ক্রাইমবার্তা রিপোর্ট:ধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সমৃদ্ধির পথ যাত্রায় বাংলাদেশের পাশে দাঁড়ানোর জন্য উন্নত দেশগুলোর প্রতি আহবান জানিয়েছেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশের পরিবেশের পরিবর্তন ও জলবায়ু সংক্রান্ত হুমকির মোকাবেলা করে টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা অর্জনের জন্য তাদের সহযোগিতা প্রয়োজন।
‘টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা অর্জনের বড় চ্যালেঞ্জ অর্থ সরবরাহ নিশ্চিত করা। এজন্য উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা বাস্তবায়নে উন্নত দেশসমূহকে আর্থিক ও কারিগরি সহযোগিতা নিয়ে এগিয়ে আসতে হবে’, বলেন তিনি।
প্রধানমন্ত্রী আজ সকালে রাজধানীর প্যান প্যাসিফিক সোনারগাঁও হোটেলে বাংলাদেশ উন্নয়ন ফোরাম (বিডিএফ)-এর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির ভাষণে একথা বলেন।
শেখ হাসিনা বলেন, পরিবেশ ও জলবায়ু পরিবর্তনের দ্বারা উদ্ভূত চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করার জন্য বাংলাদেশের সর্বাত্মক সহযোগিতা প্রয়োজন এবং আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে আসন্ন সমস্যার প্রতি আরো মনোযোগ দিতে হবে।
তিনি বলেন, চলমান উন্নয়ন অগ্রযাত্রায় আমরা আর্ন্তজাতিক সহযোগী দেশ ও সংস্থাসমূহসহ ব্যক্তিখাতের অংশীদারিত্বকে গুরুত্বপূর্ণ মনে করি।
অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আব্দুল মুহিত, মহাপরিচারক এবং সিইও অব ওপেক ফান্ড ফর ইন্টারন্যাশনাল ডেভেলপমেন্ট (ওএফআইডি) সুলেমান জাসির আল হার্বিশ, বিশ্বব্যাংকের দক্ষিণ এশীয় অঞ্চলের ভাইস প্রেসিডেন্ট অ্যানেট ডিক্সন, এশিয়ান ডেভেলপমেন্ট ব্যাংক (এডিবি)-র ভাইস প্রেসিডেন্ট ওয়েনচাই জ্যাং, জাপানের মিনিষ্ট্রি অব ফরেন অ্যাফেয়ার্সের উপ মহাপরিচালক মিনরু মসুজিমা এবং রেনজি তেরিঙ্ক, রাষ্ট্রদূতগণ এবং বাংলাদেশে ইউরোপীয় ইউনিয়নের প্রতিনিধিগণ অনুষ্ঠানে বক্তৃতা করেন।
বৈদেশিক সম্পদ বিভাগের সচিব কাজী শফিকুল আজম অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তৃতা করেন।
মন্ত্রিপরিষদ সদস্যবৃন্দ, জাতীয় সংসদের সদস্যবৃন্দ, বিভিন্ন দেশের কূটনীতিক এবং আন্তর্জাতিক সহযোগী সংস্থার সদস্যবৃন্দ অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।
অনুষ্ঠানে বাংলাদেশের আর্থসমাজিক উন্নয়নের ওপর একটি ভিডিও তথ্যচিত্র পরিবেশিত হয়।
বাংলাদেশ ডেভেলপমেন্ট ফোরাম (বিডিএফ) একটি উচ্চ পর্যায়ের ইভেন্ট যেখানে সরকার এবং তার উন্নয়ন অংশীদারদের নিয়ে দেশের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি বজায় রাখার জন্য আরও অংশীদারিত্ব আবিষ্কার করতে কাজ করে।
এখানে জাতীয় ও আন্তর্জাতিক এজেন্ডাগুলোকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য অংশীদারিত্ব বজায় রাখার বিষয়ে আলোচনা করতে বিভিন্ন গবেষক, সুশীল সমাজের প্রাতনিধি, সরকারি নীতি নির্ধারক এবং সহযোগী উন্নয়ন সংস্থাগুলোর নেতৃবৃন্দ সমবেত হন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, প্রথমবারের মতো ২০১৮ সালের মার্চ মাসে ইউএনসিডিপি’র ত্রিবার্ষিক পর্যালোচনা সভায় বাংলাদেশ এলডিসি হতে উত্তরণের যোগ্যতা লাভ করবে। এলডিসি’র থেকে উত্তরণের পর বাংলাদেশ আন্তর্জাতিকভাবে উন্নয়নশীল দেশসমূহের সমকক্ষ হবে।
তিনি বলেন, তবে, এলডিসি হিসাবে বাংলাদেশ বর্তমানে বেশ কিছু সুবিধা ভোগ করে যা গ্রাজুয়েশনের পর বন্ধ হয়ে যাবে। অর্থনৈতিক গতিশীলতা বৃদ্ধি এবং কার্যক্ষেত্রে প্রস্তুতির মাধ্যমে তা পুষিয়ে নেওয়া সম্ভব।
বাংলাদেশ এর প্রভাব মোকাবিলায় কৌশলগত প্রস্তুতি গ্রহণ করছে, বলেন প্রধানমন্ত্রী।
১৭জানুয়ারী,২০১৮বুধবার::ক্রাইমর্বাতা.কম/প্রতিনিধি/আসাবি