ক্রাইমবার্তা রিপোর্ট:জমির শ্রেণি পরিবর্তন করে রাজস্ব ফাঁকি দেওয়ার প্রাথমিক সত্যতা পাওয়ায় সাতক্ষীরা সদরের দলিল লেখক সমিতির সাধারণ সম্পাদক মনিরুজ্জামান মনিকে সাময়িক বরখাস্ত করেছেন জেলা রেজিস্ট্রার মুন্সি রুহুল ইসলাম। রোববার এক চিঠিতে তাকে বরখাস্তের নির্দেশ দেন। এছাড়াও কেন তার লাইসেন্স বাতিল করা হবে না তা জানতে চেয়ে চিঠি প্রাপ্তির সাত দিনের মধ্যে জবাব দিতে বলা হয়েছে। সাতক্ষীরা সদর সাব রেজিস্ট্রি অফিস সূত্রে জানা গেছে, দলিল লেখক মো. মনিরুজ্জামান মনি ( সনদ নং ৯/২০০৬) ১২৯/১৫, ৯১৩৩/১৫, ৯৪০৬/১৫ এবং ৮৬৪২/১৫ নম্বর দলিলের জমির শ্রেণি পরিবর্তন (ডাঙ্গা শ্রেণির পরিবর্তে বিলান, বাস্তুর পরিবর্তে ডাঙ্গা লিখে) চার লাখ ২৯ হাজার ৯১৬ টাকার রাজস্ব ফাঁকি দিয়ে নিজে পকেটস্থ করেন। যা’ চরম অপরাধ ও রেজিস্ট্রেশন আইন ১৯০৮ ধারা ৮০ জি অধীন প্রনীত দলিল লেখক (সনদ) বিধিমালার বিধি ১২ এর পরিপন্থি। সে কারণে তাকে সাময়িক বরখাস্ত এবং কারণ দর্শানোর নোটিশ দেওয়া হয়। এদিকে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক দলিল লেখক সূত্রে জানা গেছে, মনিরুজ্জামান মনি সাতক্ষীরা সদর সাব রেজিষ্ট্রি অফিসের দলিল লেখক সমিতির সাধারণ সম্পাদক। তিনি ক্ষমতার দাপট দেখিয়ে শ্রেণি পরিবর্তন করে লাখ লাখ টাকার মালিক হয়েছেন। এ বিষয়ে প্রতিবাদ করতে গেলে তিনি ভয়ভীতি দেখিয়ে দমিয়ে রাখেন। ওই চারটি দলিল নয় সঠিকভাবে তদন্ত করলে আরো অনেক দলিল পাওয়া যাবে। এছাড়াও দলিল লেখক কাটিয়া এলাকার মৃত মোজাম্মেল হকের ছেলে এস এম মজনু, লাবসা ইউনিয়নের নলকুড়া গ্রামের শেখ মোসলেম আলীর ছেলে ইসতিয়াক ও ইটাগাছা এলাকার মনির উদ্দীনের ছেলে নাসির উদ্দিনও দলিলের শ্রেণি পরিবর্তন করে বিগত ৫বছরে অঢেল সম্পত্তি মালিক হয়েছেন বলে জানিয়েছেন তারা। এছাড়া রাজস্ব ফাঁকিকৃত টাকা বৈধ করার নিমিত্তে বিভিন্ন ব্যবসায়িক লাইসেন্স ও ব্যাংক দেখিয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ বিষয়ে দুদকের আশু হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন তারা। এঘটনায় সাতক্ষীরা জেলা রেজিস্ট্রার মুন্সি রুহুল ইসলাম জানান, প্রাথমিক তদন্তে মনিরুজ্জামান মনির বিরুদ্ধে রাজন্ব ফাঁকির প্রাথমিক অভিযোগ প্রমানিত হওয়ায় তাকে সাময়িক বরখাস্ত করে কারণ দর্শানোর নোটিশ দেওয়া হয়েছে।
০১ ফেবরুয়ারী,২০১৮বৃহস্পতিবার:ক্রাইমর্বাতা.কম/প্রতিনিধি/আসাবি