ক্রাইমবার্তা রিপোর্ট:শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ আন্দোলনরত নন এমপিও শিক্ষকদের প্রতি আহবান জানিয়ে বলেছেন, আপনারা বাড়ি ফিরে যান। আন্দোলন করে লাভ হবে না। এমপিও দেয়ার বিষয়ে আমাদের কোনো আপত্তি নেই। কিন্তু অর্থমন্ত্রণালয়ের অনুমোদন এবং বাজেট বরাদ্দ না দিলে আমাদের কিছু করার নেই। আজ শনিবার জেএসসি জেডিসি ফলাফল ঘোষণার সময় সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি একথা বলেন।
শিক্ষামন্ত্রীর এ বক্তব্যে তীব্র প্রতিক্রিয়া দেখা দেয় এমপিও’র দাবিতে জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে লাগাতার কর্মসূচি পালনরত শিক্ষকদের মধ্যে।
শিক্ষামন্ত্রীর বক্তব্য জানার পর তাদের মধ্যে ক্ষোভ ছড়িয়ে পড়ে। অনেকে আন্দোলন আরো তীব্র এবং বেগবান করার দৃঢ় প্রতিজ্ঞা ব্যক্ত করেন।
আন্দোলনরত শিক্ষক কর্মচারী ফেডারেশনের সভাপতি গোলাম মাহমুদুন্নবী আজ নয়া দিগন্তকে বলেন, আমরা শিক্ষামন্ত্রীর বক্তব্য প্রত্যাখ্যান করছি। আগামীকাল থেকে আমাদের আমরণ অনশন কর্মসূচি শুরু হবে। দাবি আদায়ের ব্যাপারে সবাই দৃঢ় প্রতিজ্ঞ। যেকোনো কঠোর আন্দোলনে আমরা সবাই প্রস্তুত।
সারা দেশ থেকে আগত সরকার স্বীকৃত নন এমপিও স্কুল, কলেজ, মাদারাসার বিপুলসংখ্যক শিক্ষক কর্মচারী সকাল থেকে রাত পর্যন্ত প্রেস ক্লাবের সামনে অবস্থান করে কর্মসূচি পালন করে যাচ্ছেন। আন্দোলনরত শিক্ষকরা প্রতিনিয়ত বক্তব্য, স্লোগান আর দাবির পক্ষে বিভিন্ন ধরনের গান পরিবেশন করে জাগিয়ে রাখছেন প্রেস ক্লাবের সামনের রাস্তা। আজ সন্ধ্যার পরেও আন্দোলনরত এক শিক্ষকের সাথে ফোনে কথা বলার সময় শোনা যায় মাইকে বক্তব্য আর স্লোগানের আওয়াজ।
দেশের সরকার স্বীকৃত সব মাধ্যমিক বিদ্যালয়, কলেজ, মাদরাসা ও কারিগরি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান এমপিওভুক্ত করার দাবিতে গত ২৬ ডিাসেম্বর থেকে জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে সারা দেশে থেকে আগত শিক্ষকরা লাগাতার অবস্থান কর্মসূচি পালন করে আসছেন। গতকাল শুক্রবার রাতে ঘোষণা দেয়া হয় কাল রোববার সকাল নয়টা থেকে আমরণ অনশন শুরু করবেন তারা।
সরকারি সংস্থার (ব্যানবেস) জরিপ অনুযায়ী দেশে পাঁচ হাজার ২৪২টি এমপিওভুক্তকরণের উপযুক্ত শিক্ষা প্রতিষ্ঠান রয়েছে। এতে ৮০ হাজারের অধিক শিক্ষক কর্মচারী রয়েছেন। বছরের পর বছর ধরে শিক্ষক কর্মচারীরা বিনা বেতনে চাকরি করছেন এসব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে।
শিক্ষকরা জানান, একদিন এমপিও হবে, তাদের সুদিন আসবে, ভাগ্যের চাকা ঘুরবে এই আশা নিয়ে তারা পড়ে আছেন এসব প্রতিষ্ঠানে।
৩০ডিসেম্বর,২০১৭শনিবার:ক্রাইমর্বাতা.কম/প্রতিনিধি/আসাবি