ক্রাইমবার্তা রিপোর্ট::আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব-উল-আলম হানিফ বলেছেন, ‘বিএনপি নেতাদের কথাবার্তায় প্রমাণিত হয় আসলেই তারা অপরাধটা করেছেন। বিএনপির অর্থ আত্মসাৎ ও দুর্নীতি সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণ হচ্ছে বিধায় নেতাদের মধ্যে শঙ্কা জেগেছে তাদের বিরুদ্ধে মামলার রায় যাবে, তারা দণ্ডিত হবেন। সেজন্য জনগণকে বিভান্ত করার জন্য বিএনপি আগ থেকে মিথ্যাচার করছে।’
আজ শুক্রবার বিকেলে কুষ্টিয়া জেলা পরিষদের অডিটোরিয়ামের ভিত্তিপ্রস্তর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে যোগ দিয়ে বেগম খালেদা জিয়ার মামলা নিয়ে বিএনপির বিভিন্ন অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব বলেন।
হানিফ আরো বলেন, বাংলাদেশের বিচার ব্যবস্থা সম্পূর্ণ স্বাধীন। এখানে বিচারের রায় প্রভাবিত করার কোনো সুযোগ নেই। বেগম খালেদা জিয়া যদি সত্যিকার অর্থেই নির্দোষ হন তাহলে অবশ্যই তিনি খালাস হয়ে আসবেন। এটা নিয়ে জণগণকে বিভ্রান্ত করে অপরাধ আড়াল করার সুযোগ নেই।
জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি সদর উদ্দিন খান, সাধারণ সম্পাদক আজগর আলী, জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান রবিউল ইসলাম, জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক প্রকৌশলী ফারুক হোসেন, শহর আওয়ামী লীগের সভাপতি তাইজাল আলী খানসহ আওয়ামীলীগ ও অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীরা অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।
এর আগে কুষ্টিয়া সদর উপজেলা আইলচারা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ আয়োজিত এক যোগদান সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে যোগ দেন আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় এই যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক।
—————0———————
সরকারকে কঠিন মূল্য দিয়ে বিদায় নিতে হবে : আমীর খসরু
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেছেন, ২০১৮ সালে সরকারকে অনেক কঠিন মূল্য দিয়ে বিদায় নিতে হবে। আজ শুক্রবার দুপুরে ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির স্বাধীনতা হলে এক সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
‘রাজনীতি-স্বার্থ এবং বাংলাদেশের স্বাধীনতা, প্রতিবেশির ভূমিকা’ শীর্ষক গণবৈঠকের আয়োজন করে ‘দেশ বাঁচাও মানুষ বাঁচাও আন্দোলন’ নামক একটি সংগঠন।
আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেন, বাংলাদেশের মানুষ সিদ্ধান্ত নিয়েছে, ২০১৮ সাল হবে গণতন্ত্র, বাক-স্বাধীনতা, আইনের শাসন, নাগরিক অধিকার ফিরিয়ে আনার বছর। আর আপনারা (সরকার) যদি মানুষের সিদ্ধান্তের বিপক্ষে যান তাহলে তার দায়-দায়িত্ব আপনাদের নিতে এবং অনেক উচ্চ মূল্য দিয়ে বিদায় নিতে হবে।
তিনি বেগম জিয়ার মামলা প্রসংগে বলেন, জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট ও জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দুর্নীতির মামলা সাথে খালেদা জিয়ার কোনো সম্পৃক্ততা নেই। এটা জেনে শুনেও সরকার সেই পথেই যাচ্ছে। কারণ তাদের আর কোনো পথ নেই। আমি বলতে চাই, সে পথে সরকার না গেলেই তাদের জন্য ভালো হবে।
বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ ড. দিলারা চৌধুরী সহ অন্যান্য নেতৃবন্দ বক্তৃতা দেন।
২৯ ডিসেম্বর,২০১৭ শুক্রুবার:ক্রাইমর্বাতা.কম/প্রতিনিধি/আসাবি