গোটা টুর্নামেন্টে দারুণ ব্যাটিং প্রদর্শনী দেখিয়েছিলেন বাংলাদেশ ব্যাটসম্যানরা। তবে লিগ পর্বের শেষ ম্যাচে শ্রীলংকার বিপক্ষে বিপরীত দৃশ্যে দেখা গেল তাদের। প্রথমে ব্যাট করতে নেমে ২৪ ওভারে মাত্র ৮২ রানেই গুটিয়ে গেছে টাইগারররা।
ওয়ানডেতে শ্রীলংকার বিপক্ষে এটিবাংলাদেশের দ্বিতীয় সর্বনিম্ন স্কোর।এর আগে ২০০২ সালে কলম্বোতে ৭৬ রানে গুটিয়ে গিয়েছিল টাইগাররা।সার্বিকভাবে এটি বাংলাদেশেরনবম সর্বনিম্ন স্কোর।
বৃহস্পতিবার মিরপুর শেরেবাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে টস জিতে প্রথমে ব্যাটিং নেন বাংলাদেশ অধিনায়ক মাশরাফি বিন মুর্তজা। তবে তার সিদ্ধান্ত যৌক্তিক প্রমাণ করতে ব্যর্থ হন ব্যাটসম্যানরা। লংকান বোলিং বিষে জর্জর হয়ে সাজঘরে ফেরেন একের পর এক ব্যাটসম্যান।
ব্যাট করতে নেমে ইনিংসের তৃতীয় ওভারে রানের খাতা খোলার আগেই সুরঙ্গা লাকমলের বলে প্লেড অন হয়ে ফেরেন বিজয়। এ নিয়ে টুর্নামেন্টে টানা চার ম্যাচে আস্থার প্রতিদান দিতে ব্যর্থ হলেন এ ওপেনার।
ক্রিজে এসে পর পর দুই বলে বাউন্ডারি হাঁকিয়ে প্রাথমিক ধাক্কা সামাল দেয়ার ইঙ্গিত দিয়েছিলেন সাকিব। তবে এদিন ব্যর্থ তিনি। অতিরিক্ত চড়া হয়ে খেলতে গিয়ে দানুশকা গুনাথিলাকার অসাধারণ থ্রোতে রানআউটে কাটা পড়েন তিনি।
ভরসা হয়ে ছিলেন তামিম। কিন্তু এ ম্যাচে ইনিংসের ভিত গড়তে ব্যর্থ ড্যাশিং ওপেনারও। এক বল পরই ব্যাকওয়ার্ড পয়েন্টে গুনাথিলাকার দুর্দান্ত ক্যাচে পরিণত হন তিনি। এতে চাপে পড়ে বাংলাদেশ।
দলের বিপদে ত্রাতা হতে পারেননি মাহমুদউল্লাহ। লাকমলের শর্ট বলে ফাইন লেগে চামিরাকে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন তিনি। এর পরই থিসারা পেরেরার শিকার হয়ে সাব্বির ফিরলে ব্যাটিং বিপর্যয়ে পড়ে টাইগাররা।
এ বিপর্যয়ের মধ্যে পেরেরার শিকার হয়ে ফেরেন দীর্ঘদিন পর দলে ফেরা আবুল হাসান। এর পর যাওয়া-আসার মিছিলে যোগ দেন লড়তে থাকা মুশফিক। চামিরার শিকার হয়ে ফেরার আগে তিনি করেন ৫৬ বলে ১ চারে ২৬ রান। এটিই বাংলাদেশের সেরা ইনিংস।
স্কোর বোর্ডে আর ১ রান যোগ হতেই সেই চামিররা শিকার হয়ে সাজঘরের পথ ধরেন নাসির। এর পর বাংলাদেশের গুটিয়ে যাওয়াটা ছিল সময়ের ব্যাপার। ৮২ রান যেতে সবকটি উইকেট হারিয়ে ফেলে স্বাগতিকরা।১১ রানে শেষ ৫ উইকেট হারায় তারা। আর শেষ ৪ উইকেটের পতন হয় মাত্র ৩ রানে।
বাংলাদেশ ইনিংসেআগুন ঝরিয়েছেন লংকান বোলাররা। প্রত্যেকেই পেয়েছেন উইকেট। ২১ রান খরচায় ৩ উইকেট নিয়েছেন সুরঙ্গা লাকমল। দুশমন্থচামিরা, থিসারা পেরেরা ও লক্ষণ সান্দাকান নিয়েছেন ২টি করে উইকেট।
এ ম্যাচ জিতলে ফাইনালে উঠবে শ্রীলংকা। হারলেও ফাইনালে ওঠার দরজা খোলা থাকবে লংকানদের (০.৯৮৯)। এক্ষেত্রে জিম্বাবুয়ের (-১.০৮৭) চেয়ে নেট রানরেটে এগিয়ে থাকত হবে দিনেশ চান্দিমালের দলকে।