কক্সবাজারে বসতঘরে একই পরিবারের ৪ জনের লাশ:নেপথে স্ত্রীর পরকীয়া

ক্রাইমবার্তা রিপোর্ট:কক্সবাজারে একটি বসতঘর থেকে একই পরিবারের ৪ জনের লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। গতকাল সন্ধায় শহরের গোলদিঘীরপাড় জাদিরাম পাহাড় এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। স্ত্রীর উপর বিভিন্ন সময়ে পরকীয়ার অভিযোগে স্বামীর সঙ্গে ঝগড়া হত বলে সূত্র জানান

তবে পুলিশ ও স্থানীয়রা জানান, পারিবারিক কলহের জের ধরে স্থানীয় ব্যবসায়ী মৃত ননি গোপালের ছেলে সুমন চৌধুরী (৩৪) বসতবাড়ির দরজা বন্ধ করে স্ত্রী বেবী চৌধুরী, বড় মেয়ে অবনতিকা চৌধুরী ও ছোট মেয়ে যৌতি চৌধুরীকে গলাটিপে এবং মুখে বিষ ঢেলে দিয়ে হত্যা করে। পরে সুমন চৌধুরী বাড়ির সিলিং ফ্যানের সঙ্গে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেন।

স্থানীয় সূত্র জানায়, বুধবার বিকালের দিকে হঠাৎ সুমন চৌধুরীর ঘরের দরজা দীর্ঘ সময় বন্ধ দেখে সবার মধ্যে কৌতূহল সৃষ্টি হয়। একপর্যায়ে স্থানীয় লোকজন দরজা ভাঙার চেষ্টা চালায় এবং পুলিশকে খবর দেয়।

পরে পুলিশসহ পার্শ্ববর্তী লোকজনের সহযোগিতায় দরজা ভেঙে ভেতরে প্রবেশ করা হয়। এ সময় মৃত অবস্থায় মা ও দুই মেয়ে বিছানার ওপর পড়ে থাকলেও বাবা সুমনকে দেখা যায় ফ্যানের সঙ্গে ঝুলন্ত অবস্থায়। পরে পুলিশ ৪ জনের লাশ উদ্ধার করে।

কক্সবাজার সদর মডেল থানার ওসি রনজিত কুমার বড়ুয়া বলেন, স্থানীয় লোকজনের কাছ থেকে খবর পেয়ে নিহতদের লাশ উদ্ধার করা হয়। তবে প্রাথমিক তদন্তে নিশ্চিত হওয়া গেছে, স্বামী সুমন চৌধুরী স্ত্রীসহ দুই মেয়েকে গলা টিপে ও মুখে বিষ ঢেলে দিয়ে হত্যা করেছেন। পরে নিজেই সিলিং ফ্যানের সঙ্গে ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেন।

কক্সবাজার পুলিশ সুপার ড. ইকবাল হোসেন বলেন, ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি এবং রাত সাড়ে ৭টার দিকে নিহতদের লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য কক্সবাজার সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠিয়েছি। এ ঘটনার সঙ্গে কোনো চক্রান্ত বা ইস্যু জড়িত আছে কিনা তা-ও তদন্ত চলছে।

নিহত সুমন চৌধুরীর বন্ধু রং মিস্ত্রী দিলীপ বলেন, বিকেল ৫টার দিকে সুমনকে অনেকবার ফোন করে না পাওয়ায় বাসায় গিয়ে দেখি দরজা জানালা সব বন্ধ। পরে জানালা দিয়ে দেখি, ঘরের ভেতর সবার লাশ। ফ্যানের সাথে ঝুলছে বন্ধু সুমনের লাশ। পরে তিনি এলাকাবাসীকে খবর দিলে সবাই ছুটে আসেন।

সুমন চৌধুরী কসমেটিকসের ব্যবসা করতেন। অনেক দেনার কারণে তিনি দোকান বন্ধ করে দিয়েছেন। এ নিয়ে প্রায়ই স্ত্রীর সাথে ঝগড়া হতো। ওই টেনশন থেকে তিনি ঘটনাটি ঘটাতে পারেন বলে ধারণা করছেন এলাকাবাসী।

এছাড়া স্ত্রীর উপর বিভিন্ন সময়ে পরকীয়ার অভিযোগে স্বামীর সঙ্গে ঝগড়া হত বলে স্থানীয়রা জানান

মর্মান্তিক ঘটনাটির খবর পেয়ে কক্সবাজার জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মুজিবুর রহমান, পৌরসভার মেয়র (ভারপ্রাপ্ত) মাহবুবুর রহমানসহ স্থানীয়রা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন।

১৮জানুয়ারী,২০১৮বৃহস্পতিবার::ক্রাইমর্বাতা.কম/প্রতিনিধি/আসাবি

Check Also

আশাশুনির খাজরা ইউনিয়নের খালিয়া রাস্তার বেহাল দশা।। বিপত্তিতে শতাধিক পরিবার।।দ্রুত সংস্কার দাবি 

এস,এম মোস্তাফিজুর রহমান,আশাশুনি।।আশাশুনি উপজেলার খাজরা ইউনিয়নের ৪নং ওয়ার্ড খালিয়া গ্রামের সানাপাড়ার প্রায় শতাধিক পরিবার একটি …

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

***২০১৩-২০২৩*** © ক্রাইমবার্তা ডট কম সকল অধিকার সংরক্ষিত।