ক্রাইমবার্তা রিপোর্ট:আওয়ামী লীগের শাসনামলে স্বাধীন গণমাধ্যম ও সাংবাদিক সরকার কর্তৃক গুরুতর চাপের আওতায় আসেন বলে জানিয়েছে অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল। সংস্থাটির ২০১৬-১৭ ’র রিপোর্ট-এ এতথ্য প্রকাশ করা হয়েছে।
অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল বলছে, চলতি বছরের ফেব্রুয়ারি মাসে ডেইলি স্টার পত্রিকার সম্পাদক মাহফুজ আনামের বিরুদ্ধে ৪০টিরও বেশি রাষ্ট্রদ্রোহ এবং মানহানির মামলা করা হয়। তার বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ অনুযায়ী- তিনি সামরিক গোয়েন্দা সংস্থার চাপের মুখে ১৯৯০ সালের সামরিক শাসনের সময় শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে অস্পষ্ট দুর্নীতির অভিযোগ প্রকাশ করেন। দায়ের করা মামলাগুলো হাইকোর্ট দ্বারা স্থগিত ছিল। কিন্তু ভবিষ্যতে মামলাগুলো সক্রিয় করা হতে পারে।
গত এপ্রিলে ৮২ বছর বয়সী সাংবাদিক ও বিরোধী সমর্থক শফিক রেহমানকে প্রধানমন্ত্রীর ছেলে জয় ওয়াজেদকে ‘হত্যা ও অপহরণ’ করার অভিযোগে জড়িত সন্দেহে গ্রেফতার করা হয় উল্লেখ করে রিপোর্টে বলা হয়েছে, পরবর্তীতে আগস্ট মাসে চার মাসেরও বেশি সময় ধরে জামিনে নির্জন কারাবাসের পর মুক্তি দেওয়া হয়।
সরকার পরবর্তীতে ক্রমবর্ধমান মতপ্রকাশের স্বাধীনতা সীমিত করার জন্য দমনমূলক বিভিন্ন আইনপ্রণয়নের ব্যবহার অব্যাহত রাখে উল্লেখ করে অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল বলছে- তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি আইন ব্যবহার করা হয়, যা অবাধে অনলাইনে অভিব্যক্তি প্রকাশের সুযোগকে সীমাবদ্ধ করে।
মানবাধিকার সংগঠন অধিকারের বরাত দিয়ে অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল বলেছে, অধিকারের অনুসন্ধান অনুযায়ী সাংবাদিক, সংবাদকর্মীসহ ২০১৫ সালে ৩৩টি এবং ২০১৪ সালে ১৪ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
২২ডিসেম্বর,২০১৭ শুক্রুবার:ক্রাইমর্বাতাডটকম/প্রতিনিধি/আসাবি