ক্রাইমবার্তা রিপোর্ট:ঢাকা: বিজয় দিবস, শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস, বঙ্গবন্ধুর স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস, জাতীয় শোক দিবস, ২৬ মার্চ স্বাধীনতা দিবসসহ আটটি বিশেষ দিবস সব নাগরিকের বাধ্যতামূলক পালনের নির্দেশনা চেয়ে করা রিট আবেদনটি সরাসরি খারিজ করে দিয়েছে হাইকোর্ট।
এ সংক্রান্ত এক রিট আবেদনের শুনানি শেষে সোমবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে বিচারপতি কাজী রেজাউল হকের নেতৃত্বাধীন হাইকোর্ট বেঞ্চ এই আদেশ দেন।
এর আগে গত বুধবার রিট আবেদনটি করেছিলেন সুপ্রিম কোর্টের দুই আইনজীবী মোজাম্মেল হক ও শহিদুল ইসলাম।
আদালত থেকে বেরিয়ে রিটকারী আইনজীবী শহিদুল ইসলাম গণমাধ্যমকে এসব তথ্য জানান।
বঙ্গবন্ধু আইন ছাত্র পরিষদের সভাপতি শহিদুল ইসলাম বলেন, ১০ জানুয়ারি বঙ্গবন্ধুর স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস, বঙ্গবন্ধুর ৭ মার্চের ভাষণ, ২৬ মার্চ স্বাধীনতা দিবস, ১৭ এপ্রিল মুজিবনগর দিবস, ১৫ আগস্ট জাতীয় শোক দিবস, ৩ নভেম্বর জেলহত্যা দিবস, ১৪ ডিসেম্বর শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস, ১৬ ডিসেম্বর বিজয় দিবস হচ্ছে আমাদের মূল ভিত্তি।’
তিনি জানান, এসব দিবস প্রত্যেক রাজনৈতিক দলসহ সব নাগরিকের জন্য পালন বাধ্যতামূলক করতে সরকার ও নির্বাচন কমিশনের প্রতি নির্দেশনা চেয়ে রিট আবেদনটি করেছিলেন তারা।
উপাধ্যক্ষদের কেন অধ্যক্ষ পদে নিয়োগ নয়: হাইকোর্ট
জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্তর্ভুক্ত বেসরকারি ডিগ্রি কলেজগুলোর উপাধ্যক্ষদের সুনির্দিষ্ট কার্যপ্রণালি প্রণয়ন এবং উপাধ্যক্ষ থেকে পদোন্নতির মাধ্যমে অধ্যক্ষ পদে নিয়োগ দেয়ার পদ্ধতি চালু করার নির্দেশ কেন দেয়া হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন হাইকোর্ট।
আগামী চার সপ্তাহের মধ্যে শিক্ষা সচিব, জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসিসহ পাঁচজনকে রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে। এক রিটের শুনানি নিয়ে রোববার হাইকোর্টের বিচারপতি কাজী রেজা-উল হক ও বিচারপতি মোহাম্মদ উল্লাহর সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ এ আদেশ দেন।
আদালতে রিট আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন অ্যাডভোকেট মো. হুমায়ন কবির। অন্যদিকে রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল টাইটাস হিল্লোল রেমা।
রিটকারী আইনজীবী অ্যাডভোকেট মো. হুমায়ন কবির সাংবাদিকদের জানান, জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভুক্ত বেসরকারি কলেজ শিক্ষকদের চাকরি বিধি-১৯৯৪ এবং সংশোধিত চাকরি বিধি ২০১৫ এর কোথাও উপাধ্যক্ষদের (ভাইস প্রিন্সিপাল) কাজের সুনির্দিষ্ট কার্যপরিধি উল্লেখ নেই। এছাড়া অধ্যক্ষ (প্রিন্সিপাল) পদে নিয়োগের ক্ষেত্রে উপাধ্যক্ষদের কোনো অগ্রাধিকার দেয়া হয় না।
যে কারণে সংক্ষুব্ধ হয়ে বগুড়া কলেজ, বগুড়ার উপাধক্ষ্য এ কে এম মাইন উদ্দিনসহ দেশের বিভিন্ন অঞ্চলের ১৮ জন উপাধক্ষ্য হাইকোর্টে রিট দায়ের করেন। রিটের শুনানি শেষে আদালত এ রুল জারি করেন।
০৮জানুয়ারী,২০১৮সোমবার:::ক্রাইমর্বাতা.কম/প্রতিনিধি/আসাবি