোন অভিযোগ পান নাই আর সে কারনেই কোন ব্যবস্থা নেয়া যায়নি। মনোনয়নপত্র জমাদানকারী সকলের মনোনয়ন বৈধ হওয়ায় এবং তাদের কোন প্রতিদ্বন্দ্বী না থাকায় বুধবার বিকেলে তাদের সকলকেই বিজয়ী ঘোষণা করা হয়েছে। আগামী ২৭ ডিসেম্বর এই নির্বাচন অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা ছিল। আওয়ামী লীগ থেকে একক ভাবে সভাপতি নজরুল ইসলাম, সহ-সভাপতি গোলাম কাওসার, সাধারণ সম্পাদক স্বপন পাল, সহ-সাধারণ সম্পাদক দেলোয়ার হোসেন পিন্টু, সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুল মোমিন, প্রচার সম্পাদক আব্দুর রশিদ, ধর্ম ও ক্রীড়া বিষয়ক সম্পাদক নাহিদুজ্জামান, অর্থ সম্পাদক মঞ্জুর রহমান এবং সদস্য পদে হাকিমুর রশিদ লিটু, আমিনুল হক মিঠু, আকরাম হোসেন, ইসলাম হোসেন, আমিরুল ইসলাম টিপু, মোজাম্মেল হক, সেন্টু মিয়া, শামশুদ্দীন বেপারী ও গায়ত্রী সাউ বিজয়ীরা হলেন।