জননেত্রী শেখ হাসিনা যেভাবে শক্ত হাতে,ক্ষুধা ও দরিদ্র নির্মূলে সফল ঠিক তেমনি জঙ্গি দমনেও সাফল্যের স্বাক্ষর রেখেছেন
ক্রাইমবার্তা রিপোর্ট: : বিশ্ব সন্ত্রাসবিরোধী সংগঠন ওয়ার্ল্ড এন্টি টেরোরিজম ওরগানাইজেশন এর আয়োজনে মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। ঁজার্মানীর হেসেন প্রদেশের রাজধানী ভিসবাডেন এ বিশ্ব সন্ত্রাসবিরোধী সংগঠন ওয়ার্ল্ড এন্টি টেরোরিজম ওরগানাইজেশন এর আয়োজনে মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে আমন্ত্রিত অতিথি জার্মানী সফররত সংসদ সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা মীর মোস্তাক আহমেদ রবি বলেন, সন্ত্রাস দমন সহ দেশের উন্নয়ন কর্মকান্ডে জার্মান সরকারের অবদান বাংলাদেশ সরকার কৃতজ্ঞতার সাথে স্বরণ করেন। তিনি আরো বলেন, আন্তর্জাতিক শান্তি, নিরাপত্তা এবং উন্নয়নের জন্য সবচেয়ে বড় অন্তরায় হল সন্ত্রাস। সময়ের সাথে সাথে সন্ত্রাসের ব্যাপকতা ও তীব্রতা দুই-ই বেড়েছে। সন্ত্রাসবাদ কোনো একক বা বিচ্ছিন্ন সমস্যা নয়। সন্ত্রাসবাদ মোকাবিলায় এখন সময় হয়েছে একযোগে কাজ করার। জননেত্রী শেখ হাসিনা যেভাবে শক্ত হাতে,ক্ষুধা ও দরিদ্র নির্মূলে সফল ঠিক তেমনি জঙ্গি দমনেও সাফল্যের স্বাক্ষর রেখেছেন। সন্ত্রাসবাদ আন্তর্জাতিক শান্তি, নিরাপত্তা ও উন্নয়নের জন্য হুমকি হয়ে দাঁড়িয়েছে। গত এক দশকে সংঘর্ষের তীব্রতা এবং সংখ্যা বৃদ্ধি পেয়েছে, সন্ত্রাসী হামলা বেড়েছে এবং ছড়িয়ে পড়েছে, সমাজ ধ্বংস হয়েছে এবং সমগ্র অঞ্চলে অস্থিতিশীলতার সৃষ্টি করেছে। গত বছর ১০০টির ও বেশি দেশে কমপক্ষে ১১ হাজার সন্ত্রাসী হামলা ঘটেছে, যার ফলে ২৫ হাজারেরও বেশি মানুষের মৃত্যু এবং ৩৩ হাজার লোক আহত হয়েছে। বিশ্বায়নের এই যুগে একটি রাষ্ট্রের ব্যর্থতা দ্রুত তার প্রতিবেশীদের জন্য হুমকি হয়ে ওঠে এবং অনেকদূর অতিক্রম করতে পারে। আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের মধ্যে ঐক্যের ডাক দিতে হবে। আমাদের সবার নীতি প্রণয়ন একতা, সংহতি এবং সহযোগিতা বাড়াতে হবে অর্থাৎ্ একতাবদ্ধ হতে হবে। সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে সরকার ও নিরাপত্তা সংস্থার সহযোগিতা আরো জোরদার করার একটি জরুরি প্রয়োজন রয়েছে। আন্তর্জাতিক সন্ত্রাসবাদ সম্পর্কে এখনও কোনো ঐকমত্য নেই। কার্যকরী সন্ত্রাসবিরোধী পন্থা হিসেবে টেকসই কাউন্টার-টেরোরিজম ব্যবস্থা গড়ে তোলার আহবান জানান তিনি।’ এসময় সবধরনের সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদ দমনে বর্তমান বাংলাদেশ সরকারের ভূয়সী প্রশংসাকরেছেন জার্মানীর হেসেন প্রদেশের পার্লামেন্টের সদস্যরা। মতবিনিময় সভায় ভিসবাডেন এর সি ডি ইউ এর সাধারণ সম্পাদক ও এমপি মানফ্রিড পেন্টস ও নিরাপত্তা বিষয়ক প্রাদেশিক পার্লামেন্ট এর সদস্য আলেকজান্ডার বাওয়ার বলেন,সন্ত্রাস দমনে শেখ হাসিনা সরকারের জিরো টলারেন্স নীতি অনেক দেশের জন্যেই অনুকরণীয় দৃষ্টান্ত হতে পারে। এসময় অন্যান্যদের মধ্যে আরো বক্তব্য রাখেন সংগঠনের উপদেষ্টা সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা মহসিন হায়দার মনি, সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা আমিনুর রহমান খসরু সিনিয়র সহ সভাপতি সাগির খান স্বপন সাধারণ সম্পাদক মিসেস সাবরা খান। পরে জার্মানীতে বঙ্গবন্ধুর নামে একটি সড়ক ও প্রতিকৃতি নির্মাণের ও দাবী জানানো হয়।