ক্রাইমবার্তা রিপোর্ট: সাতক্ষীরার পৃথক দুটি স্থান থেকে দুই ব্যক্তির মৃতদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। শনিবার বেলা ১১ টার দিকে সাতক্ষীরা শহরের সঙ্গীতা মোড় ও আশাশুনি উপজেলার বেতনা নদী থেকে
উক্ত দুই ব্যক্তির মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়।
সাতক্ষীরা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মারুফ আহমেদ জানান, সিলেট থেকে ছেড়ে আসা সাতক্ষীরাগামী মামুন পরিবহন থেকে ফিরোজ মিয়া (৩৫) নামের এক ব্যক্তির মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়। তিনি হবিগঞ্জ জেলার দক্ষিণ ল্যাংগাপাড়া এলাকার মৃত ময়না মিয়া তালুকদারের ছেলে। তার শ্বশুর বাড়ি সাতক্ষীরা শহরের কাটিয়া এলাকায়।
তিনি আরো জানান, প্রাথমিকভাবে ধারনা করা হচ্ছে ফিরোজ মিয়া পরিবহেন বসে ষ্ট্রোক জনিত রোগে আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন। তবে, তার মৃতদেহ উদ্ধার করে সদর হাসপাতাল মর্গে প্রেরন করা হয়েছে।
এদিকে, আশাশুনি উপজেলার বুধহাটা ইউনিয়নের মহেশ্বরকাটি গ্রামের বেতনা নদীর পাড় থেকে ইস্রাফিল হোসেন বুড়ো (১৮) নামের এক ভ্যান চালকের মৃতদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। তিনি আশাশুনি উপজেলার কুল্যা গ্রামের মোসলেম সরদারের ছেলে।
নিহতের পিতা মোসলেম সরদার জানান, ইস্্রাফিল হোসেন বুড়ো প্রতিদিনের ন্যায় শুক্রবার সকালে ব্যাটারী চালিত ভ্যান নিয়ে বাড়ি থেকে বেরিয়ে যান। রাতে অনেক খোঁজা খুঁজির পর তাকে কোথাও পাওয়া যায়নি। পরদিন শনিবার বেলা ১১ টার দিকে মহেশ্বরকাটি গ্রামের পাশে বেতনা নদীর চরে স্থানীয়রা তার মৃতদেহ পড়ে থাকতে দেখে পুলিশে খবর দেয়। পরে পুলিশ ঘটনাস্থলে যেয়ে তার মৃতদেহ উদ্ধার করে।
আশাশুনি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শাহিদুল ইসলাম শাহিন বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, প্রাথমিক ভাবে ধারনা করা হচ্ছে, তাকে গলা টিপে হত্যা করে বেতনা নদীর তীরে ফেলে দিয়ে তার ব্যাটারী চালিত ভ্যানটি ছিনতাই করা হয়েছে। তিনি আরো জানান, নিহতের মরাদেহ উদ্ধার করে সাতক্ষীরা সদর হাসপাতাল মর্গে প্রেরণ করা হয়েছে
Check Also
আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল রাষ্ট্রীয় পদে আসীন হচ্ছেন খবরে আসামিপক্ষে শুনানি করেননি সমাজী
জুলাই-আগস্টের গণহত্যা ও মানবতাবিরোধী অপরাধে জড়িত থাকার অভিযোগে গ্রেপ্তার সাবেক ৯ মন্ত্রীসহ ১৩ জনকে আন্তর্জাতিক …