ক্রাইমবার্তা ডেস্করিপোর্ট:ঢাকা: ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারির নির্বাচনের বর্ষপূর্তিকে কেন্দ্র করে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয় নয়া পল্টন ঘিরে সকাল থেকে সতর্ক অবস্থানে রয়েছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা। বেলার বাড়ার সাথে সাথে দিনভর পুলিশের টহল পরিণত হয়েছে মহড়ায়।
নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। তাদের সতর্ক অবস্থানে থাকতে দেখা গেছে। কার্যালয়ের পাশে সারিবদ্ধভাবে রাখা হয়েছে এপিসি, জলকামান, প্রিজনভ্যান। তবে পুলিশের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় নিয়মিত দায়িত্ব পালনের অংশ হিসেবেই সেখানে অবস্থান নিয়েছে পুলিশ।
২০১৪ সালের পর থেকে প্রতিবছর ৫ জানুয়ারিকে বিএনপি ‘গণতন্ত্র হত্যা দিবস’ এবং আওয়ামী লীগ ‘গণতন্ত্রের বিজয় দিবস’ হিসেবে পালন করে আসছে।
বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েনের বিষয়ে জানতে চাওয়া হলে পল্টন থানার ওসি বলেন, আইন শৃঙ্খলা রক্ষার অংশ হিসেবে পুলিশের অতিরিক্ত সদস্য মোতায়েন করা হয়েছে।
এদিকে প্রতিদিন নয়াপল্টনে দলের নেতাকর্মীদের ব্যাপক উপস্থিতি থাকলেও শুক্রবার বেলা পৌনে ১২টা পর্যন্ত নেতাকমীদের উপস্থিতি চোখে পড়েনি। তবে দলীয় কার্যালয়ে উপস্থিত রয়েছেন চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য আবুল খায়ের ভুইয়া, আব্দুস সালাম, সিনিয়র যুগ্ম-মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী, সাংগঠনিক সম্পাদক সৈয়দ এমরান সালেহ প্রিন্স, প্রচার সম্পাদক শহীদ উদ্দিন চৌধুরী, প্রকাশনা সম্পাদক হাবিবুল ইসলাম হাবিব প্রমুখ।
শুক্রবার বেলা ১১টায় সংবাদ সম্মেলনে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বক্তব্য দেয়ার কথা থাকলেও তিনি আসেননি। বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম-মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী সংবাদ সম্মেলনে বক্তব্য রাখেন।
এর আগে, বৃহস্পতিবার বিএনপির দপ্তর থেকে পাঠানো বার্তায় বলা হয়েছিল, বিএনপিকে সমাবেশ করতে না দেওয়ার প্রতিবাদে ডাকা সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত থাকবেন দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তবে দলের সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবীর রিজভীই সংবাদ সম্মেলন করেছেন।
সংবাদ সম্মেলনে রুহুল কবীর রিজভী বলেন, ‘এখানে বিএনপির সাংগঠনিক কোনও দুর্বলতা নেই। আমরা পুলিশের পক্ষ থেকে অনুমতি পাইনি। তাই রাজনৈতিক কৌশলের কারণেই সমাবেশ করিনি। আগামীতে জনগণের পক্ষের কর্মসূচি অব্যাহত থাকবে। খালেদা জিয়ার নেতৃত্বে গণতন্ত্রকে মুক্ত করা ও সুষ্ঠু নির্বাচনের দাবিতে যে সংগ্রাম চলছে, তা অব্যাহত থাকবে।’
তিনি বলেন, ‘আওয়ামী লীগ যে গণতন্ত্র হত্যাকারী দল, তার প্রমাণ বিএনপিকে আজকে সমাবেশ করতে বাধা দেওয়া। ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারি বিতর্কিত ও কলঙ্কিত নির্বাচনকে আড়াল করার জন্য বিএনপিকে আজ কর্মসূচি পালন করতে বাধা দেওয়ার নীতি অবলম্বন করেছে সরকার। ভোটারবিহীন সেদিনের নির্বাচন দেশে-বিদেশে কলঙ্কিত নির্বাচন হিসেবে গণ্য হয়েছে। ৫ জানুয়ারির নির্বাচনে স্বীকৃতি মেলেনি বলে এ লজ্জা ঢাকতে বিএনপিসহ বিরোধী দলের কর্মসূচি দমন করতে সরকার নির্মম পন্থা অবলম্বন করছে।’
সারাদেশে বিএনপির কালো পতাকা মিছিলে বাধা দেওয়ার অভিযোগ করে রিজভী বলেন, ‘পুলিশ আমাদের দলের নেতাকর্মীদের হুমকি দিচ্ছে। বিভিন্ন জায়গায় দলীয় কার্যালয়ে তালা ঝুলিয়ে দিচ্ছে।’০৫জানুয়ারী,২০১৮শুক্রুবার::ক্রাইমর্বাতা.কম/প্রতিনিধি/আসাবি