ক্রাইমবার্তা রিপোর্ট:ঢাকা: জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট মামলার অন্যতম আসামি ট্রাফিক বিভাগের সাবেক ভারপ্রাপ্ত পরিচালক জিয়াউল ইসলাম মুন্নার পক্ষে তৃতীয় দিনের মতো যুক্তি উপস্থাপন শুরু করেছেন আইনজীবী আমিনুল ইসলাম।
তিনি বলেন, জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্টটি ব্যক্তিগত ট্রাস্ট। ব্যক্তিগত ট্রাস্টে কিভাবে দুদক মামলা করতে পারে। ট্রাস্টের বিচার চাওয়ার এখতিয়ার দুদকের নেই। এখতিয়ারের বাইরে এ মামলার বিচার চলছে।
বৃহস্পতিবার বেলা সাড়ে ১১টায় রাজধানীর বকশীবাজারের আলিয়া মাদরাসা মাঠে স্থাপিত ঢাকার ৫নং বিশেষ জজ ড. আখতারুজ্জামানের আদালতে তিনি এ যুক্তি উপস্থাপন শুরু করেন। যুক্তিতে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি আরো বলেন, ১৯৯৩ সালে জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট গঠন হয়। ডা. বদরুদ্দৌজা চৌধুরি, মতিন চৌধুরি, মোস্তাফিজুর রহমানসহ ৭ জনে মিলে এ ট্রাস্ট গঠন করেন।ফকিরাপুলে একটি ব্যাংকে একাউন্ট ছিল এ ট্রাস্টের নামে। এরপর বদরুদ্দৌজা চৌধুরি অন্য দল গঠন করেন। অনেকে মারা যান। যখন ৭ জন ছিল না তখন আবার নতুন করে ট্রাস্ট গঠন করা হয়। ২০০৫ সালের ১৩ জানুয়ারি ফকিরাপুলের একটি ব্যাংকের একাউন্টে ট্রাস্টের নামে টাকা আসে। প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সোনালী ব্যাংকে যে একাউন্ট হয় তা এটার যোগসূত্র। ট্রাস্ট গঠন করার জন্য বিএনপির নেতাকর্মীরা টাকা দেন। কোনো ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান অভিযোগ করেনি যে ট্রাস্টের নামে আমাদের কাছ থেকে টাকা নিয়েছেন।
এরআগে বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া বেলা ১১টা ২৪ মিনিটে আদালতে উপস্থিত হয়ে এ মামলায় হাজিরা প্রদান করেন।
এর আগে মঙ্গলবার রাষ্ট্রপক্ষের কৌঁসুলি মোশাররফ হোসেন কাজল এ মামলায় যুক্তি উপস্থাপন শেষ করেন। এরপর আসামি ট্রাফিক বিভাগের সাবেক ভারপ্রাপ্ত পরিচালক জিয়াউল ইসলাম মুন্নার পক্ষে যুক্তি উপস্থাপন শুরু করেন আইনজীবী আমিনুল ইসলাম। এ দিন যুক্তি উপস্থাপন শেষ না হওয়ায় পরবর্তী যুক্তি উপস্থাপনের জন্য বুধবার দিন ধার্য করেন আদালত। এ দিনও যুক্তি উপস্থাপন শেষ না হওয়ায় বৃহস্পতিবার দিন ধার্য করেন আদালত।
Check Also
আনুষ্ঠানিকভাবে ভারতের কাছে শেখ হাসিনাকে ফেরত চাইল বাংলাদেশ
সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে দেশে ফেরাতে ভারতকে চিঠি পাঠানো হয়েছে বলে জানিয়েছেন পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. …