ক্রাইমবার্তা রিপোর্ট:শ্যামনগর (সাতক্ষীরা) প্রতিনিধিঃ শ্যামনগরের নাসরুল উলুম কোরবানীয়া কাওমিয়া মাদ্রাসার মুহতামিমের বিরুদ্ধে জমি জমাদী সম্পর্কিত অনৈতিক কর্মকান্ডের অভিযোগ পাওয়া গেছে। অভিযোগটি দায়ের করেন কাশিপুর গ্রামের এন্তাজ কাগুজীর পুত্র ই¯্রাফিল কাগুজী (৪০)। তিনি অভিযোগে জানান, শ্যামনগর থানা সংলগ্ন মাদ্রাসার মুহতামিম মুফতী মওছুফ সিদ্দিকী মাদ্রাসার জমি সর্বপেক্ষা বেশী মূল্যে টেন্ডার গ্রহীতাকে না দিয়ে টালবাহানা করছেন। কাশিপুর মৌজার সাড়ে ৩ বিঘা মাদ্রাসার জমি ১ বছরের জন্য ৪২ হাজার টাকা টেন্ডার গ্রহণ করেন ই¯্রাফিল। শর্ত মোতাবেক ৫ হাজার টাকা মাদ্রাসার মুহতামিম মওছুফ সিদ্দিকী গ্রহণ করেন। বকেয়া টাকা জমি চিহ্নিত করে মাদ্রাসা কর্তৃপক্ষ গ্রহন করবে। জমি জরিপকারীকে নির্ধারিত করতে ১ হাজার টাকা ই¯্রাফিলকে দিতে বাধ্য করা হলেও জমি দেওয়া হয়নি। অথচ ই¯্রাফিলকে জমি না দিয়ে প্রায় ২ মাস পরে ৫ হাজার টাকা ফেরৎ দেওয়া হয়। মওছুফ সিদ্দিকী মাদ্রাসা পরিচালনা কমিটির সিদ্ধান্তকে তোয়াক্কা না করে গোপনে কম মূল্যে অন্যত্র জমি দিয়েছে। গত বৎসর ই¯্রাফিল কাগুজীর কাছ থেকে ২৫ হাজার টাকা মুফতী মওছুফ সিদ্দিকী নিয়ে ৩ মাস পরে ফেরৎ দেন। এভাবে টানা ৩ বছর টাকা নিয়ে হয়রানী করে আসছে মওছুফ সিদ্দিকী। সেশন শুরুতে মোবাইল করে ই¯্রাফিলকে বার বার অনুরোধ করে ডেকে এনে হয়রানী করা হয়। ই¯্রাফিল আরো জানান, মওছুফ সিদ্দিকী একজন ঠক, প্রতারক ও হয়রানী কারী। যে জমি না দিয়ে প্রতি বছর মাদ্রাসা জমি নিয়ে নিজে অর্থ আত্মসাৎ করছে কিনা প্রশ্ন দেখা দিয়েছে। মানুষের স্বহস্তে মাদ্রাসায় দান করা অর্থ তদরূপ হচ্ছে কিনা তদন্তে প্রমাণিত হতে পারে।
এ ব্যাপারে মুফতী মওছুফ সিদ্দিকী তার বিরুদ্ধে আণীত অভিযোগ সত্য নয় বলে জানান।
১৭জানুয়ারী,২০১৮বুধবার::ক্রাইমর্বাতা.কম/প্রতিনিধি/আসাবি