ক্রাইমবার্তা রিপোর্ট:সংবিধান অনুযায়ী ২০১৮ সালের শেষদিকে একাদশ জাতীয় সংসদের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। কিভাবে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে তা আমাদের সংবিধানে স্পষ্টভাবে বলা আছে’ বলে মন্তব্য করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
শুক্রবার সাড়ে সাতটায় সন্ধ্যায় মহাজোট সরকারের দ্বিতীয় মেয়াদে চার বছর পূর্তি উপলক্ষে জাতির উদ্দেশে বাংলাদেশ টেলিভিশন, বাংলাদেশ বেতার এবং বিভিন্ন বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেল ও রেডিও তে সরাসরি সম্প্রচারিত এক ভাষণে এসব কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
জনগণের উদ্দেশে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ২০১৪ সালে আপনাদের ভোটে নির্বাচিত হয়ে আজকের এই দিনে আমি তৃতীয়বারের মত প্রধানমন্ত্রী হিসেবে শপথ গ্রহণ করেছিলাম। আজ বছরপূর্তিতে আপনাদের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানাতে হাজির হয়েছি।
তিনি বলেন, আমার উপর যে বিশ্বাস ও আস্থা রেখেছিলেন, আমি প্রাণপণ চেষ্টা করেছি আপনাদের মর্যাদা রক্ষা করার। কতটুকু সফল বা ব্যর্থ হয়েছি সে বিচার আপনারাই করবেন।
শেখ হাসিনা বলেন, আমি শুধু এটুকু বলতে চাই- জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এই দেশ স্বাধীন করেছেন একটি আদর্শ ও চেতনা ধারণ করে। বাংলাদেশের মানুষকে ক্ষুধা, দারিদ্র্য, অশিক্ষার হাত থেকে মুক্ত করে একটি সুন্দর জীবন নিশ্চিত করার প্রত্যয় নিয়ে স্বাধীনতার সংগ্রাম করেছিলেন। ২৪ বছরের সংগ্রাম ও মহান মুক্তিযুদ্ধে বিজয়ের মধ্য দিয়ে স্বাধীন সার্বভৌম বাংলাদেশ তিনি প্রতিষ্ঠা করে গেছেন।
তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধুর সেই আকাঙ্ক্ষা পূরণ করাই আমার একমাত্র ব্রত। বাংলার মানুষ যেন অন্ন পায়, বস্ত্র পায়, উন্নত জীবনের অধিকারী হয়- জাতির পিতার এই উক্তি সর্বদা আমার হৃদয়ে অনুরণিত হয়। তাই সর্বদা আমার একটাই প্রচেষ্টা- কিভাবে বাংলাদেশের মানুষের জীবনকে অর্থবহ করব, স্বচ্ছল ও সুন্দর করে গড়ে তুলব।
তিনি বলেন, সংবধিান অনুযায়ী নির্বাচনের আগে নির্বাচনকালীন সরকার গঠিত হবে। সেই সরকার সর্বোতভাবে নির্বাচন কমিশনকে নির্বাচন পরিচালনায় সহায়তা দিয়ে যাবে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, রাষ্ট্রপতি অনুসন্ধান কমিটির মাধ্যমে নতুন নির্বাচন কমিশন গঠন করেছেন। এই কমিশন ইতোমধ্যে দুটি সিটি করপোরেশন নির্বাচনসহ স্থানীয় পর্যায়ের বেশ কিছু নির্বাচন সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করার মাধ্যমে জনগণের আস্থা অর্জন করেছে।
তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করে বলেন, নির্বাচন কমিশনে নিবন্ধিত সকল দল আগামী সাধারণ নির্বাচনে অংশ নিবেন এবং দেশের গণতান্ত্রিক ধারাকে সমুন্নত রাখতে সহায়তা করবেন।
এসময় জনগণকে সতর্ক করে শেখ হাসিনা বলেন, কোনো কোনো মহল আগামী নির্বাচনকে কেন্দ্র করে দেশে অরাজক পরিস্থিতি সৃষ্টির অপচেষ্টা করতে পারে। আপনাদের এ ব্যাপারে সতর্ক থাকতে হবে।
বিএনপিকে ইঙ্গিত করে তিনি বলেন, জনগণ অশান্তি চায় না। নির্বাচন বয়কট করে আন্দোলনের নামে জনগণের জানমালের ক্ষতি করবেন- এটা আর এদেশের জনগণ মেনে নেবে না।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, সংবধিান অনুযায়ী একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে নির্বাচনকালীন সরকার গঠিত হবে। সেই সরকার সর্বোতভাবে নির্বাচন কমিশনকে নির্বাচন পরিচালনায় সহায়তা দিয়ে যাবে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, নির্বাচন কমিশনে নিবন্ধিত সব দল আগামী সাধারণ নির্বাচনে অংশ নিবেন এবং দেশের গণতান্ত্রিক ধারাকে সমুন্নত রাখতে সহায়তা করবেন।
তিনি আরো বলেন, নয় বছর একটানা জনসেবার সুযোগ পাওয়ায় বাংলাদেশ উন্নত হচ্ছে, বিশ্বব্যাপী অর্থনৈতিক মন্দা থাকা সত্ত্বেও দেশের অর্থনৈতিক উন্নতি অব্যাহত রয়েছে।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, আমার উপর যে বিশ্বাস ও আস্থা রেখেছিলেন, আমি প্রাণপণ চেষ্টা করেছি আপনাদের মর্যাদা রক্ষা করার। কতটুকু সফল বা ব্যর্থ হয়েছি সে বিচার আপনারাই করবেন।
————–0————
ঢাকা: ‘প্রধানমন্ত্রী হিসেবে জনগণের বিশ্বাস, আস্থা ও মর্যাদা রক্ষায় প্রাণপণ চেষ্টা করেছি, কতটুকু সফল বা ব্যর্থ সে বিচার জনগণই করবে’ বলে মন্তব্য করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
শুক্রবার সাড়ে সাতটায় সন্ধ্যায় মহাজোট সরকারের দ্বিতীয় মেয়াদে চার বছর পূর্তি উপলক্ষে জাতির উদ্দেশে বাংলাদেশ টেলিভিশন, বাংলাদেশ বেতার এবং বিভিন্ন বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেল ও রেডিও তে সরাসরি সম্প্রচারিত এক ভাষণে এসব কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, সংবধিান অনুযায়ী একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে নির্বাচনকালীন সরকার গঠিত হবে। সেই সরকার সর্বোতভাবে নির্বাচন কমিশনকে নির্বাচন পরিচালনায় সহায়তা দিয়ে যাবে। নির্বাচন কমিশনে নিবন্ধিত সব দল আগামী সাধারণ নির্বাচনে অংশ নিবেন এবং দেশের গণতান্ত্রিক ধারাকে সমুন্নত রাখতে সহায়তা করবেন।
তিনি আরো বলেন, নয় বছর একটানা জনসেবার সুযোগ পাওয়ায় বাংলাদেশ উন্নত হচ্ছে, বিশ্বব্যাপী অর্থনৈতিক মন্দা থাকা সত্ত্বেও দেশের অর্থনৈতিক উন্নতি অব্যাহত রয়েছে।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, আমার উপর যে বিশ্বাস ও আস্থা রেখেছিলেন, আমি প্রাণপণ চেষ্টা করেছি আপনাদের মর্যাদা রক্ষা করার। কতটুকু সফল বা ব্যর্থ হয়েছি সে বিচার আপনারাই করবেন।
জনগণের উদ্দেশে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ২০১৪ সালে আপনাদের ভোটে নির্বাচিত হয়ে আজকের এই দিনে আমি তৃতীয়বারের মত প্রধানমন্ত্রী হিসেবে শপথ গ্রহণ করেছিলাম। আজ বছরপূর্তিতে আপনাদের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানাতে হাজির হয়েছি।
তিনি বলেন, আমার উপর যে বিশ্বাস ও আস্থা রেখেছিলেন, আমি প্রাণপণ চেষ্টা করেছি আপনাদের মর্যাদা রক্ষা করার। কতটুকু সফল বা ব্যর্থ হয়েছি সে বিচার আপনারাই করবেন।
শেখ হাসিনা বলেন, আমি শুধু এটুকু বলতে চাই- জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এই দেশ স্বাধীন করেছেন একটি আদর্শ ও চেতনা ধারণ করে। বাংলাদেশের মানুষকে ক্ষুধা, দারিদ্র্য, অশিক্ষার হাত থেকে মুক্ত করে একটি সুন্দর জীবন নিশ্চিত করার প্রত্যয় নিয়ে স্বাধীনতার সংগ্রাম করেছিলেন। ২৪ বছরের সংগ্রাম ও মহান মুক্তিযুদ্ধে বিজয়ের মধ্য দিয়ে স্বাধীন সার্বভৌম বাংলাদেশ তিনি প্রতিষ্ঠা করে গেছেন।
তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধুর সেই আকাঙ্ক্ষা পূরণ করাই আমার একমাত্র ব্রত। বাংলার মানুষ যেন অন্ন পায়, বস্ত্র পায়, উন্নত জীবনের অধিকারী হয়- জাতির পিতার এই উক্তি সর্বদা আমার হৃদয়ে অনুরণিত হয়। তাই সর্বদা আমার একটাই প্রচেষ্টা- কিভাবে বাংলাদেশের মানুষের জীবনকে অর্থবহ করব, স্বচ্ছল ও সুন্দর করে গড়ে তুলব।
সবাইকে একসঙ্গে কাজ করতে হবে: প্রধানমন্ত্রী
২০২১ সালে বাংলাদেশকে ক্ষুধা ও দারিদ্র্যমুক্ত দেখতে চান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেছেন, ‘আমরা উন্নয়নের গতি নিয়ে কাজ করে যাচ্ছি, যার সুফল পাচ্ছে জনগণ। এটি যেন অব্যাহত থাকে সেজন্য সরকার কাজ করে যাচ্ছে। উন্নয়ন কর্মকাণ্ড যেন সঠিকভাবে পরিচালনা করা হয় সেজন্য সবাইকে একসঙ্গে কাজ করতে হবে।’
বৃহস্পতিবার সকালে গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে তিন দিনের উন্নয়ন মেলার উদ্বোধনের সময় তিনি এসব কথা বলেন।
প্রধানমন্ত্রী বললেন, ‘বাংলাদেশের প্রতিটি মানুষ ঘর পাবে, চিকিৎসাসেবা পাবে, প্রতিটি মানুষ আলোকিত হবে। এগুলোই ছিল বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন। ২০০৯ সালে ক্ষমতায় আসার পর কিভাবে দেশের মানুষের উন্নতি করা যায় আমাদের সেই ভাবনা ছিল সবসময়। আমরা সেই লক্ষ্যে কাজ করছি। আমরা বিনামূল্যে বই দিচ্ছি, বৃত্তি প্রাইমারি থেকে মাস্টার্স পর্যন্ত বই দেওয়ার উদ্যোগ নিয়েছি। প্রতিটি জেলায় বিশ্ববিদ্যালয় করে দিচ্ছি। শিক্ষার মানোন্নয়নে উপজেলা পর্যন্ত প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করছি।’
তিনি বলেন, ‘আমাদের উন্নয়ন সার্বিকভাবে সব মানুষের, বিশেষ করে গ্রামের মানুষের জন্য। গ্রামের মানুষের উন্নয়নের জন্য রাস্তাঘাট নির্মাণ, শিক্ষা ব্যবস্থার উন্নতিসহ আমরা বিভিন্ন পদক্ষেপ নিয়েছি যেন বিশ্ব দরবারে সম্মানজনক স্থানে পৌঁছাতে পারি।’
ঢাকা জেলা প্রশাসনের আয়োজনে রাজধানীর সেগুনবাগিচায় শিল্পকলা একাডেমিতে বৃহস্পতিবার শুরু হয়েছে তিন দিনের উন্নয়ন মেলা। ১৩ জানুয়ারি পর্যন্ত ৬৪টি জেলা ও সব উপজেলায় প্রান্তিক পর্যায়ের জনগণের কাছে উন্নয়ন তৎপরতা ও সাফল্য প্রচারের লক্ষ্যে এর আয়োজন করেছে সরকার।
মেলায় দেশের সব মন্ত্রণালয়, সেনাবাহিনী, নৌবাহিনী, বিমানবাহিনী, পুলিশ, আনসারসহ অন্যান্য আইনশৃঙ্খলাবাহিনীর পৃথক পৃথক স্টল থাকবে। সব সরকারি, আধাসরকারি ও বেসরকারি সংস্থার পক্ষ থেকে দর্শনার্থীদের সামনে নিজেদের উন্নয়ন কার্যক্রম তুলে ধরা হবে। একইসঙ্গে সরকারি সংস্থাগুলোর সেবাগুলোও দেওয়া হবে।
সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের মাধ্যমে তুলে ধরা হবে দেশের মুক্তিযুদ্ধ ও আর্থ-সামাজিক উন্নয়নের বিভিন্ন দিক। প্রতিদিন বিকালে দেশবরেণ্য শিল্পীদের পরিবেশনায় থাকছে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। এছাড়াও রয়েছে আলোচনা সভা, মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক কুইজ, বিতর্ক ও রচনা প্রতিযোগিতা।
ঢাকা জেলা প্রশাসন সূত্র জানায়, ২০০৮ থেকে ২০১৭ পর্যন্ত দেশে অনেক উন্নয়নমূলক কর্মকাণ্ড হয়েছে। গত ১৩ বছরের এসব অগ্রগতি ও উন্নয়ন চিত্র তুলে ধরা হবে এবারের মেলায়।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন বর্তমান সরকার বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বপ্নের ক্ষুধা ও দারিদ্র্যমুক্ত সোনার বাংলা গড়ে তোলার লক্ষ্যে ১০টি বিশেষ উদ্যোগ গ্রহণের ঘোষণার মাধ্যমে দেশকে সামনের দিকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছেন। এগুলো হলো— একটি বাড়ি একটি খামার প্রকল্প, আশ্রয়ণ প্রকল্প, ডিজিটাল বাংলাদেশ, শিক্ষা সহায়তা কর্মসূচি, নারীর ক্ষমতায়ন কর্মসূচি, সবার জন্য বিদ্যুৎ, সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচি, কমিউনিটি ক্লিনিক ও মানসিক স্বাস্থ্য, বিনিয়োগ উন্নয়ন ও পরিবেশ সংরক্ষণ। এবারের মেলায় এসব বিষয়ের ওপর হবে বিশেষ প্রদর্শনী।
১২জানুয়ারী,২০১৮শৃক্রবার::ক্রাইমর্বাতা.কম/প্রতিনিধি/আসাবি