আলমগীর হোসেন লক্ষ্মীপুর প্রতিনিধি:হোসেন আহম্মেদ(৪৫)এর লিঙ্গ কেটে হত্যার চেষ্টা করার অভিযোগ ওঠেছে। তারই স্ত্রী লাকী বেগমের বিরুদ্ধে। পরে পুলিশ স্ত্রী লাকি বেগম তার ছেলে আরিফ হোসেনকে আটক করে কারাগারে প্রেরণ করেন।এঘটনা ঘটে গত সোমবার (২০ মাচ ১৭ ইং) সদর উপজেলা উত্তর হামছাদী নিজ বাড়িতে।কারাগার থেকে এক মাস জেল খেটে মা ছেলে জামিন নিয়ে ঢাকায় তাদের নিজ বাড়িতে চলে যায়।পরে কিছু দিন যেতে না যেতেই লাখী বেগম বাদী হয়ে গত ২২ নভে:১৭ সালে ঢাকা অতিরিক্ত মহানগর ৫ আদালতে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে মিথ্যা মামলা দিয়ে স্বামী ও ২য় স্ত্রী,ভাসুরসহ ৪ জনকে আসামী করে হয়রানী করার অভিযোগ ওঠেছে। তারা হলেন তার স্বামী হোসেন আহম্মদ,ভাসুর তসলিম উদ্দিন,২য় স্ত্রী শাহিনুর বেগম,ইসমাইল। যাহার মামলা নং ৪৬২/১৭।স্বারক নং ৮৪২/১৭।এ ঘটনা নিয়ে সদর উপজেলার উত্তর হামছাদী ইউনিয়নের কাজীর দিঘির পাড় এলাকার বেশ চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে।
মামলায় অভিযুক্ত সদর উপজেলার উত্তর হামছাদী ইউনিয়নের সংসর উদ্দিন বেপারী বাড়ির মৃত হাবিব উল্ল্যার ছেলে।ভোক্তবোগী হোসেন আহম্মদ জানান,১৯৯২ সালের ১ জানুয়ারী উত্তর হামছাদী ইউনিয়নের সংসর উদ্দিন বেপারী বাড়ির মৃত হাবিব উল্যার ছেলে মো:হোসেনের সাথে মুসলিম ধর্মীয় বিধান মতে লাকি বেগমের বিয়ে হয়।বতমানে ২ ছেলে ২ মেয়ে নিয়ে দীর্ঘ তের বছর ধরে ঢাকায় খিলগাঁ চৌধুরী পাড়া এলাকায় বাসা ভায়া করে বসবাস করে আসছেন। দীর্ঘ দিনের স্বামী-স্ত্রী’র দাম্পত্য জীবন বজায় থাকা অবস্থায় লাকী বেগম অসত লোকের কু-পরামর্শে ও বুদ্ধিতে স্বামী মো:হোসেনের সাথে খারাফ ব্যবহার শুরু করে।২০১২ থেকে ২০১৫ পযর্ন্ত্র।নিজ ছেলে ,মেয়ে ,স্ত্রীসহ একের পর এক নির্যাতন করে আসছেন।
তিনি আরো জানান,২০১৩ সালে স্ত্রী কথা মত ভায়রা আমিনুল হক কে তিন লাখ ৪০ হাজার টাকা জমি ক্রয় করে এক মাসের ভিতরে রেজিস্ট্ররী করে দেওয়া কথা।কিন্তু জমি ক্রয় ও রেজিস্ট্রি না করে সে আমার টাকা নিয়ে মালিশিয়া চলে যায়। জমি ক্রয় টাকার বিষয়ে ভায়রা আমিনুল হক ও স্ত্রীকে চাপ পয়োগ করলে আমাকে বিভিন্ন ভাবে হুমকী ধমকী দিয়ে আসছে ছেলে আরিফ হোসেন। পরে জীবনের নিরাপত্তার জন্য গত ১৩ ডি:১৩ সালে ডিএমপি রামপুরা থানা একটি সাধারন ডায়রী করি। যাহার নং ৫৬৬।
অপর দিকে বোন জামায় আমিনুল হককে জমি ক্রয় করার জন্য ২ বছর পূর্বে তিন লাখ ৪০ হাজার টাকা স্ত্রী লাকি বেগমের মাধ্যমে দেওয়া হয়। সময় মত জমি ক্রয় ও টাকা ফেরত না দেয়ায় গত গত(৯ অক্টোবর ২০১৪)সালে ঢাকা জজ কোটের আইনজীবীর এড:মোহাম্মদ মাসুদুর স্বাক্ষরিত একটি লিগ্যাল নোটিশ প্রেরণ করা হয়। এর পর থেকে স্বামীর সাথে রাতে বেলা একই বিছানা না শুয়ে স্ত্রী লাকী বেগম অন্যরুমে গিয়ে রাত যাপন করতো।
ছেলে ,মেয়ে স্ত্রীসহ বহু লাঞ্ছচিত অবমান ও নিযার্তন শুরু করলে ২০১৬ সালে নিজ জেলা লক্ষ্মীপুর গ্রামের বাড়িতে চলে আসে। র্দীঘ ছয় মাস অপেক্ষা করার পর স্বামী হোসেন দাম্পত্য সর্ম্পক বজায় রাখতে গত (২৩ জুন ২০১৬)সালে স্ত্রী কাছে আমার ভালবাসার মূল্য কত ?একটি চিটির মাধ্যমে তাকে একত্রে বসবাস ও ঘর সংসার করার অনুরোধ জানায়। কুরিয়া করে ঢাকায় তার স্ত্রী লাকি বেগমের কাছে প্রেরন করেন। কিন্তু লাকী বেগম ঘর সংসার না করায় মানসে চিটি কোনো জবাব দেয় নাই।
পরে রাগে ক্ষোভে হোসেন গত(৩ জুলাই ১৬) রায়পুর উপজেলা দক্ষিণ কেরোয়ার আবদুল মজিদ বেপারী বাড়ির মৃত:আবদুল মজিদের মেয়ে সাহিনুর বেগম কে বিয়ে করেন। ২য় বিয়ের খবর পেয়ে স্ত্রী লাকি বেগম তার ছেলে আরিফ হোসেনকে নিয়ে(২০মার্চ রবিবার ১৭ সালে) ঢাকা থেকে গ্রামের বাড়িতে আসেন। হোসেন আমম্মদের কাছে ঢাকা থেকে চলে আসার বিষয়ে জানতে চায় তারা। এনিয়ে স্বামী স্ত্রীর মধ্যে ঝগড়া ফাসাদ সৃষ্টি হয়। এক পর্যায়ে হোসেন আম্মদের বিশেষ স্থান কেটে হত্যার চেষ্টা করে স্ত্রী ও তাদের ছেলে।
এ বিষয়ে গত ১৯ মার্চ ১৭ লক্ষ্মীপুর সদর থানা মো:তসলিম উদ্দিন বাদী হয়ে তিন জনকে আসামী করে একটি মামলা দায়েল করেন।আসামীরা হলেন স্ত্রী লাকি বেগম(৪৩),আরিফ হোসেন(২২),সাইফুল ইসলাম(১৯)। যাহার জিয়ার মামলা নং ৮২/১৭। পরে পুলিশ তাদের আটক করে কারাগারে প্রেরণ করেন। এক মাস কারা ভোগ করার পর মা ছেলে ঢাকা চলে যান। অপর দিকে হোসেন স্ত্রী লাকী বেগমকে ৬ জুন ১৭ সালে তালাকের ঘোষনা দেন। তালাকের জের ধরে হোসেন আহম্মদকে প্রধান আসামী করে ৪ জনের বিরুদ্ধে ঢাকা অতিরিক্ত মহানগর ৫ আদালতে গত (২২ নভে ১৭) সালে নারী ও শিশু নির্যাতন একটি মামলা দায়েল করেন স্ত্রী লাকি বেগম।
এ প্রসঙ্গে মামলার অভিযুক্ত হোসেন বলেন ,আমার সবকিছু কেড়ে নিয়ে চলে যাওয়ার পর উল্টো এ ঘটনার মিথ্যা মামলা দিয়ে আমাকে ও আমার জেটাতো ভাই, আমার ২য় স্ত্রীকে হয়রানি করার জন্য মামলা দায়েল করেছে আসামীরা। তবে এ নিয়ে সংশ্লিষ্ট প্রশাসনের তদন্ত পূর্বক সত্যতা যাচাইয়ের জন্য ভোক্তভোগী হোসেন আহ্বান জানান।
এ বিষয়ে সোমবার (২৯ জানুয়ারী ১৮) লাকী বেগমের মুঠোফোনে জানান, আমাকে তার ছেলে আরিফ হোসেনকে মিথ্যা মামলা দিয়ে কারাগারে প্রেরণ করেন। আমিও তাদের বিরুদ্ধে নারী ও শিশু নির্যাতনের মামলা করেছি।
Check Also
আশাশুনিতে টঙ্গী ইজতেমায় হত্যার বিচারের দাবিতে মানববন্ধন
এস,এম মোস্তাফিজুর রহমান,আশাশুনি।।ঢাকার টঙ্গীত ইজতেমা-মাঠে নিরীহ মুসল্লিদের উপর উগ্রবাদী সন্ত্রাসী সাদ পন্থীদের বর্বরোচিত হামলা ও পরিকল্পিত …