ক্রাইমবার্তা রিপোর্ট:আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, নির্বাচনী ট্রেন বিএনপির স্টেশনে থামবে না। সময় ও স্রোত কারও জন্য অপেক্ষা করে না। আগামী সংসদ নির্বাচনও কারো জন্য অপেক্ষা করবে না। নির্বাচনী ট্রেন বিএনপির স্টেশনে থামবে না। এবার বিএনপি নির্বাচনে অংশ না নিলে তাদের রাজনৈতিক ভবিষ্যত অন্ধকার হয়ে যাবে। বিরল প্রাণীর মতো বিলুপ্ত হয়ে যাবে বিএনপি। পৃথিবীতে অনেক রাজনৈতিক দল বিলুপ্ত হয়ে গেছে। তাদের অবস্থা মুসলিম লীগের চেয়েও খারাপ হয়ে যাবে।
আজ শুক্রবার রাজধানীর বঙ্গবন্ধু এভিনিউয়ে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের এক সমাবেশে তিনি একথা বলেন।
৫ জানুয়ারিকে ‘গণতন্ত্রের বিজয় দিবস’ হিসেবে পালন উপলক্ষে এ সমাবেশের আয়োজন করা হয়।
মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সভাপতি আবুল হাসনাতের সভাপতিত্বে আরো বক্তব্য দেন আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ড. আবদুর রাজ্জাক, সাংগঠনিক সম্পাদক আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম ও এনামুল হক শামীম, বন ও পরিবেশ বিষয়ক সম্পাদক দেলোয়ার হোসেন, উপ-প্রচার সম্পাদক আমিনুল ইসলাম আমিনসহ আরও অনেকে।
বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া ও গণফোরাম সভাপতি ড. কামাল হোসেনের সমালোচনা করে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘ড. কামাল হোসেন ও খালেদা জিয়া সরকার ও সংসদকে অবৈধ হিসেবে অভিহিত করেছেন। কিন্তু এই কামাল হোসেন ৭৩ সালে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় এমপি হয়ে মন্ত্রীও হয়েছিলেন। তাহলে তিনি কি অবৈধ ছিলেন? বিশ্বের দুটি বড় আন্তর্জাতিক সংস্থা ইন্টার পার্লামেন্টারি ইউনিয়ন (আইপিইউ) ও কমনওয়েলথ পার্লামেন্টারি অ্যাসোসিয়েশন (সিপিএ) বাংলাদেশের পার্লামেন্টকে স্বীকৃতি দিয়েছে। শুধু তাই নয়, এ দুটি সংস্থার প্রধানও করা হয়েছে। তাহলে কীভাবে গণতন্ত্রের সঙ্কট আছে?
পদ্মা সেতুকে জোড়াতালি দিয়ে বাসানো হচ্ছে বলে খালেদা জিয়ার মন্তব্যের জবাবে তিনি বলেন, ‘সেখানে পিলার উঠেছে, পিলারের ওপরের দুটি স্প্যান বসেছে, এটাতো এখন দৃশ্যমান বাস্তবতা।
‘পদ্মা সেতুতে কেউ উঠবেন না’ খালেদা জিয়ার এমন মন্তব্যের জবাবে তিনি বলেন, ‘পদ্মা সেতুতে সবাই উঠবে, উনি না উঠলে ফেরি আছে, ফেরিতে করে যেতে পারেন।’
‘সাবমেরিন উদ্বোধনের পরই ডুবে গেছে’ খালেদা জিয়ার এমন মন্তব্যের জবাবে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘সাবমেরিন তো ডুবেই থাকে। আসলে মামলায় হাজিরা দিতে দিতে উনার (খালেদা জিয়ার) মাথা নষ্ট হয়ে গেছে। তাই তিনি এসব বলেছেন।’
আজ শনিবার বিএনপির ডাকা বিক্ষোভ কর্মসূচি প্রসঙ্গে ওবায়দুল কাদের আরো বলেন, ‘বিএনপি নেতাদের ক্ষোভ-কর্মীরা মাঠে নামে না। আর কর্মীদের ক্ষোভ-নেতারা মাঠে নামে না। নেতারা বলে কর্মীরা, আবার কর্মীরা বলে নেতারা। তাহলে কাল তাদের বিক্ষোভ করবে কে?’ কিছু কর্মী মাঝে মাঝে রাস্তায় নামলেও নেতারা এসি রুমে বসে হিন্দি ছবি দেখে সময় কাটান। তাই তাদের আন্দোলন আর জমে না। মরা গাংগে আর জোয়ার আসবে না।
এর আগে বনানী মাঠে মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগের সমাবেশে বক্তৃতা করেন ওবায়দুল কাদের।
উত্তর আওয়ামী লীগ সভাপতি একে এম রহমতুল্লাহর সভাপতিত্বে এ সমাবেশে আরো বক্তব্য রাখেন দলের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য সাহারা খাতুন ও ফারুক খান, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুবউল আলম হানিফ, সম্পাদকমণ্ডলীর সদস্য হাবিবুর রহমান সিরাজ, উত্তরের সাধারণ সম্পাদক সাদেক খান প্রমুখ। ০৫জানুয়ারী,২০১৮শুক্রুবার::ক্রাইমর্বাতা.কম/প্রতিনিধি/আসাবি