ক্রাইমবার্তা রিপোর্ট::মোংলা: বাগেরহাটের মোংলার সুন্দরবনের বৈদ্যমারী এলাকায় বাঘের আক্রমণে একটি গাভি ও তার পেটের বাচ্চাটি মারা গেছে। এই ঘটনায়, সুন্দরবনে গোচারণ করানোর অভিযোগে গরুর মালিকের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছে বন বিভাগের পক্ষ থেকে।
জানা যায়,বৈদ্যমারী গ্রামের মমিন উদ্দিন মুন্সী এই গরুর মালিক। আজ বৃহস্পতিবার ভোরে খড়মা নদী (মৃত খাল) পার হয়ে সুন্দরবনের ওপারে গাভিটিকে খাবারের জন্য মালিক চারণ করে আসেন।কিন্তু খড়মা নদীর সুন্দরবনের ওপারে বাঘের আক্রমণের স্বীকার হয়ে গাভিটি মারা যায়।
মালিকের দাবি,তার গোয়ালের এই গাভির পেটে বাচ্চা ছিল।বাচ্চাসহ গাভিটি বাঘের আক্রমণে আজ বৃহস্পতিবার সকালে মারা গেছে।
স্থানীয় লোকজন জানায়, বৈদ্যমারী গ্রামের মমিন উদ্দিন মুন্সীর গোয়ালের একটি গাভি সুন্দরবনে প্রবেশ করে। একটি বাঘ হামলা চালিয়ে গাভীর পেছনের অংশ থেকে ১০ থেকে ১২ কেজি মাংস খেয়ে ফেলে। এ সময় লোকজন আসার আগেই বাঘটি বনের ভেতরে চলে যায়। বন বিভাগের সহায়তায় স্থানীয় লোকজন গাভিটিকে উদ্ধার করে মাটি চাপা দেয়।
গাভির মালিক মমিন উদ্দিন মুন্সী বলেন, ‘বাঘটি গাভির পেছনের দিক থেকে খেয়ে ফেলেছে। এ কারণে গাভির পেটে থাকা বাচ্চার দুটি পা বেরিয়ে এসেছে। বাঘের আক্রমণে গাভি ও বাচ্চা উভয়ই হারাতে হয়েছে।’
বন বিভাগের পূর্ব সুন্দরবনের চাঁদপাই স্টেশন কর্মকর্তা মো. কামরুল হাসান বলেন, ‘সুন্দরবনে অনাধিকার গরু প্রবেশ করিয়ে গোচারণ করানোর অভিযোগে গাভির মালিকের বিরুদ্ধে বন আইনে মামলা করা হয়েছে। ভবিষ্যৎতে যাতে কারো গবাদি পশু বনে প্রবেশ না করে সেজন্য সবাইকে সতর্ক করা হচ্ছে। এ ছাড়া কয়েকদিন ধরে বাঘের আনাগোনা বৈদ্যমারী এলাকায় বৃদ্ধি পেয়েছে। যার কারণে বনের আশপাশের লোকজনকে সচেতনমূলক ব্যবস্থা গ্রহণে পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে।’
কামরুল হাসান আরো বলেন, ‘বাঘের আনাগোনাটা একটা ভালো দিক। কারণ বাঘের সংখ্যা বৃদ্ধিই এর লক্ষণ। সুতরাং বাঘ আমাদের প্রয়োজন আছে। বাঘের এবং সাধারণ মানুষের জানমালের যাতে কোনো ক্ষতি না হয়, সেজন্য বন বিভাগের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা সচেষ্ট রয়েছে।’
এর আগে গতকাল বুধবার বিকেলে একই এলাকায় বাঘের তাড়া খেয়ে একটি হরিণ লোকালয়ে চলে আসে। পরে স্থানীয় লোকজনের সহায়তায় হরিণটিকে উদ্ধার করা হয়। স্থানীয়দের সহযোগিতায় হরিণটিকে অক্ষত অবস্থায় বনে ছেড়ে দেওয়া হয়।
১১জানুয়ারী,২০১৮বৃহস্পতিবার::ক্রাইমর্বাতা.কম/প্রতিনিধি/আসাবি