ক্রাইমবার্তা ডেস্করিপোর্ট: শীতে আগুন পোহাতে গিয়ে রংপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে চিকিৎসাধীন অবস্থায় গত ২৪ ঘন্টায় আরও ৪ জন মারা গেছেন। এনিয়ে এই হাসাপাতালে গত ১৭ দিনে এ ধরনের ১৭ রোগীর মৃত্যু হয়েছে। তবে আজ বৃহস্পতিবার সকাল থেকে রংপুরের আকাশে রোদের ঝলকানিতে মানুষজনের মধ্যে স্বস্তি ফিরে এসেছে।
রংপুর আবহাওয়া অফিসের সহকারী পরিচালক মোহাম্মদ আলী জানান, বৃহস্পতিবার রংপুরে সর্বনিস্ন তাপমাত্রা ছিল ১১.০ ডিগ্রি এবং সর্বোচ্চ ছিল ২৩.৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
এদিকে আজ সকাল ৯টার পর থেকেই রংপুরের আকাশে রোদের ঝলকানি দেখতে পাওয়া যায়। বিকেল পর্যন্ত তা অব্যাহত ছিল। নগরী ঘুরে দেখা গেছে, মানুষজন টানা ২০ দিনের শীতের পর রোদ পেয়ে চেয়ার বেঞ্চ নিয়ে বসে রোদ পোহাচ্ছেন। শ্রমজীবী মানুষও কাজে বেরিয়েছেন আগের মতোই।
বৃহস্পতিবার দুপুরে রংপুর কৈলাশ রঞ্জণ উচ্চ বিদ্যালয়ে গিয়ে দেখা গেলো ছুটি শেষে সব শিক্ষক-কর্মকর্তা-কর্মচারীরা রোদে গোল হয়ে চেয়ারে বসে রোদ পোহাচ্ছেন। জানতে চাইলে প্রধান শিক্ষক আব্দুল গফুর নয়া দিগন্তকে বলেন, আজ টানা ২০ দিন পর একটু স্থায়ী রোদের নাগাল আমরা পেলাম। সবাই মিলে তাই রোদ পোহাচ্ছি। তিনি বলেন, রোদটা বেশ একটু চড়াই মনে হচ্ছে। আল্লাহর রহমত হয়েছে।
অন্যদিকে রংপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি বিভাগের বিভাগীয় প্রধান অধ্যাপক ডা. মারুফুল ইসলাম নয়া দিগন্তকে জানান, বুধবার দুপুর থেকে বৃহস্পতিবার দুপুর পর্যন্ত তার ওয়ার্ডে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন রংপুরের মিঠাপুকুরের শাহিনুর বেগম(৪৫), কুড়িগ্রামের উলিপুরের নুরীমা(৫৬), দিনাজপুর সদর উপজেলার সালাম বেগম(২৬) এবং কুড়িগ্রামের নাগেশ্বরীর মুন্নি আখতার(৩৫)।
রংপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের বার্ন ও প্লাস্টিক ইউনিটের রেজিস্ট্রার ডা. আজমল হোসেন নয়া দিগন্তকে জানান, এই শীতে গত ১৭ দিনে এই ওয়ার্ডে শীতে আগুন পোহাতে গিয়ে দগ্ধ হয়ে ১৭ জন মারা গেছেন। এখনও ওয়ার্ডে চিকিৎসাধীন আছেন ৫৬ জন আগুনে পোহানো অগ্নিদগ্ধ নারী।
১৮জানুয়ারী,২০১৮বৃহস্পতিবার::ক্রাইমর্বাতা.কম/প্রতিনিধি/আসাবি