ক্রাইমবার্তা রিপোর্ট:ঢাকা: আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহাবুবউল আলম হানিফ বলেছেন, বেগম জিয়াকে উদ্দেশ্য করে বলেন, যদি এতিমদের টাকা আত্মসাৎ না করে থাকেন তাহলে তাহলে আদালতে প্রমাণ করতে হবে। এই নিয়ে কোন ধরনের সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড মেনে নেয়া হবে না।
তিনি আরও বলেন, ৮ ফেব্রুয়ারি খালেদা জিয়ার রায় নিয়ে উদ্বিগ্ন হওয়ার কোন কারণ নেই। তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সময় এই মামলাটি হয়েছে। যদি তিনি দোষী হন তাহলে তার বিরুদ্ধে রায় হবে। এটা আদালতের এখতিয়ার।
তিনি বলেন, ৮ ফেব্রুয়ারি কোন ধরনের নৈরাজ্য পরিস্থিতি সৃষ্টি করা হলে আওয়ামী লীগের কর্মীরা জনগণকে সাথে নিয়ে তা প্রতিহত করবে। যদি কোন এলাকায় বিএনপি-জামায়াতের কর্মীরা বিশৃঙ্খলা করতে চায় আপনারা তাদেরকে পুলিশের হাতে তুলে দিবেন।
রবিবার (৪ জানুয়ারি) দুপুরে গুলশান ইয়ুথ ক্লাবে ঢাকা মহানগরের উত্তর আওয়ামী লীগের এক বর্ধিত সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
হানিফ বলেন, যেকোন ব্যক্তির বিরুদ্ধে মামলা হতে পারে। যদি অভিযোগ প্রমাণিত হয় তাহলে দোষী ব্যক্তি শাস্তি পাবেন। এটাই আইন, এটাই বিধান। এ নিয়ে উদ্বিগ্ন হওয়ার কারণ নেই। চুরি করবেন, আত্মসাৎ করবেন আবার বিচারের রায় মানবেন না এটা জনগণ মানবে না।
বেগম খালেদা জিয়াকে উদ্দেশ্যে করে হানিফ বলেন, নির্বাচনের পরিবেশ ভালো আছে। আগামী একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন সংবিধান অনুযায়ী যথা সময়ে হবে। এছাড়া বর্তমান সরকারে অধীনেই আগামী নির্বাচন হবে। আপনি এক সময় বলেছিলেন নিরপেক্ষ কেউ নেই। আবার আপনি এখন বলেছেন নিরপেক্ষ সরকার।
ঢাকা মহানগরের উত্তর আওয়ামী লীগের সভাপতি একেএম রহমত উল্লাহর সভাপতিত্বে বর্ধিত সভায় উপস্থিত ছিলেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল, ঢাকা মহানগরের উত্তর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সাদেক খান, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হাবিব হাসান প্রমুখ।
সাহস থাকলে দেশে আসুন: তারেককে কাদের
ঢাকা: বিএনপির সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমানকে দেশে এসে ‘জেল-জুলুম’ মোকাবিলার আহবান জানিয়েছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের।
শনিবার রাজধানীর শ্যামলী মাঠে বিকেলে শীতার্তদের মাঝে কম্বল বিতরণ অনুষ্ঠানে তিনি এ আহবান জানান। আদাবর থানা আওয়ামী লীগ এর আয়োজন করে।
ওবায়দুল কাদের বলেন, সৎ সাহস থাকলে দেশে আসুন। সব মোকাবিলা করুন।
বিএনপির নির্বাহী কমিটির সভায় ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে তারেক রহমানের বক্তব্যের সমালোচনা করে কাদের আরো বলেন, ‘আপনার সৎ সাহস থাকলে দেশে এসে মোকাবিলা করুন। পলাতক নেতার হুকুম আদেশ কর্মীরা মানে না। সাহস থাকে তো দেশে আসুন। সৎ সাহস থাকে তো জেল-জুলুমের বিরুদ্ধে দেশে এসে আন্দোলন করুন। তখনই ভাববো আপনি একজন সাহসী নেতা। তার আগে আপনি পলাতক নেতা। পলাতকের ডাকে বাংলাদেশের মানুষ সাড়া দেবে না।’
তারেক রহমানের উদ্দেশ্যে সেতুমন্ত্রী বলেন, ‘বিএনপি নেতাকর্মীদের তিনি বলেছেন জেল-জুলুম উপেক্ষা করে আন্দোলন করতে হবে। কিন্তু বিএনপির কর্মীরা যদি তাকে পাল্টা প্রশ্ন করেন- আমরা জেল জুলুম বরণ করে আন্দোলন করবো, আর আপনি নেতা জেলের ভয়ে সৎ সাহস নেই বলে জেলকে ভয় পাচ্ছেন? বিদেশে থেকে আন্দোলনের ডাক দিচ্ছেন। আমি বলেবো- আপনার সৎ সাহস থাকে বাংলাদেশে এসে মোকাবিলা করুন।’
কাদের বলেন, ‘বিএনপির গঠনতন্ত্র থেকে ৭ ধারা বিলুপ্ত করে দেওয়া প্রমাণ করে বেগম খালেদা জিয়া দুর্নীতিপরায়ন। আর এই দুর্নীতির টাকায় সভা করে দামি হোটেলে।
বিএনপি নেতাকর্মীদের গণগ্রেফতার করা হচ্ছে-এমন অভিযোগের জবাবে কাদের বলেন, ‘অভিযোগের ভিত্তিতেই বিএনপির নেতাকর্মীদের গ্রেপ্তার করা হচ্ছে। যেন গণগ্রেপ্তার করা না হয় সেজন্য বলা হয়েছে।
ওবায়দুল কাদের বলেন, গণগ্রেপ্তারের বিষয়ে প্রশাসন সজাগ আছে। অপরাধীদের ভিডিও দেখে দেখে গ্রেপ্তার করা হচ্ছে।
নির্দোষ কাউকে গ্রেপ্তার করা হচ্ছে না বলেও এসময় মন্ত্রী নিশ্চিত করেন।
এর আগে ‘আগামী জাতীয় নির্বাচনে অংশ না নিলে রাজনৈতিক দল হিসাবে বিএনপির নিবন্ধন বাতিল হবে’ বলে মন্তব্য করেছিলেন সড়ক যোগাযোগ ও সেতুমন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের।
শনিবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে কুমিল্লা মহনগরীর শাসনগাছা রেলওয়ে ওভারপাস পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের তিনি এসব কথা বলেন।
ওবায়দুল কাদের বলেন, সব গণতান্ত্রিক দেশের মতোই এদেশে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। বাংলাদেশে আলাদা ব্যবস্থা কেন করবো। নির্বাচনকালীন সরকার ছোট আকারে হবে, তখন মন্ত্রিপরিষদ এখানের চেয়ে কমে যাবে। আইন প্রয়োগকারী সংস্থা চলে যাবে নির্বাচন কমিশনের অধীন, তারা (বিএনপি) ভয় পাচ্ছে কেন, তাদের নির্বাচনে আসতে হবে। যদি নির্বাচনে না আসে তাদের নিবন্ধন বাতিল হয়ে যাবে।
নেতাকর্মীদের ভয়ভীতি দেখানো হচ্ছে বিএনপি মহাসচিবের এমন অভিযোগের জবাবে ওবায়দুল কাদের বলেন, যে হুমকি-ধামকি দেবে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে। বিএনপি হাওয়ার উপর মিথ্যাচার করে। তাদের তো কোনো কাজ নেই, তাদের আছে কথা।
তাদের মধ্যে কয়েকজন প্যাথলজিকাল মিথ্যাচার রয়েছেন। এরা অবিরাম মিথ্যাচারের ভাঙা রেকর্ড বাজায়। কে তাদের হুমকি দেয়, তথ্যপ্রমাণ দিক আমরা ব্যবস্থা নেব।
এসময় কুমিল্লা মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি আ.ক.ম বাহাউদ্দিন বাহারসহ দলীয় বিভিন্ন পর্যায়ের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।