ক্রাইমবার্তা রিপোর্ট:ঢাকা : নারায়ণগঞ্জের মেয়র সেলিনা হায়াৎ আইভীর পুরনো কিছু মনে করতে অসুবিধা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন তার চিকিৎসার জন্য গঠিত মেডিকেল বোর্ডের প্রধান ডা. বরেন চক্রবর্তী। তবে আইভী বর্তমানে স্থিতিশীল রয়েছেন, কয়েকদিনের মধ্যেই সুস্থ হয়ে যাবেন বলেও জানিয়েছেন এই কার্ডিওলজিস্ট।
শুক্রবার সন্ধ্যায় রাজধানীর ধানমন্ডির ল্যাবএইড হাসপাতালে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান ওই হাসপাতালের চিকিৎসা শাস্ত্র ও গবেষণা বিভাগের প্রধান সিনিয়র কনসালটেন্ট কার্ডিওলজিস্ট অধ্যাপক ডা. বরেন চক্রবর্তী।
তিনি বলেন: এখানে ভর্তির পরই আমরা মেয়র আইভির হার্ট ও কার্ডিয়াকের পরীক্ষা করাই। হার্টের কোন সমস্যা ধরা পড়েনি, তবে সিটি স্ক্যানের রিপোর্টে আমরা দেখতে পাই তার মস্তিষ্কে রক্তক্ষরণ হয়েছে। মতিষ্কের পেছনের দিকের একটা অংশে তার রক্তরক্ষরণ ধরা পড়েছে। সে অনুপাতেই তাকে বর্তমানে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। মেয়র আইভীর অসুস্থতা ‘সর্ট অব স্টোক’।
মস্তিষ্কের স্পর্শকাতর জায়গায় রক্তক্ষরণ হয়েছে জানিয়ে ডা. বরেন চক্রবর্তী বলেন তার পুরনো উচ্চ রক্তচাপ রয়েছে। এসব ক্ষেত্রে দেখা যায় তিন থেকে চারদিন পর অনেক ক্ষেত্রেই রোগীর মস্তিষ্কে রক্তক্ষরণ বেড়ে যায়, তাতে রোগীর সমস্যা সৃষ্টি হতে পারে। তবে আইভীর অবস্থা স্থিতিশীল।
তিনি বলেন মেয়র আইভীর সঙ্গে কথা বলে আমার মনে হয়েছে তার পুরনো অনেক কিছুই মনে করতে অসুবিধা হচ্ছে। তার বাঁ পায়ে একটা আঘাত ছিল যা গতকাল অনেকটা ফোলা ছিল, আজ সেটা অনেকটাই কমেছে।
মেয়র আইভীর বর্তমানে স্বাস্থ্যগত কোন ঝুঁকি রয়েছে কিনা, সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নে ডা. বরেন চক্রবর্তী বলেন: যদি মস্তিষ্কে রক্তক্ষরণ কয়েকদিনের মধ্যে বেড়ে যায় তবেই স্বাস্থ্যের ঝুঁকি রয়েছে। এছাড়া সার্বিক দিক দিয়ে তিনি স্থিতিশীল অবস্থায় রয়েছে। আগামীকাল আমরা আবার তার সিটি স্ক্যান করব রক্তক্ষরণ বাড়ল কিনা সেটা দেখার জন্য।
মঙ্গলবারের সংঘর্ষে আহত আইভী বৃহস্পতিবার দুপুর থেকে বেশ অসুস্থ অনুভব করেন। এরপর কয়েকবার বমি করলে তাকে স্যালাইন দেয়া হয়। তবুও শারীরিক অবস্থা বিবেচনা করে চিকিৎসকরা তাকে ঢাকায় নিয়ে আসার পরামর্শ দেন। এরপর বিকাল ৪ টায় মেয়র আইভীকে নিয়ে একটি অ্যাম্বুলেন্স ঢাকার দিকে রওনা হয়। ঢাকায় এনে তাকে ল্যাবএইড হাসপাতালের সিসিইউতে ভর্তি করা হয়।