ক্রাইমবার্তা রিপোর্ট: ময়মনসিংহ: ময়মনসিংহের হালুয়াঘাট থানায় গৃহবধূকে তিনদিন আটক রেখে নির্যাতনের অভিযোগে ওসি ও ইউপি চেয়ারম্যানসহ ছয়জনের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে আদালতে। বুধবার ময়মনসিংহের ৫ নম্বর আমলী আদালতে ওই নারী মামলটি দায়ের করেন। বাদীর আইনজীবী নজরুল ইসলাম সরদার বলেন, গত ২১শে ডিসেম্বর ওসি কামরুল, চেয়ারম্যান ওয়ারেস উদ্দিন সুমনসহ ছয়জনের বিরুদ্ধে বাদী আদালতে অভিযোগ দায়ের করেন। বুধবার বিচারক অভিযোগ আমলে নিয়ে ১৫ দিনের মধ্যে ঘটনার তদন্ত করে প্রতিবেদন দেওয়ার জন্য ময়মনসিহং পুলিশ সুপারকে নির্দেশ দিয়েছেন।
মামলার নথি থেকে জানা যায়, গত ১১ই আগস্ট দুপুরে ধুরাইল বাজার থেকে গৃহবধূকে ধরে নিয়ে যায় হালুয়াঘাট থানায় ওসি কামরুল ইসলাম মিয়া। পরে পাঁচ লাখ টাকা দাবি করেন।
টাকা দিতে অস্বীকার করলে ধুরাইল ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ওয়ারেস উদ্দিন সুমন এবং ওসি গৃহবধূকে মারধর করেন এবং উত্ত্যক্ত করেন।
গত ১৩ই অগাস্ট একটি চুরির মামলায় আদালতে হাজির করা হয় ওই গৃহবধূকে। আদালত তাকে জেলহাজতে পাঠানোর নির্দেশ দেন। পরদিন জেলহাজতে ঔ নারী অচেতন হয়ে পড়লে কারা হাসপাতালের মাধ্যমে তাকে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সুস্থ হয়ে গত ৪ঠা ডিসেম্বর জামিনে মুক্তি পান তিনি।
ধুরাইল ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ওয়ারেস উদ্দিন সুমন বলেন, ‘রাজনৈতিক প্রতিহিংসা থেকে একটি পক্ষ আমার বিরুদ্ধে অপপ্রচার চালাচ্ছে। গৃহবধূ নির্যাতনের বিষয়টি আমার জানা নেই।’ ওসি কামরুল বলেন, ‘চুরি মামলায় ওই গৃহবধূকে জেলহাজতে পাঠানো হয়েছিল। তাকে থানায় রেখে নির্যাতন করা হয়নি। জেলার ভারপ্রাপ্ত পুলিশ সুপার নূরে আলম বলেন, ‘আদালতের নির্দেশনার নথিটি এখনও আমরা পাইনি। নথি পেলে তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’২৮ ডিসেম্বর,২০১৭ বৃহস্পতিবার:ক্রাইমর্বাতা.কম/প্রতিনিধি/আসাবি
Check Also
যশোর বেনাপোল দিয়ে ভারতে প্রবেশের সময় কলারোয়ার আ’লীগ কাউন্সিলর গ্রেপ্তার
নিজস্ব প্রতিনিধি :- সাতক্ষীরা: যশোরের বেনাপোল স্থলবন্দর দিয়ে ভারতে পালিয়ে যাওয়ার সময় সাতক্ষীরার কলারোয়া পৌরসভার …