পৃথিবীর কোনো দেশে বিচার বিভাগের জন্য আলাদা সচিবালয় নেই : আইনমন্ত্রী

ক্রাইমবার্তা রিপোর্ট:আইনমন্ত্রী আনিসুল হক বলেছেন, পৃথিবীর কোনো গণতান্ত্রিক-অগণতান্ত্রিক দেশে বিচার বিভাগের জন্য আলাদা সচিবালয় নেই। তাই এ মুহূর্তে এটা ভাবা অবাস্তব। তবে হ্যাঁ ভবিষ্যতে হবে কি হবে না সেটা বলা যাবে না। এখন যে ব্যবস্থা বিদ্যমান, সেটিই বিচার বিভাগের জন্য ভালো।

আজ রোববার ‘বিচার প্রশাসন প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউটে’ বিচার বিভাগীয় কর্মকর্তাদের এডমিনিস্ট্রেশন ট্রেনিং কোর্সের উদ্বোধনী অনুষ্ঠান শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি একথা বলেন।

ষোড়শ সংশোধনীর রিভিউ শুনানির বিষয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে আইনমন্ত্রী বলেন, রিভিউ করার অধিকার সংবিধান প্রত্যেককে দিয়েছে। সরকারকে বাদ দেয়নি। সে অধিকার নিয়ে রিভিউ করেছি। আপিল বিভাগ যখন মনে করবেন, তখন শুনানি হবে। আমরা রিভিউ করেছি, বাকিটা আপিল বিভাগের ওপর ছেড়ে দেব। আমরাও চাই, এ বিতর্কের নিরসন হোক।

নিম্ন আদালতের বিচারকদের শৃঙ্খলা বিধিমালা প্রসঙ্গে আনিসুল বলেন, সংবিধানে যে বিধি করার দায়িত্ব রাষ্ট্রপতিকে দেয়া হয়েছে, সেভাবেই করা হয়েছে। বিজ্ঞ নিম্ন আদালতের বিচারকদের শৃঙ্খলা নির্ধারণ করার বিষয়ে সংবিধানের ১১৬ ধারায় বলা আছে, রাষ্ট্রপতির কাছে এ ক্ষমতা থাকবে। তিনি সুপ্রিম কোর্টের সাথে আলোচনার মধ্য দিয়ে সিদ্ধান্ত নেবেন। শৃঙ্খলাবিধি যখন আপিল বিভাগ গ্রহণ করলেন, তখন তারা সন্তুষ্টি প্রকাশ করেছেন। দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতি তার আদালতের অভিমত স্পষ্ট প্রকাশ করেছেন। সেক্ষেত্রে গায়ে মানে না আপনি মোড়লদের বক্তব্য নিয়ে আমার কিছু করতে হবে বলে আমি মনে করি না। আমরা শৃঙ্খলাবিধি সবার গ্রহণযোগ্যভাবেই করেছি।

এর আগে অনুষ্ঠানে আইনমন্ত্রী বলেন, বর্তমানে দেশের আদালতগুলোতে প্রায় ৩০ লাখ মামলা বিচারাধীন আছে। এ মামলার জট কমিয়ে আনা বিচার বিভাগ ও সরকারের জন্য অন্যতম চ্যালেঞ্জ। তাই এ চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় সরকার উল্লেখযোগ্য কিছু পদক্ষেপ নিয়েছে। দেওয়ানী কার্যবিধি এবং অর্থঋণ আদালত আইন সংশোধনের মাধ্যমে বিকল্প বিরোধ নিষ্পত্তি পদ্ধতির বিধান অন্তর্ভূক্ত করে দ্রুত বিচার নিষ্পত্তির সহায়ক আইন করা হয়েছে। শত বছরের পুরোনো আইন ও বিধিগুলো সংস্কার করে বিচার ব্যবস্থার যুগান্তকারী পরিবর্তন আনতে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে।

তিনি বলেন, মামলা জট কমিয়ে আনার চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় বিদ্যমান আইন অনুযায়ী বিচারকার্য পরিচালনার ক্ষেত্রে বিচারকদেরও আন্তরিকভাবে কাজ করতে হবে। ন্যায় বিচারের দ্বার যেন সর্বস্তরের বিচারপ্রার্থীদের জন্য সমানভাবে উন্মুক্ত থাকে এবং কেবল বিত্তবানদের জন্য যেন সীমাবদ্ধ না থাকে, সে বিষয়ে তিনি বিচারকদের সজাগ থাকার আহবান জানান।

বিচার প্রশাসন প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউটের মহাপরিচালক বিচারপতি খোন্দকার মূসা খালেদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আইন ও বিচার বিভাগের সচিব আবু সালেহ শেখ মো. জহিরুল হকও বক্তব্য দেন।০৭জানুয়ারী,২০১৮রবিবার::ক্রাইমর্বাতা.কম/প্রতিনিধি/আসাবি

Check Also

৩০ জুলাই পর্যন্ত অনেক দল সিদ্ধান্ত নিতে পারেনি, সংগ্রামে যুক্ত হবে কি না: সারজিস আলম

জাতীয় নাগরিক কমিটির মুখ্য সংগঠক ও জুলাই শহীদ স্মৃতি ফাউন্ডেশনের সাধারণ সম্পাদক সারজিস আলম বলেছেন, …

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

***২০১৩-২০২৩*** © ক্রাইমবার্তা ডট কম সকল অধিকার সংরক্ষিত।