ক্রাইমবার্তা রিপোর্ট:খুলনা: খুলনায় সাংবাদিক ইশরাত ইভা’র বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেছেন একটি আদালত। তথ্য প্রযুক্তি আইনের ৫৭/৬৬ ধারার মামলায় এই গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করা হয়।
গত বুধবার খুলনা মহানগর হাকিম মো. শাহীদুল ইসলাম এ আদেশ দেন। একই সঙ্গে বিচারের জন্য মামলাটি ঢাকার সাইবার ট্রাইব্যুনাল প্রেরণের নির্দেশ দেন।
মামলা সূত্রে জানা যায়, গত বছরের ২৬ জানুয়ারি খালিশপুর হাউজিং এস্টেট এলাকার তকদির হোসেন বাবু মামলাটি দায়ের করেন। সাংবাদিক ইশরাত ইভা তিনটি প্রতিবেদন প্রকাশ করেন। এরই জের ধরে বাদী তকদির হোসেন বাবু তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি আইনে খালিশপুর থানায় (যার নং ৩২) মামলা দায়ের করে।
খুলনায় স্কুল ছাত্রীকে ইভটিজিং, ৫ পুলিশ সদস্য ক্লোজড
খুলনার বটিয়াঘাটায় বোনকে ইভটিজিং করার প্রতিবাদ করায় ভাই তারেক মাহমুদকে মারধর ও নির্যাতন করে পুলিশ। তারেক মাহমুদ বটিয়াঘাটার নারায়নখালী গ্রামের শেখ মুজিবুর রহমানের ছেলে। এ ঘটনায় উত্তেজিত এলাকাবাসী ফাঁড়ি ঘেরাও করে রাখে।
এসময় স্থানীয় গ্রামবাসী ফাঁড়িতে গেলে পুলিশের সঙ্গে তাদের ধস্তাধস্তি হয়। এ সময় উত্তেজিত জনতা ফাঁড়ি ঘেরাও করে রাখে।
খবর পেয়ে বটিয়াঘাটা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোজাম্মেল হক মামুন ও স্থানীয় আমীরপুর ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান গোলদার মিলন সেখানে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন। পরে ঘটনাটি ঊর্ধ্বতন পুলিশ কর্মকর্তাগণ জানার পর ৫ পুলিশ কনস্টেবলকে ক্লোজড করা হয়।
বিষয়টি নিশ্চিত করে পুলিশ সুপার নিজামুল হক মোল্লা জানান, ওই ফাঁড়ির ৫ পুলিশ সদস্যকে ক্লোজড করে জেলা পুলিশ লাইনে আনা হয়েছে। অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত পূর্বক দোষীদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
স্থানীয় বাইনতলা গ্রামের খলিলুর রহমান বলেন, ‘সকাল সাড়ে ৯টার দিকে স্কুলে যাওয়ার পথে ওই ছাত্রীকে উত্যক্ত করেন কনস্টেবল নাঈম। এ ঘটনায় তার ভাই প্রতিবাদ করলে তাকে ফাঁড়িতে ধরে নিয়ে মারধর করা হয়। এতে উত্তেজিত হয়ে পড়ে গ্রামবাসী।’
ছাত্রীর বাবা মুজিবুর রহমান বলেন, আমার মেয়ে বাইনতলা স্কুল এন্ড কলেজের ১০ শ্রেণীর ছাত্রী খাড়াবাদ-বাইনতলা পুলিশ ফাঁড়ির সামনে থেকে কোচিংয়ে যাওয়ার সময় বেশ কিছুদিন ধরে নাঈম, মামুন, রিয়াজ, আবির ও নায়েব জাহিদ উত্ত্যক্ত করছিলো। মঙ্গলবার দুপুরেও কোচিংয়ে যাওয়ার সময় তারা এ কাজ করে। মেয়ে পুলিশ ফাঁড়ির সামনে আমার দোকানে বসা ছেলে তারেক মাহমুদকে বিষয়টি বলে।
‘আমার ছেলে ক্যাম্প ইনচার্জ এএসআই তারেকুজ্জামানকে বিষয়টি জানাতে যায় কিন্তু তিনি না থাকায় সে দোকানে চলে আসে। পরে অভিযুক্ত ওই ৫ পুলিশ দোকানে এসে তাকে মারধর করে থানায় নিয়ে যায় এবং দোকানে ভাংচুর করে । খবর পেয়ে স্থানীয়রা ফাঁড়ি ঘেরাও করে। পুলিশের উর্ধ্বতন কর্মকর্তারা এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।’
স্থানীয় আমিরপুর ইউপি চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান গোলদার মিলন বলেন, খবর পেয়ে আমি ঘটনাস্থলে পৌঁছে ঘটনাটি ওসিকে জানাই। পরে উত্তেজিত জনতাকে শান্ত করা হয়।
এ ব্যাপারে বটিয়াঘাটা থানার ওসি মোজাম্মেল হক মামুন বলেন, ছাত্রীকে উত্যক্তের অভিযোগ সত্য নয়। তবে তরিকুল নামে এক ছাত্র পুলিশের সঙ্গে তর্ক করলে তার সঙ্গে একজন কনস্টেবলের হাতাহাতি হয়। পরে তাকে ফাঁড়িতে নিয়ে মারধরের অভিযোগ করা হলে বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়। উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ ওই পাঁচজন কনস্টেবলকে ক্লোজ করেন।
১৮জানুয়ারী,২০১৮বৃহস্পতিবার::ক্রাইমর্বাতা.কম/প্রতিনিধি/আসাবি