আক্তারুজ্জামান :সাতক্ষীরা সদর উপজেলার ভোমরা বিওপি ক্যাম্পের অধিনে গবাদীপশু বিট খাটাল পরিচালনার দায়িত্বে থাকা মো: লেয়াকত আলী নানা বাধা বিপত্তী অতিক্রম করে উচ্চ আদালতের স্মরণাপন্ন হয়ে খাটাল পরিচালনার পূর্ণ দায়িত্ব ফিরে পেয়েছেন।
সূত্র মতে বিগত ৫বছর যাবৎ স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের অনুমতি সাপেক্ষে সকল নিয়ম কানুন মেনে বিট খাটাল পরিচালনা করে আসছিলেন মো: লেয়াকত আলী। গবাদীপশু আমদানী বিগত কিছু দিন বন্ধ থাকায় দায়িত্ব প্রাপ্ত খাটাল পরিচালনাকারীর অনুমোদন মেয়াদ উত্তীর্ণ হয়। এরই মধ্যে সরকার আবারও গবাদীপশু আমদানী চলমান রাখায় তিনি অনুমতি পাওয়ার জন্য একটি আবেদন দাখিল করে সংশ্লিষ্ট দপ্তরে । বিষয়টি স্থানীয় প্রশাসন ও স্বরাষ্ট্র মন্ত্রনালয় আমলে না নিলে তিনি উচ্চ আদালতে ১২/০৭/১৭ ইং তারিখে একটি রীট পিটিশন দাখিল করে। যাহার পিটিশন নাম্বার ৮৮০০/২০১৭। আদালত বিষয়টি যুক্তিতর্ক শেষে মন্ত্রণালয়কে বিট-খাটাল এর পরিচালনার তারিখ নির্ধারণের জন্য ৩০ দিনের সময় বেধে দেয়। এ সময়ের মধ্যে শন্তিপূর্ন ভাবে খাটালটি পরিচালিত হচ্ছিল। কিন্তু উক্ত খাটালের পরিচালনার দায়িত্ব নিতে স্থানীয় ভোমরা গ্রামের আশরাফুল ইসলাম পেশি শক্তির বলে অর্থের বিনিময়ে সমস্ত নিয়মনীতি তোয়াক্কা না করে গত ১১ ডিসেম্বর ২০১৭ ইং তারিখে জননিরাপত্তা বিভাগ স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে আগামী ১৩/০৪/২০১৮ ইং তারিখ পর্যন্ত খাটাল পরিচালনার অনুমোদন দেয়। এ দিকে চলমান খাটালে আদালতের নির্দেশ উপেক্ষা করে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় কর্তৃক অনুমোদন স্থানীয় প্রশাসন সহ ৩৮ বিজিবি পড়ে যায় চরম বিপাকে। স্থানীয় ভাবে শান্তি শৃঙ্খলা বজায় রাখার জন্য ৩৮ বিজিবির অধিনে ভোমরা বিওপি ক্যাম্পের কোম্পানী কমান্ডার সুবেদার ফিরোজ হোসেন আদালতের নির্দেশ ও স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের অনুমোদন বজায় রাখার জন্য উভয় পক্ষকে খাটাল পরিচালনায় বলবৎ রাখে। এ ঘটনায় এলাকায় চরম উত্তেজনা দেখা দিলে রীট পিটিশনকারী মান্ত্রণালয়ের নির্দেশকে স্থগিত করার জন্য আবারও উ”চ আদালতের স্মরনাপন্ন হয়। আদালত রীট পিটিশন নাম্বার ১৭৯৮০/২০১৭ এর ২৭/১২/২০১৭ তারিখের আদেশ মোতাবেক ৪/১২/২০১৭ তারিখে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় কর্তৃক ৪৪.০০.০০০০.১১৭.০৩.০০৭.১৫/২৪১ নাম্বার স্মারকে অনুমোদন প্রাপ্ত সাতক্ষীরা জেলার ভোমরা বিওপির অধিন মো: আশরাফুল ইসলামকে বিট-খাটাল পরিচালনা স্থগিত করার নির্দেশ দেন উচ্চ আদালত এবং বিগত দিনের ন্যায় লিয়াকত আলীকে বিট-খাটাল পরিচালনায় বলবৎ রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়। এ বিষয়ে ৩৮ বিজিবি’র অধিনায়ক এ প্রতিবেদকে জানিয়েছেন, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ও আদালতের নির্দেশ বজায় রাখতে উভয়কে চলমান রাখা হলেও পরবর্তী স্থগিত আদেশ দপ্তরে পৌছালে জেলা গবাদি পশু খাটাল পরিচালনা কমিটির সুপারিশ মতে আইন গত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
০৫জানুয়ারী,২০১৮শুক্রুবার::ক্রাইমর্বাতা.কম/প্রতিনিধি/আসাবি