ক্রাইমবার্তা রিপোর্ট:অর্থমন্ত্রী বলেছেন, পার্লামেন্টে যারা নাই তাদের অংশগ্রহণ থাকবে না। তাহলে কারা থাকবে? পার্লামেন্টে যারা আছে তারা তো ভোটারবিহীন। তারপরও তিনি গর্ব করে কথা বলেন। চোরের মায়ের বড় গলা। চৌর্যবৃত্তির এমন পর্যায়ে গেছে তারা কিছু মনে করে না। জনগণকে তারা তালাক দিয়েছেন’ বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী।
মঙ্গলবার দুপুরে জাতীয় প্রেসক্লাবের ভিআইপি লাউঞ্জে বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানের ছোট ছেলে আরাফাত রহমান কোকোর তৃতীয়মৃত্যু বার্ষিকী উপলক্ষে আরাফাত রহমান কোকো স্পোর্টিং ক্লাব আয়োজিত এক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি।
বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব বলেন, শিক্ষা ব্যবস্থা শেষ। খাতায় না লিখলেও পাস করে যাবে। প্রশ্ন ফাঁস হয়েছে প্রচুর অর্থের বিনিময়ে। আজ সবই ফাঁস হচ্ছে। শিক্ষামন্ত্রীর পিএর শত শত কোটি টাকা, এটা কি প্রশ্ন ফাঁসের টাকা। পরীক্ষায় পাস করিয়ে দেয়ার টাকা!
তিনি আরো বলেন, ‘প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের সিডিউল ঘোষণা করা হয়েছে বা আজকে হবে। প্রেসিডেন্ট নির্বাচন ঠিকঠাক হয়ে যাবে। কারণ তারা তাদের পছন্দের লোককে সেখানে বসিয়ে দিবে। এখানে তো জনগণের ভোট দেয়ার জায়গা নেই। তাদের যে পার্লামেন্ট, যে পার্লামেন্টে একই ধরনের আওয়াজ হয়, সঙ্গীত সেখান থেকে উচ্চারিত হয়, গাওয়া হয়। রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে দেখবেন কোন রিটও হবে না। আমার যতটুকু মনে হয়। সবকিছুই সাজানো গোছানো আছে। সেটা তারা করতে পারবে।’
রিজভী আরো বলেন, তাদেরকে ফাঁকফোকড়ের মধ্যে দিয়ে ক্ষমতা আঁকড়ে রাখতে হবে। এটা করতে দিয়ে যত ধরনের খুনখারাপি গুম হত্যা রক্তগঙ্গা বইয়ে দিতে হয় তারা তা করবে। জনগণের এই প্রতিবাদের মুখেও সরকার মনে করছে আমি যদি গুম করি, আমি যদি দুর্নীতি করি, একের পর এক বিরোধী দলের তরুণ নেতাদের যদি লাশ ফেলে রাখি জনগণ ভয়ে চমকে যাবে, তারা সুষ্ঠু নির্বাচনের কথা বলবে না।
বিএনপির সিনিয়র যুগ্ন মহাসচিব বলেন, সরকার আগামী নির্বাচন নিয়ে দূরভিসন্ধি, মান্টারপ্ল্যান করছেন। আরেকটা ভোটারবিহীন নির্বাচন করবেন। তারা লুটপাটের জন্য আবারও ক্ষমতায় আসতে চায়। আপনার দিন শেষ। আপনার বিদায় ঘণ্টা বেজে গেছে। এই ঘণ্টা আপনার জন্য বাজছে। এটা বিদায় ঘন্টা। আপনাকে ক্ষমতা থেকে বিদায় নিতেই হবে।
রহুল কবির রিজভী বলেন, এই দেশপ্রেমিক মানুষ শেখ হাসিনার বর্বরতা আর মানবে না। তিনি যে বেড়াজাল তৈরি করবেন তা ছিন্ন করবেই। অনেক রক্ত নিয়েছেন, অনেক লাশ নিয়েছেন। অনেক লুটপাট করেছেন। জনগণের অর্থ তছরুফ করেছেন। মিডিয়া নিয়ন্ত্রণ করে নিজের কথাকে জোর করে চাপিয়ে দেয়ার চেষ্টা করছেন। আর বিরোধী দলের কথাকে অবদমিত করার চেষ্টা করছেন। এটা আর হবে না।
তিনি আরো বলেন, ডিএনসিসি নির্বাচন বন্ধ করে দেয়া হল। কেনো করে দেয়া হল। কারণ সরকার দেখেছে এখানে যদি যেকোন ভাবেই নির্বাচন হয় এবং জনগণ যদি ভোট কেন্দ্রে যেতে পারে তাহলে তারা জিতবে না। এবং সেই কারণেই তাদের আজ্ঞাবহ এবং তাদের বাড়ির লোক একেবারে উঠানের লোককে বৈঠকখানায় বসালো প্রধান নির্বাচন কমিশনারকে; যিনি প্রধানমন্ত্রীর বাহিরে এক পা যাবেন না। তিনি চাকরি জীবন থেকে তার দৃষ্টান্ত রেখে এসেছেন। তিনি তো ফাঁকফোকড় রাখবেন, এটাই স্বাভাবিক। এটার উপর যেকোন ভুক্তভোগী মানুষই রিট করলে উচ্চ আদালয়ের রায় তাদের পক্ষে যাবেই।
আরাফাত রহমান কোকোর স্মৃতিচারণ করে রিজভী বলেন, কোকো শেখ হাসিনার রাজনৈতিক প্রতিহিংসার শিকার, তিনি তার আক্রোশের শিকার, বর্বরতার শিকার।
আয়োজক আরাফাত রহমান কোকো স্পোর্টিং ক্লাবের উপদেষ্টা আবিবুল বারী রায়হানের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় আরও বক্তব্য দেন বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আতাউর রহমান ঢালী, সমাজকল্যাণ বিষয়ক সম্পাদক কামরুজ্জামান রতন, সহ-প্রচার সম্পাদক আমিরুল ইসলাম খান আলিম প্রমুখ।
২৩জানুয়ারী,২০১৮সোমবার:ক্রাইমর্বাতা.কম/প্রতিনিধি/আসাবি