ক্রাইমবার্তা রিপোর্ট:ঢাকা: সিইসি নুরুল হুদার অধীনে কোনো নির্বাচন সুষ্ঠু হবে না উল্লেখ করে বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, বিভিন্ন স্থানে বিএনপির প্রার্থী ও সমর্থকদের ওপর সশস্ত্র হামলা চালিয়েছে শাসকগোষ্ঠির নেতা-কর্মীরা। বিএনপির পক্ষ থেকে প্রতিবাদ করা হলেও এমনকি আওয়ামী ক্যাডারদের তাণ্ডব মিডিয়ায় প্রচার হলেও সিইসি কোনো কর্ণপাত করেননি।
তিনি বলেন, সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নেয়া দূরে থাক, নির্বাচনী পরিবেশ তৈরি দূরে থাক, তারাও ক্ষমতাসীন দলকে বিজয়ী করতে প্রকাশ্যে অবস্থান নেয়।
শুক্রবার বিকেলে রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।
রিজভী বলেন, তকাল পৌরসভা, ইউনিয়ন পরিষদ ও জেলা পরিষদের ১২৭টি এলাকায় বিভিন্ন পদে সাধারণ, স্থগিত নির্বাচন ও উপনির্বাচনে ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়েছে। এসব নির্বাচনকে কেন্দ্র করে আওয়ামী সশস্ত্র ক্যাডারদের সে পুরানো তাণ্ডব তা আবারও ফুটে ওঠেছে। বিভিন্ন এলাকার ভোট জালিয়াতির কিছুটা খণ্ডচিত্র আজ আপনারা গণমাধ্যমে দেখেছেন।
বিএনপির এই নেতা বলেন, প্রকাশ্যে অস্ত্রের মহড়া দিয়ে ভোট কেন্দ্র দখল করে আগের রাতেই বাক্স ভরে রাখা, সকাল ১০টার আগেই ভোট শেষ হয়ে যাওয়া, ব্যালট পেপার ছিনতাই, বিএনপি প্রার্থীর এজেন্ট ও ভোটারদের মারধর করে কেন্দ্র থেকে বের করে জাল ভোটের মহোৎসব, প্রকাশ্যে সহকারি প্রিজাইডিং অফিসারসহ নির্বাচনী কর্মকর্তাদের জাল ভোট প্রদান, হামলা, ভাঙচুরসহ নানা তাণ্ডব চলে নির্বাচনী এলাকাগুলোতে।
বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব আরও বলেন, কুমিল্লা, লক্ষ্মীপুর, ভোলা, ফরিদপুরের আলফাডাঙ্গাসহ ১২৭টি এলাকায় পৌরসভা, ইউনিয়ন পরিষদ ও জেলা পরিষদের নির্বাচনকে কেন্দ্র করে বেশ কয়েকদিন ধরেই সশস্ত্র তাণ্ডব চালিয়েছে ক্ষমতাসীন দলের সন্ত্রাসীরা। তারা বিএনপির প্রার্থী ও সমর্থকদের প্রচার পর্যন্ত করতে দেয়নি।
আওয়ামী প্রক্রিয়ায় খালেদা জিয়াকে নাজেহাল করা হচ্ছে: রিজভী
ঢাকা: ‘মিথ্যা মামলায় খালেদা জিয়াকে ছোট করা হচ্ছে, কোনো আইনি প্রক্রিয়ায় নয়, বরং আওয়ামী প্রক্রিয়ায় তাকে নাজেহাল করা হচ্ছে’ বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী।
বুধবার সন্ধ্যায় জাতীয় প্রেসক্লাবের মিলনায়তন হলে ‘জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় সিনেটে রেজিস্টার্ড গ্র্যাজুয়েটস প্রতিনিধি নির্বাচন-২০১৭’ উপলক্ষে ‘জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় প্রাক্তন জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল ফোরাম’ আয়োজিত ‘জাতীয়তাবাদী প্যানেল’ পরিচিতি সভায় তিনি এই মন্তব্য করেন।
রুহুল কবির রিজভী বলেন, ‘শেষ পর্যন্ত চুরির দায় বহন করতে হবে। শিক্ষাকে এ সরকার পণ্যে নিয়ে গেছে, তার প্রমাণ মিলেছে শিক্ষামন্ত্রীর বক্তব্যে।
তিনি আরো বলেন, ‘সবাই চোর, আমিও চোর’ এমন সত্য বলায় এ সরকারের হাত থেকে শিক্ষামন্ত্রীরও রেহাই মিলবে না। এ সরকার গণতন্ত্রের গলায় দড়ি পরিয়েছে।
রুহুল কবির রিজভী বলেন, ‘কোথাও গণতন্ত্রের লেশমাত্র নেই। কর্তৃত্ববাদী শাসনের একটাই মাত্র দল থাকবে, সেটা কে? ছাত্রলীগ! আমরা চাই কার্যকরভাবে একটা ফাংশনাল রাষ্ট্র। আর আওয়ামী লীগ চায় আওয়ামী রঙের রাষ্ট্র। এক দুঃসহ পরিস্থিতির মধ্যে দেশ আছে বলেই আজকে বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর এই অবস্থা।’
এ সময় আশাবাদ ব্যক্ত করে বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেন, মানুষ এ সরকারের হাত থেকে মুক্তি পেতে চায়। জাতীয়তাবাদী শক্তি যেখানেই নির্বাচন করবে, সেখানেই বিজয় লাভ করবে।’
বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক সভাপতি মো. আশরাফুল আলম খান জুয়েলের সঞ্চালনায় ও জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্র সংসদের সাবেক ভিপি ও ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি মো. মাসুদ হাসান তালুকদারের সভাপতিত্বতে আরো উপস্থিত ছিলেন জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তন উপাচার্য অধ্যাপক খন্দকার মুস্তাহিদুর রহমান, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের জাতীয়তাবাদী শিক্ষক ফোরামের সাধারণ সম্পাদক শরিফ উদ্দিন জুয়েল, দৈনিক আমার দেশ পত্রিকার নির্বাহী সম্পাদক সৈয়দ আবদাল আহমদ প্রমুখ।
২৯ ডিসেম্বর,২০১৭ শুক্রুবার:ক্রাইমর্বাতা.কম/প্রতিনিধি/আসাবি