ভ্রামমান আদালতের তদারকি না থাকায় অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে ব্যবসা চালাচ্ছে হোটেল মালিকরা 

ক্রাইমবার্তা রিপোর্ট:খলিলুর রহমান, পাটকেলঘাটা প্রতিনিধি :পাটকেলঘাটা বাজারের হোটেল রেস্তোরাগুলোতে পঁচা বাসী খাবার দেদারসে বিক্রি হচ্ছে দেখার কি কেউ নেই ? স্থানীয় প্রশাসন জানলেও কোন ব্যবস্থা নিচ্ছে না। অধিকাংশ হোটেলে খাওয়ানো হচ্ছে অপরিস্কার ভেজাল ও পঁচা-বাসী খাবার এছাড়া হোটেলে বসে খাবার খাওয়ার নেই কোন পরিবেশ। পাটকেলঘাটা বাজার সহ আশপাশের বিভিন্ন সড়কের ধুলাবালি, মাছি, মশা খাবার দুষিত, রান্না ঘরে অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে পঁচা বাসী নিন্ম মানের মসলা ব্যবহার করা হচ্ছে। হোটেল রেস্তোরার পেছনে ময়লা আবর্জনা পরিস্কারের ব্যবস্থা নেই। দুর্গন্ধযুক্ত পরিবেশে রান্না ঘরে এসব খাবার রান্না ও পরিবেশন করলেও নেই কোন প্রশাসনিক ব্যবস্তা। আবার নেই কোন খাবার বিশুদ্ধ পানি সরবরাহের ব্যবস্থা। জমজমাট ব্যবসা পেতে বসলেও গ্রাহক সেবার মান একে বারেই নিন্ম মানের। প্রতিদিন অত্র এলাকার ছাত্র-ছাত্রী চাকরীজিবিসহ অসংখ্য লোকসমাগম হয় এ পাটকেলঘাটা বাজারে । আর এ সুযোগে হোটেলগুলো তে ভেজাল ও পঁচা-বাসী খাবার বিক্রি হচ্ছে অবাধে। আর সে সুযোগে হোটেলের মালিকরা হাতিয়ে নিচ্ছে লাখ লাখ টাকা। বর্তমানে ভেজাল বিরোধী অভিযান ঝিমিয়ে পড়ায় এ অবস্থা সৃষ্টি হয়েছে। সরেজমিনে দেখা যায় হোটেল গুলোর পরিবেশ অস্বাস্থ্যকর, নোংরা পরিবেশ, পচা-বাসী, ভেজাল খাবার ক্রেতাদের মাঝে পরিবেশন ও বিক্রি করা হচ্ছে। রান্না করা খাবার খোলা অবস্থায় থাকায় মশা-মাছি, ধুলা-বালি পড়ছে অবাধে। র্দুগন্ধ, ময়লা পরিবেশ, রান্না ঘরে স্যাঁতস্যাঁতে ভাব। হোটেল গুলোতে স্বাস্থ্যবিধি মানা হচ্ছে না। অধিকাংশ হোটেলের ফুড প্রসেসিং লাইসেন্স নেই। খাবার হোটেল গুলোর বাইরের অংশ ফিটফাট হলেও ভিতরে সদর ঘাট অথ্যাৎ ভেতরে যেখানে খাবার তৈরি করা হয় সেখানে অত্যান্ত নোংরা ও আবর্জনাময় । ভেজাল মিষ্টি তৈরিতে এখন ব্যবহার করা হচ্ছে স্যাকারিন আর ক্ষতিকারক রং । এমনকি মিষ্টি তৈরী প্রধান উপকরন ছানাও তৈরী হচ্ছে ভেজাল প্রক্রিয়ায় । এছাড়াও ৪/৫ দিনের পোড়া তেল দিয়ে ভাজা হচ্ছে, চপ-পুরি, ছোলা, সামোছা, পেয়াজীসহ নানা প্রকার খাবার । এসব খাবার আবার অনেক সময় সুযোগ বুঝে পচা বাসী অবস্থায় বিক্রি করা হয়ে থাকে । খাবারে ভেজাল মেশানো ও পচাবাসী খাবার এবং উন্মুক্ত স্থানে খাবার রেখে বিক্রি করায় পাটকেলঘাটা বাজারের কয়েকটি হোটেলে জরিমানা করলেও তারা সেদিকে তোয়াক্কা না করে নির্বিঘ্নে নির্ভেজাল খাবার বিক্রি করে চলেছে। অন্য দিকে বহুদিন যাবত ভ্রামমান আদালতের তদারকি না থাকায় অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে বহাল তবিয়তে ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছে এসব হোটেল মালিকেরা। এ বিষয়ে তালা সেনেটারী ইঃফেক্টর শাহানাজ বেগম জানান,গত প্রায় ছয় সাত মাস আগে ভেজাল বিরোধী অভিযান হয়েছিল আমরা খুব তাড়াতাড়ি উপজেলা নির্বাহী অফিসারের সাথে কথা বলে আবার অভিযান পরিচালনা করা হবে।

০৭জানুয়ারী,২০১৮রবিবার::ক্রাইমর্বাতা.কম/প্রতিনিধি/আসাবি

Check Also

যশোর বেনাপোল দিয়ে ভারতে প্রবেশের সময় কলারোয়ার আ’লীগ কাউন্সিলর গ্রেপ্তার

নিজস্ব প্রতিনিধি :- সাতক্ষীরা: যশোরের বেনাপোল স্থলবন্দর দিয়ে ভারতে পালিয়ে যাওয়ার সময় সাতক্ষীরার কলারোয়া পৌরসভার …

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

***২০১৩-২০২৩*** © ক্রাইমবার্তা ডট কম সকল অধিকার সংরক্ষিত।