ক্রাইমবার্তা ডেস্করিপোর্ট: লাতিন আমেরিকার দেশ পেরুর রাজধানী লিমার উত্তরে পায়ামাসোর কার্ভা ডেল ডায়াব্লোত (শয়তানের বাঁক) থেকে যাত্রীবাহী বাস খাদে পড়ে নিহতের সংখ্যা বেড়ে ৪৮ জনে দাঁড়িয়েছে। একটি ট্রাকের সাথে ধাক্কা খেয়ে বাসটি উপকূলীয় রাস্তার খাড়া ঢালে ছিটকে পড়ে।
মঙ্গলবার পুলিশের এক বিবৃতিতে নিহতের এ সংখ্যার কথা জানানো হয়। খবর এএফপি’র।
স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ওয়েবসাইটে দেয়া ওই বিবৃতিতে বলা হয়, এ বাস দুর্ঘটনায় কমপক্ষে ৪৮ জন নিহত হয়েছে। এর আগে প্রথমে ২৫ জন ও পরে ৩৬ জনের নিহত হওয়ার কথা জানানো হয়েছিল।
বাসটিতে মোট ৫৩ জন যাত্রী ছিল।
প্রশান্ত মহাসাগরের পাশে এই রাস্তাটিই পেরুর সবচেয়ে ভয়ঙ্কর রাস্তা।
দেশটির প্রেসিডেন্ট পেদ্রো পাবলো পেদ্রো পাবলো কুচিনস্কি এক বিবৃতিতে বলেছেন, এই দুর্ঘটনায় পুরো দেশ শোকাহত। হতাহতদের পরিবারের সদস্যদের প্রতি গভীর সমবেদনা জানিয়েছেন তিনি।
ফুজিমোরিকে ক্ষমা নিয়ে পেরুতে ফের বিক্ষোভ
রয়টার্স ও সিএনএন, ২৭ ডিসেম্বর ২০১৭
পেরুতে কারাবন্দী সাবেক প্রেসিডেন্ট আলবার্তো ফুজিমোরির সাজা মওকুফ করে তাকে ক্ষমা ঘোষণার পর দেশটিতে ফের বিক্ষোভ-সংঘর্ষ ছড়িয়ে পড়েছে। বড়দিনের আগের রাতে পেরু বিক্ষোভে উত্তাল হয়ে ওঠার পর সোমবার রাজধানী লিমায় ফের বিক্ষোভকারীদের সাথে পুলিশের সংঘর্ষ হয়েছে। ‘ক্ষমা নয়’ স্লোগান তোলা আন্দোলনকারীদের ছত্রভঙ্গ করতে পুলিশ কাঁদানে গ্যাস ছুড়েছে।
পেরুর বর্তমান প্রেসিডেন্ট পাবলো কুকজিনস্কি বড়দিনের আগে কারাবন্দী ফুজিমোরিকে ক্ষমা ঘোষণা করলে তাৎক্ষণিক রাস্তায় নেমে প্রতিবাদ জানায় হাজারো মানুষ। মানবাধিকার লঙ্ঘন ও দুর্নীতির অভিযোগে কারাদণ্ড ভোগ করা ফুজিমোরিকে রোববার গুরুতর অসুস্থ অবস্থায় কারাগার থেকে হাসপাতালে নেয়া হয়। ৭৯ বছর বয়সী সাবেক এ প্রেসিডেন্ট উচ্চ রক্তচাপ ও অনিয়মিত হৃদস্পন্দনের সমস্যায় ভুগছেন।
কারাগারের পরিবেশ তার স্বাস্থ্য ও জীবনের জন্য ঝুঁকিপূর্ণ বলে চিকিৎসকদের এক বিবৃতির পরপরই মানবিক কারণে ফুজিমোরিকে ক্ষমা করার সিদ্ধান্ত জানান প্রেসিডেন্ট। কুকজিনস্কির দফতর জানায়, ‘মানবিক কারণে আলবার্তো ফুজিমোরিকে ক্ষমা করার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। আরো সাতজনকেও একই কারণে ক্ষমা করা হচ্ছে।’ ওই সাতজনের নাম জানানো হয়নি।
সোমবার টুইটারে একটি ভিডিও পোস্ট করে ফুজিমোরির ছেলে তার বাবার ক্ষমা পাওয়ার খবর জানানোর পরপরই লিমায় বিক্ষোভ-সংঘর্ষ ছড়িয়ে পড়ে। প্রেসিডেন্টের সিদ্ধান্তের প্রতিবাদে তাৎক্ষণিক পদত্যাগ করেন তার দলের দুই সদস্যও। অন্য দিকে, ফুজিমোরির ক্ষমার খবরে তার সমর্থকদের উল্লাস করতে দেখা গেছে। ১৯৯০ সাল থেকে ২০০০ সাল পর্যন্ত পেরুর প্রেসিডেন্ট ছিলেন ফুজিমোরি। ২০০৭ সালে ঘুষ গ্রহণ ও ক্ষমতার অপব্যবহারের অভিযোগে তিনি প্রথম দোষীসাব্যস্ত হন, সেবার ছয় বছরের কারাদণ্ড হয়েছিল তার। দুই বছর পর ২০০৯ সালে ক্ষমতার অপব্যবহার ও মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগে আরো ২৫ বছরের কারাদণ্ড হয় ফুজিমোরির।
গত রোববার তাকে ক্ষমা ঘোষণার পরপরই বিক্ষোভকারীরা তার আমলে হত্যার শিকার হওয়া বিদ্রোহীদের ছবি নিয়ে রাস্তায় নেমে প্রতিবাদে শামিল হয়।
নানা প্রতিবাদ, নিন্দা-সমালোচনার মধ্যেও প্রেসিডেন্ট কুকজিনস্কি সোমবার এক ভাষণে একজন অসুস্থ মানুষকে তার ক্ষমা করার সিদ্ধান্তের যৌক্তিকতা তুলে ধরে জনগণকে তা মেনে নেয়ার আহ্বান জানিয়েছেন।
০৩জানুয়ারী,২০১৮বুধবার::ক্রাইমর্বাতা.কম/ ইন্টারনেট/আসাবি