ক্রাইমবার্তা রিপোর্ট:আবারও ওয়ান-ইলেভেনের আশঙ্কা করছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। শঙ্কার সঙ্গে ভয়ের কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ সেই বিভীষিকাময় দিনটি থেকে শিক্ষা নিলেও বিএনপি নেয়নি।
বৃহস্পতিবার সকালে আওয়ামী লীগ সভাপতির ধানমণ্ডির রাজনৈতিক কার্যালয়ে সম্পাদকমণ্ডলীর সভাশেষে ব্রিফিংয়ে সাংবাদিকদের তিনি এ কথা বলেন।
ওবায়দুল কাদের বলেন, বিএনপি ঘোলাপানিতে মাছ শিকার করতে চায়। অস্থিরতা সৃষ্টি করে ক্ষমতায় আসতে চায়। বিএনপির সেই দুরভিসন্ধি বাস্তবায়ন হবে না। বাংলাদেশে আর ওয়ান-ইলেভেনের পুনরাবৃত্তি ঘটবেনা।
তিনি বলেন, বিএনপি তার বর্তমান অবস্থা জেনে গেছে। নির্বাচনের আগেই সারা দেশের আওয়ামী লীগের জোয়ার দেখে বিএনপি বুঝে গেছে যে, আগামী নির্বাচনে তাদের পরিণতি কী। ভোট পাওয়ার মতো কোনো কাজ করেনি তারা।
সরকারের চার বছর নিয়ে করা অপর এক প্রশ্নে কাদের বলেন, দলের ভেতরে ছোটখাটো সমস্যা থাকতেই পারে। সে কারণে কোথাও কোথাও সম্মেলন হয়নি। তবে দলকে আধুনিক এবং মাঠ সুসংগঠিত করে শেখ হাসিনার নেতৃত্বেই আগামী নির্বাচনে অংশ নেব। ইতোমধ্যে আমাদের টিম নির্ধারণ করা হয়েছে। প্রত্যেক্যের সাংগঠনিক এলাকায় তারা টিমওয়ার্ক করে সমস্যা চিহ্নিত করে সমাধান নেবে।
সরকারের সফলতা-ব্যর্থতা নিয়ে তিনি বলেন, এ নিয়ে ১২ তারিখ প্রধানমন্ত্রী জাতির উদ্দেশ্যে দেয়া ভাষণে বলবেন। এর পর দলীয়ভাবে একটি সংবাদ সম্মেলনে আমরা আমাদের কথাগুলো বলব। আপাতত এতটুকু বলা যায়, আমাদের ত্রুটি নেই এমনটি বলব না। চাঁদেরও তো কলংক আছে। তাই বলে কি আলো থেমে থাকে। আমাদের অনেক সফলতা আছে, ত্রুটিও আছে, তাই বলে আমাদের উন্নয়নকে ঢেকে রাখা যাবে না।
নির্বাচনে ব্যবসায়ীদের প্রাধান্য দেয়ার বিষয়ে এক প্রশ্নের জবাবে ওবায়দুল বলেন, দলের প্রার্থী, দলীয় নেতা আর নির্বাচন এটির মধ্যে পার্থক্য আছে। এটি রাজনৈতিক স্ট্রাটেজি। স্ট্রাটেজিক অ্যালায়েন্স। বিশ্বের অন্যান্য দেশেও নির্বাচনে স্ট্রাটেজিক অ্যালায়েন্স হয়। তিনি বলেন, একজন রাজনীতিবিদ কি ব্যবসা করতে পারেন না? তারা চাঁদাবাজি করে খাবেন?
সংবাদ সম্মেলনে ওবায়দুল কাদের আরও বলেন, প্রার্থী ঘোষণার আগে কেউ প্রার্থী নন। অনেকে নিজের মতো করে দলের সভাপতি, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে দেখা করেছেন, কথা বলেছেন। এতে প্রমাণিত হয় না যে, প্রার্থী নির্বাচন হয়ে গেছে। তবে আতিকুল ইসলাম দলের সভাপতি শেখ হাসিনার সঙ্গে দেখা করেছেন। সে সময় শেখ হাসিনা বলেছেন- কাজ কর। সিদ্ধান্ত পরে।
তিনি বলেন, ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী নির্বাচন হবে আগামী ১৬ জানুয়ারি। ওই দিন দলের মনোনয়ন বোর্ডের সভায় সিদ্ধান্ত নেয়া হবে- কে প্রার্থী হচ্ছেন। তবে আমরা সমমনা প্রার্থী দেব।
আওয়ামী লীগের সম্পাদকমণ্ডলীর সভায় উপস্থিত ছিলেন যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব-উল আলম হানিফ, আবদুর রহমান, জাহাঙ্গীর কবির নানক, সাংগঠনিক আহমদ হোসেন, এনামুল হক শামীম, খালিদ মাহমুদ চৌধুরী, মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল, দফতর সম্পাদক ড. আবদুস সোবহান গোলাপ, প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ, বন ও পরিবেশবিষয়ক সম্পাদক দেলোয়ার হোসেন, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিবিষয়ক সম্পাদক আবদুস সবুর, শিক্ষা ও মানব সম্পদবিষয়ক সম্পাদক শামসুন্নাহার চাঁপা, আন্তর্জাতিকবিষয়ক সম্পাদক শাম্মী আক্তার, উপপ্রচার সম্পাদক আমিনুল ইসলাম, উপদফতর সম্পাদক ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়া প্রমুখ।১১জানুয়ারী,২০১৮বৃহস্পতিবার::ক্রাইমর্বাতা.কম/প্রতিনিধি/আসাবি