ক্রাইমবার্তা রিপোট:সাতক্ষীরা: সবার সাথে বাড়িতে মুক্তা মনি। যান্ত্রনিক যন্ত্রনার শহর আর চার দেয়ালে বন্ধী জীবণের অবসান মিল যেন তার। আর যেন তাকে হাসপাতালে থাকতে না হয় এমন আকুতি তার । বাড়িতে ভীড় পড়েছে। আত্নীয় স্বজন ছাড়াও প্রতিবেশি,স্কুলের সহপাঠিরা। সবার মুখে এখন একটায় কথা মুক্তা মনি। প্রধান মন্ত্রী সহ সকলের দৃষ্টি মুক্তা মনি।
ফিরেই উৎফুল্ল রক্তনালীর টিউমারে আক্রান্ত শিশু মুক্তামণি। সকলের আন্তরিকতা ও চিকিৎসাসেবায় খুশি সে। মুক্তামণি বলেন, ডাক্তার স্যার, সাংবাদিক ভাইয়েরাসহ সকলেই খুব আন্তরিকতার সঙ্গে আমাকে দেখেছেন। সুস্থ করার জন্য সাধ্যমত চেষ্টা করেছেন। বাড়ির জন্য মনটা খারাপ লাগছিল এজন্য ডাক্তার স্যারদের বলে এক মাস ছুটি নিয়েছে।
শুক্রবার সন্ধ্যা সাড়ে ৬টায় সাতক্ষীরা সদরের বাশদহ ইউনিয়নের কামারবাইশা গ্রামে নিজ বাড়িতে পৌঁছায় মুক্তামণি। এর আগে গত ৬ মাস ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে ডাক্তার সামন্ত সেনের তত্ত্বাবধানে চিকিৎসাধীন ছিল মুক্তামণি। চিকিৎসাসেবার সকল ব্যয়ভার বহন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।মুক্তামণির বাবা ইব্রাহিম গাজী জানান , চিকিৎসাসেবায় আমরা খুশি। সকলেই খুব আন্তরিকতার সঙ্গে দেখেছন।সাংবাদিকদের ধন্যবাদ জানিয়ে তিনি বলেন, মিডিয়ায় ব্যাপকভাবে প্রচার হওয়ার পর চিকিৎসার সকল দায়িত্ব নেন মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। কোনো ত্রুটি হয়নি। সকলেই খুব আন্তরিক ছিলেন। বহু মানুষ হাসপাতালে মুক্তামণিকে দেখতে গিয়েছেন। যার সবাইকে আমি চিনি না। সকলকে ধন্যবাদ। আগামী একমাস পর আবার যেতে বলেছেন ডাক্তাররা।
ডাক্তাররা বুঝিয়ে দিয়েছেন আগামী এক মাস কিভাবে মুক্তামণির পরিচর্যা করতে হবে।
এদিকে মুক্তামণি বাড়িতে ফিরে সকলের সঙ্গে গল্প করে সময় পার করছে। বন্ধুদের সঙ্গে খেলাধুলা আর স্কুলে যেতে চায় মুক্তামণি।
উল্লেখ্য, বিরল রোগে আক্রান্ত মুক্তামনিকে নিয়ে ‘লুকিয়ে রাখতে হয় মুক্তামণিকে’ শিরোনামে গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশিত হয়। সংবাদ প্রকাশের পর চিকিৎসার দায়িত্ব নেন স্বাস্থ্য বিভাগের সচিব সিরাজুল ইসলাম খান। এরপর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তার চিকিৎসার সকল দায়িত্ব গ্রহণ করেন। বিভিন্ন গণমাধ্যমেও সংবাদটি গুরুত্বের সঙ্গে প্রচার হয়।