ক্রাইমবার্তা ডেস্করিপোর্ট: আঙ্কারা: তুরস্ক সিরিয়ার সঙ্গে তার সমগ্র সীমান্তকে ‘জঞ্জাল মুক্ত’ করার প্রতিশ্রুতি ব্যক্ত করেছেন দেশটির প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়্যেপ এরোগান। তার এই ঘোষণা সিরিয়ার কুর্দি ওয়াইপিজি গোষ্ঠীর বিরুদ্ধে চলমান অভিযান আরো সম্প্রসারিত করার ইঙ্গিত বহন করে।
কৌশলগতভাবে গুরুত্বপূর্ণ সিরিয়ার ‘জেবেল বুরসা’ তুর্কি সেনাবাহিনী তাদের দখলে নেয়ার পর রবিবার এক ভাষণে এরদোগান এই প্রতিশ্রুতি ব্যক্ত করেন।
গত ১০ দিন আগে সিরিয়ার আফরিনে শুরু হওয়া তুরস্কের এই অভিযান আঙ্কারা ও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যেকার উত্তেজনাকে বাড়িয়ে দিয়েছে। সিরিয়ায় আইএসের বিরুদ্ধে যুদ্ধে ওয়াইপিজিকে সমর্থন করে আসছে যুক্তরাষ্ট্র।
এরদোগান তার ভাষণে বলেন, ‘ধাপে ধাপে আমরা আমাদের সমগ্র সীমানাকে জঞ্জাল মুক্ত করবো।’
এরদোগান গত সপ্তাহে বলেছিলেন যে তুরস্ক তার সীমান্ত থেকে ওয়াইপিজি সন্ত্রাসীদের নির্মূল করার জন্য ইরাক সংলগ্ন সিরিয়ার অভ্যন্তরে পূর্বদিকে অভিযান পরিচালনা করতে পারে।
অন্যদিকে সিরিয়ার কুর্দি বিদ্রোহীরাও তুরস্কেরন যে কোনো বৃহত্তর আক্রমণে যথাযথ জবাব দেয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন।
এরদোগান তার দেশের চলমান সামরিক অভিযান মানবিজ এলাকায় সম্প্রসারিত করার প্রতিজ্ঞা করেন। এই মানবিজ এলাকাতেই কুর্দিদের সঙ্গে মার্কিন বাহিনীর সৈন্যরা অবস্থান করছে।
চলতি সপ্তাহের শুরুতে যুক্তরাষ্ট্রের তরফ থেকে সর্তক করে দিয়ে বলা হয়, যে কোনো ‘ভুল হিসেব’ তুর্কি ও আমেরিকান বাহিনীর মধ্যে একটি সরাসরি দ্বন্দ্বের জন্ম দিতে পারে।
এর আগে তুর্কি সেনাবাহিনী জানায়, এক সপ্তাহ আগে শুরু হওয়া এই অপারেশনে এ পর্যন্ত কুর্দিশ গোষ্ঠীর অবস্থানকে লক্ষ্য করে তারা কয়েকশ’ বোমার বিস্ফোরণ ঘটিয়েছেন। এতে ইসলামিক স্টেট ও পিওয়াইডি-ওয়াইপিজি সহ সন্ত্রাসী গোষ্ঠীর কমপক্ষে ৩৯৪ জন সদস্য নিহত হয়েছেন।
সিরিয়ার কুর্দি বাহিনীকে অস্ত্র, প্রশিক্ষণ ও বিমান সহায়তা প্রদানের মাধ্যমে ওয়াশিংটন আঙ্কারাকে ক্ষুব্ধ করেছে। তুরস্ক মনে করে যে ওয়াইপিজি কুর্দিস্তান ওয়ার্কার্স পার্টির (পিকেকে) একটি বর্ধিত অংশ। তিন দশকেরও বেশি সময় ধরে পিকেকে তুরস্কের দক্ষিণপূর্বাঞ্চলীয় কুর্দিশ অঞ্চলে ভয়াবহ বিদ্রোহ সৃষ্টি করে চলেছে।
গত ৬ ডিসেম্বর থেকে সিরিয়ার বিদ্রোহী দল কুর্দি মিলিশিয়াদের বিরুদ্ধে ‘অলিভ ব্রাঞ্চ’ নামে অভিযান শুরু করেছে তুরস্ক সেনাবাহিনী। সিরিয়ার উত্তরাঞ্চলীয় আফরিন থেকে কুর্দিস পিপলস প্রটেকশন ইউনিটকে (ওয়াইপিজি) বিতাড়িত করতে স্থল ও আকাশ পথে অভিযান শুরু করে তুর্কি বাহিনী।
সূত্র: এএফপি