ক্রাইমবার্তা ডেস্করিপোট:বেনাপোল প্রতিনিধি:বেনাপোল চেকপোষ্ট দিয়ে গত এক সপ্তাহে ভারত-রাংলাদেশ প্রায় ৬৪ হাজার ১৩৩ জন যাত্রী যাতায়াত করেছে।
ছাত্র-ছাত্রীদের বার্ষিক পরীক্ষা শেষ হওয়ায় আত্মীয়ের বাড়ী,ডাক্তার দেখানো ও ভ্রমনের উদ্দেশ্যে বেনাপোল দিয়ে পাসপোর্টযাত্রী যাতায়াত বৃদ্ধি পেয়েছে।
এই এক সপ্তাহে প্রতিদিন বেনাপোল বন্দর দিয়ে প্রায় ৯ হাজার যাত্রী বাংলাদেশ-ভারত যাতায়াত করেছে।
গতান এক সপ্তাহে ৬৪ হাজার ১৩৩ জন পাসপোর্ট যাত্রী বেনাপোল-হরিদাশপুর চেকপোস্ট দিয়ে যাতায়াত করেছে।
বেনাপোল সীমান্ত থেকে কলকাতার দূরত্ব মাত্র ৮৪ কিলোমিটার। যার কারণে যোগাযোগ ব্যবস্থা ভালো হওয়ায় অল্প খরচে-স্বল্প সময়ে কলকাতাসহ ভারতের বিভিন্ন জায়গায় অনায়াসে যাওয়া যায়।
অন্য সময়ে প্রতিদিন ৩ থেকে ৫ হাজার পাসপোর্ট যাত্রী বেনাপোল বন্দর দিয়ে ভারতে গমনাগমন করে থাকে। ছাত্র-ছাত্রীদের বার্ষিক পরীক্ষা শেষ হওয়ায় এ সংখ্যা বেড়েছে। এখন গড়ে প্রতিদিন প্রায় ৯ হাজার পাসপোর্ট যাত্রী বেনাপোল দিয়ে ভারত-বাংলাদেশ যাতায়াত করছেন।
গত ১৭ ডিসেম্বর থেকে ২২ ডিসেম্বর পর্যন্ত বেনাপোল চেকপোস্ট দিয়ে ৬৪ হাজার ১৩৩ জন পাসপোর্ট যাত্রী ভারত-বাংলাদেশ গমনাগমন করেছেন। এ সময়ের মধ্যে ভারতে গেছেন ৩৬ হাজার ৯৭৬ জন। এর মাধ্যমে রাজস্ব আদায় হয়েছে প্রায় ১ কোটি ৬৬ লাখ ৪০ হাজার টাকা। আর ওই সময়ের মধ্যে ভারত থেকে ফিরেছেন ২৭ হাজার ১৫৭ জন।
শনিবার সকালে বেনাপোল চেকপোস্ট দিয়ে ভারতে যাওয়া সাবিনা ইয়াসমিন জানান, বাচ্চাদের পরীক্ষা শেষ তাই আত্মীয়ের বাড়ী বেড়ানো আর একটু কেনাকাটার করতে কলকাতা যাচ্ছেন। বাচ্চাদের ভ্রমন করা হলো আমরা ও একটু বিশ্রাম পেলাম।
কলকাতা থেকে ফিরে আসা পাবনার সুবোধ কুমার জানান, গত ১৭ ডিসেম্বর চিকিৎসার জন্য কলকাতায় গিয়েছিলেন। চিকিৎসা শেষে আজ শনিবার সকালে দেশে ফিরলাম। যাওয়ার সময় বেনাপোলে তেমন সমস্যা না হলেও ওপারে কাজে ধীর গতি ও ভিড়ের কারণে অনেক দুর্ভোগ পোহাতে হয়েছে।
বেনাপোল চেকপোস্ট ইমিগ্রেশন ওসি ওমর শরীফ জানান, প্রতি বছর ডিসেম্বরের মাঝামাঝি বাচ্চাদের পরীক্ষা শেষ হয়ে যায়। আর এ কারনেই অধিকাংশ যাত্রী আত্মীয় বাড়ী বেড়ানো,ভ্রমণ ও ডাক্তার দেখানোর জন্য সাধারনত ভারতে যান।এ পর্যন্ত গড়ে প্রায় ৯ হাজার পাসপোর্ট যাত্রী প্রতিদিন বেনাপোল চেকপোস্ট দিয়ে বাংলাদেশ-ভারত যাতায়াত করছে। এ জন্য এই সময়ে চেকপোস্টে বাড়তি চাপ থাকে।
তবে যাত্রীরা যাতে দ্রুত সময়ের মধ্যে ইমিগ্রেশনের কাজ শেষ করতে পারেন, সে জন্য ইমিগ্রেশন চেকপোস্টে ডেস্কের সংখ্যা দ্বিগুণ করা হয়েছে। আগে পাসপোর্টের কাজ সম্পন্নের জন্য ৪টি করে মোট ৮টি ডেস্ক ছিল। এখন তা ৮টি করে মোট ১৬টি ডেক্স করা হয়েছে।পাসপোর্ট যাত্রীদের সর্বোচ্চ সেবা দেয়ার চেষ্টা করছেন বলেও জানিয়েছেন ইমিগ্রেশন ওসি ওমর শরীফ।