ক্রাইমবার্তা রিপোট: সব দলের অংশগ্রহনে একটি নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে আগামী সংসদ নির্বাচন চান খালেদা জিয়া। শনিবার রাতে এক অনুষ্ঠানে বিএনপি চেয়ারপারসন এই মন্তব্য করেন
তিনি বলেন, আমরা দেশে গণতন্ত্র চাই, বহুদলীয় গণতন্ত্র চাই। সবার অংশগ্রহনে যাতে দেশে একটা সুষ্ঠু অবাধ নির্বাচন হয় সেটি আমরা চাই।
সেই নির্বাচন হতে হবে নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে। তা নাহলে কিন্তু কখনোই নিরপেক্ষ নির্বাচন হবে না।
গুলশান কার্যালয়ে রাতে বড়দিন উপলক্ষে বাংলাদেশ খ্রিস্টান অ্যাসোসিয়েশনের উদ্যোগে ওই সম্প্রদায়ের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময়কালে খালেদা জিয়া এসব কথা বলেন। পরে সবাইকে নিয়ে বড়দিনে কেক কাটেন বিএনপি চেয়ারপারসন।
বড়দিনের প্রাক্কালে খ্রিস্টান সম্প্রদায়ের সদস্যদের সুখী ও সমৃদ্ধ জীবন কামনা করেন খালেদা জিয়া।
নতুন বছর ২০১৮ সালে আওয়ামী লীগ সরকারের অন্যায় অত্যাচার থেকে দেশের মানুষ মুক্তি চায় বলে মন্তব্য করেন তিনি।
তিনি বলেন, বড়দিন ও নববর্ষে আমরা প্রত্যাশা করবো- আগামী বছরে গণতন্ত্র ফিরবে; শান্তি ফিরে আসবে।
২০১৪ সালে ৫ জানুয়ারির ‘একদলীয়’ নির্বাচনের কথা তুলে ধরে বিএনপি চেয়ারপারসন বলেন, ওই নির্বাচনে ক‘জন লোক গিয়েছিলো ভোট দিতে? যদি সত্যিকার নির্বাচনই হয় তাহলে কী করে ১৫৪ জন বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হলো। এখন তারা চায় আবারো সেই রকমভাবে।
বিএনপিকে দুর্বল করার সরকারের দমননীতির কঠোর সমালোচনা করেন খালেদা জিয়া।
তিনি বলেন, মাদক ব্যবসা করছে সরকারি দলের লোকরা। এর মাধ্যমে দেশের মানুষকে বিশেষ করে যুব সমাজকে ধ্বংস করার কাজ করছে তারা।
ধরাও পড়ছে তারা কিন্তু তাদের কোনো বিচার হচ্ছেনা।দেশ আজকে অনাচারে ভরে গেছে। আমরা মনে করি, বাংলাদেশ অন্ধকার একটা সময় অতিক্রম করছে। এ থেকে মুক্তি পেতে হলে অবশ্যই আমাদেরকে সব ধর্মের মানুষকে, সব সম্প্রদায়ের মানুষকে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে।দেশের জন্য এক হতে হবে।
বাংলাদেশ খ্রিস্টান অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি অ্যালবার্ট পি কস্টার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন, গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, আবদুল মঈন খান, সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভীসহ ধর্ম বিষয়ক সম্পাদক অ্যাডভোকেট জন গোমেজ, খ্রিস্টান অ্যাসোসিয়েশনের মহাসচিব সুব্রত উইলিয়াম রোজারিও প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।
অনুষ্ঠানে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান, ভাইস চেয়ারম্যান ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু, খ্রিস্টান অ্যাসোসিয়েশনের সিনিয়র সহসভাপতি অধ্যাপক মার্সেল এম চিরান, কেন্দ্রীয় নেতা সঞ্চয় হাওলাদার, অনীল লিও কস্তা প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।