ক্রাইমবার্তা আন্তজার্তিক রিপোর্ট::একসঙ্গে ২০ বিধায়ককে বরখাস্ত করার মতো ঘটনা ভারতে এর আগে ঘটেনি৷ আম আদমি পার্টি জন্মের পর থেকেই বিতর্ক সঙ্গে নিয়ে এগিয়ে চলছে। তবে এবারের বিতর্ক মহাবিপদে রূপ নিয়েছে।
মন্ত্রীদের সহযোগী হিসেবে নির্বাচিত বিধায়কদের ‘সংসদীয় সচিব’ পদ দেয়া হয়েছিল। এ কারণে আম আদমির বিধায়কদের বরখাস্ত করা হয়েছে।
ভারতের সংবিধান অনুযায়ী, নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিরা একাধিক লাভজনক পদে থাকতে পারেন না। অথচ তা’ই করেছেন আম আদমি পার্টি (আপ ) বিধায়করা। প্রথমে না জেনেই তা করেছেন।
পরে জেনে বুঝে জেদ বজায় রাখতে বহাল রাখা হয়েছে ২১ বিধায়ককে। বছরখানেক আগে এক বিধায়ক পদত্যাগ করায় তিনি রেহাই পেয়েছেন৷ কয়েকদিন আগে ভারতের জাতীয় নির্বাচন কমিশন আম আদমি পার্টির ২০ বিধায়ককে বরখাস্ত করার সুপারিশপত্র পাঠায় রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দকে৷ তারপর রাষ্ট্রপতি সেই প্রস্তাবে সিলমোহর দিয়েছেন৷
এদিকে, ‘বরখাস্ত’ হওয়া বিধায়কদের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে দিল্লি হাইকোর্ট ওই ২০টি আসনে পুন-নির্বাচন ঘোষণায় স্থগিতাদেশ জারি করেছে৷ বলা হয়েছে, আদালত নির্দেশ জারি না করা পর্যন্ত যেন নির্বাচন ঘোষণা না করে কমিশন৷ আপাতত এই ঘটনাকে নৈতিক জয় হিসেবে দেখছে আম আদমি পার্টি৷
স্বভাবতই বিপাকে পড়েছেন ২০ বিধায়ক। মুখে আইনি লড়াইয়ের কথা বলছেন আপ নেতারা। দিল্লির বর্তমান রাজনৈতিক পরিস্থিতি অনুযায়ী, এক্ষুণি ২০ আসনে ভোটগ্রহন হলে ২০১৫ সালের মতো এবার আর সবক’টি আসনে জয় ছিনিয়ে আনা কেজরিওয়ালের দলের পক্ষে সম্ভব নয়।
প্রশ্ন উঠেছে, দিল্লিতে বিধায়করা বরখাস্ত হলে একই ‘অপরাধে’ বিজেপি-শাসিত হরিয়ানা, মধ্যপ্রদেশ, মণিপুর কিংবা ছত্তিশগঢ়ে হবে না কেন?
২৫জানুয়ারী,২০১৮ বৃস্পতিবার:ক্রাইমর্বাতা.কম/প্রতিনিধি/আসাবি