বি.এইচ.মাহিনী : এককালে অভয়নগরের ভৈরব নদীতে দুটি ফেরি ছিল। যা দিয়ে যশোর-খুলনা ও নড়াইলের মানুষ, গাড়ী ও পন্য অনায়াসে পার হতো। অথচ মাত্র ৫-৭ বছরের ব্যবধানে অব্যবস্থাপনা ও রক্ষনাবেক্ষণের অভাবে হারিয়ে গেছে ফেরি দুটি নদী গর্ভে। গচ্চা গেছে সরকারের শত কোটি টাকা। দূর্ভোগ পোহচ্ছেন ভৈরব দু’পাড়ের লক্ষ লক্ষ মানুষ। তবে মানুষের সহজাত প্রবৃত্তিতে নিজস্ব ব্যবস্থাপনায় এখন ঐতিহাসিক নিদর্শন সৃষ্টি করে তারা নূহ নৌকায় করে পার করছেন প্রাইভেট কার, মাইক্রো গাড়ীসহ হালকা যান সমূহ। এমন দৃশ্যের দেখা মেলে অভয়নগরের একমাত্র মাইক্রো ও পাইভেট গাড়ী পারাপারের ঘাট সিকির ঘাটে। ‘সেতুর অভাবে নৌকায় করে প্রাইভেট ও মাইক্রো গাড়ী পার করা হয় এ ঘাটে। নূহ নবী’র নৌকা সদৃশ দুটি নৌকায় প্রতিদিনই এমন অসংখ্য প্রাইভেট কার পার করা হয়’ বললেন অভয়নগর উপজেলার সিকির ঘাটের এক মাঝি। সরেজমিনে গিয়ে এমন দৃশ্য ধরে পড়ে এ প্রতিবেদকের ক্যামেরায়। খোজ নিয়ে জানা যায়, অভয়নগর উপজেলার ভৈরব নদীতে প্রায় দু’ডজন খেয়া ঘাট আছে। এর মধ্যে ভাটপাড়া ও নওয়াপাড়া স্টেশন এলাকায় দুটি ফেরি ছিল বাস, ট্রাক ও প্রাইভেট কার পারাপারের জন্য। কিন্তু গত অর্ধযুগ যাবৎ ফেরি দুটি অচল থাকায় ভৈরব উত্তর জনপদের (বাঘুটিয়া, শ্রীধরপুর, শুভরাড়া, সিদ্দিপাশা ও দক্ষিণ নড়াইলের বিছালী ইউনিয়ন) মানুষের ওপারে অর্থাৎ শিল্প শহর নওয়াপাড়া, যশোর ও খুলনায় যাওয়ার আর কোনো মাধ্যম থাকে না। এমতাবস্থায় অভয়নগর ও ফুলতলার সীমান্তে সিকিরঘাটের মাঝি ও নৌকা মালিকেরা অসম্ভবকে সম্ভব করার এক অভিনব উদ্যোগ নেয়। যার ফলশ্রুতিতে সিকিরঘাটের বড় বড় দুটি নৌকায় গত অর্থযুগ ধরে বিবাহসহ বিশেষ কোনো অনুষ্ঠানে যাতায়াতের জন্য প্রাইভেট ও মাইক্রো গাড়ী পারাপার করে থাকে। নওয়াপাড়ায় ভৈরব নদীর উপর সেতুটি চলাচলের জন্য উন্মুক্ত করা হলেই কেবল এলাকবাসীর অপেক্ষার প্রহর গুনা শেষ হবে বলে জানালেন ভুক্তভুগিরা।
Check Also
৩০ জুলাই পর্যন্ত অনেক দল সিদ্ধান্ত নিতে পারেনি, সংগ্রামে যুক্ত হবে কি না: সারজিস আলম
জাতীয় নাগরিক কমিটির মুখ্য সংগঠক ও জুলাই শহীদ স্মৃতি ফাউন্ডেশনের সাধারণ সম্পাদক সারজিস আলম বলেছেন, …