ক্রাইমবার্তা রিপোর্ট:সিলেট: সিলেটের বিয়ানীবাজারে মাকে গলাকেটে হত্যা করেছে প্রবাসী ছেলে। বুধবার সন্ধ্যায় উপজেলার চারখাইয়ের কামারগ্রামের এ ঘটনা ঘটে।
নিহত ছয়মুন বিবি (৫৫) তাহির আলী সুন্দরের স্ত্রী। তিনি দুই ছেলে ও দুই মেয়ের জননী।
এ ঘটনায় ঘাতক ছেলে কামাল হোসেন (২৮) বাড়ির একটি কক্ষে আত্মগোপনে রয়েছে। তবে কী কারণে এ ঘটনা ঘটেছে তাৎক্ষণিকভাবে জানা যায়নি।
বিয়ানীবাজার থানার পরিদর্শক (তদন্ত) জাহিদুল ইসলাম ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, ঘাতক কামাল হোসেন দেশীয় অস্ত্র নিয়ে একটি কক্ষে রয়েছে বলে স্থানীয়রা নিশ্চিত করেছেন। চারখাই পুলিশ ফাঁড়ির সদস্যরা ঘটনাস্থল ঘিরে রেখেছেন।
স্থানীয়রা জানান, ঘাতক ছেলে কামাল হোসেন মানসিক রোগী। প্রায় ১৫ দিন আগে তিনি সৌদি আরব থেকে দেশে ফিরে। তিনি নিহতের দ্বিতীয় ছেলে।
এর আগে ২০১৬ সালে হবিগঞ্জের বানিয়াচংয়ে মাকে গলাকেটে হত্যা করেছিল তার ছেলে।
নিহত রূপবাণু (৪৫) উপজেলার শাহপুর গ্রামের হায়দর আলীর স্ত্রী।
বাকবিতন্ডার সূত্র ধরে একসময় মাকে গলাকেটে হত্যা করে পালিয়ে যায় ইয়াছিন (২৭)।
বুধবার (০৬ জুলাই) সন্ধ্যা ৭টার দিকে এ ঘটনা ঘটে।
স্থানীয়রা জানান, পারিবারিক কলহের জের ধরে সন্ধ্যায় রূপবাণুর সঙ্গে ইয়াছিনের বাকবিতন্ডা হয়। একপর্যায়ে ছেলে তার মাকে গলাকেটে হত্যা করে পালিয়ে যান।
পরে খবর পেয়ে পুলিশ মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য হবিগঞ্জ সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠায়।
বানিয়াচং থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) অমূল্য চৌধুরী বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
এর আগে ২০১৭ সালে সিরাজগঞ্জের রায়গঞ্জ উপজেলারসলঙ্গায় মা জহুরা বেগমকে (৫৫) গলাকেটে হত্যা করেছিল টুটুল (২৫) নামে এক যুবক। এ ঘটনার পর টুটুলকে আটক করে পুলিশে হস্তান্তর করেছে স্থানীয়রা।
সলঙ্গা থানার ধুবিল মেহমানশাহী গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। তবে হত্যা কারণ জানা যায়নি।
নিহত জহুরা বেগম ওই গ্রামের জাবেদ মণ্ডলের স্ত্রী।
স্থানীয় ইউপি সদস্য সাইফুল ইসলাম জানান, দুপুরে টুটুল তার মাকে হত্যার পর রক্তমাখা বটি হাতে নিয়ে পালাতে চেষ্টা করে। এ সময় স্থানীয়দের মধ্যে সন্দেহের সৃষ্টি হলে তাকে আটক করে এবং বাড়ির ভিতরে গিয়ে তার মা জহুরা বেগমের গলাকাটা লাশ পড়ে থাকতে দেখে।
সলঙ্গা থানার ওসি ওহেদুজ্জামান জানান, খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে নিহত জহুরা বেগমের লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য সিরাজগঞ্জ সদর হাসপাতালে পাঠিয়েছে। এ ঘটনায় টুটুলকে আটক করা হয়েছে।