ক্রাইমবার্তা ডেস্করিপোর্ট:নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক ড. মুবাশ্বার হাসান সিজার বলেছেন, গত ৭ নভেম্বর তুলে নিয়ে যাওয়ার পর তাকে মেরে ফেলার বিষয়ে অপহরণকারীদের মধ্যে বাকবিতণ্ডা হয়েছিল।
অপহরণের দেড় মাস পর রাজধানীর দক্ষিণ বনশ্রীর বাসায় ফেরার পর কথা বলেন তিনি।
নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজবিজ্ঞান অনুষদের সহকারী অধ্যাপক ড. সিজার তার অপহরণের বিষয়ে শুক্রবার সকালে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন।
তিনি বলেন, বৃহস্পতিবার দিবাগত রাতে চোখ বেঁধে গাড়িতে করে এয়ারপোর্টে রেখে যায় অপহরকারীরা।
গত ৭ নভেম্বর অপহরণের শিকার হয়েছিলেন জানিয়ে ড. সিজার বলেন, অপহরণের পর আমাকে মেরে ফেলা হবে কিনা সেটি নিয়ে অপহরণকারীদের মধ্যে বাকবতিণ্ডা হয়েছিল।
তিনি বলেন, এতদিন একটি বদ্ধ ঘরে তাকে আটকে রাখা হয়েছিল। খাবার হিসেবে দেয়া হতো হোটেলের ভাত। অপহরণকারীদের মধ্যে নানা সময় টাকা-পয়সা নিয়ে কথা হয় বলে জানান সিজার।
অপহরণের সময় সঙ্গে থাকা ২৭ হাজার টাকা অপহরণকারীরা রেখে দিয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, তাদের মূল উদ্দেশ্য কি ছিল, সেটি আমি বুঝতে পারছি না।
শিক্ষক-গবেষক মুবাশ্বার হাসান সিজার গত ৭ নভেম্বর থেকে নিখোঁজ ছিলেন।
সেদিন আগারগাঁওয়ে একটি সভায় যোগদান শেষে ভাড়ায় চালিত গাড়ি নিয়ে বাসার উদ্দেশে রওনা দেন তিনি। পথিমধ্যেই বন্ধ হয়ে যায় তার মোবাইল ফোন। এর পর থেকেই মুবাশ্বার হাসান সিজারের খোঁজ পাওয়া যাচ্ছিল না।
বৃহস্পতিবার রাতে তিনি দক্ষিণ বনশ্রীর বাসায় ফিরেন বলে তার পরিবারের পক্ষ থেকে জানানো হয়।
শুক্রবার সকালে মুবাশ্বারের বোন তামান্না তাসমিন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে লিখেছেন- ‘আল্লাহতাআলার অশেষ রহমতে গতকাল (বৃহস্পতিবার) দিবাগত রাত ১টায় আমার ভাইয়া সুস্থ অবস্থায় বাসায় ফিরেছে’। ২২ডিসেম্বর,২০১৭ শুক্রুবার:ক্রাইমর্বাতাডটকম/প্রতিনিধি/আসাবি