ক্রাইমবার্তা রিপোর্ট: ঢাকা: চলতি বছরের এসএসসি পরীক্ষায় বিরতিহীনভাবে প্রশ্নফাঁসের তালিকায় বাংলা প্রথম ও দ্বিতীয়পত্রের পর এবার ইংরেজি প্রথমপত্রও যুক্ত হয়েছে।
ইংরেজি প্রথমপত্রের ফাঁস হওয়া প্রশ্নের সঙ্গে পরীক্ষা হওয়া প্রশ্নের হুবহু মিল পাওয়া গেছে।
সোমবার পরীক্ষা শুরুর প্রায় দুই ঘণ্টা আগে সকাল ৮টা ৪ মিনিটে হোয়াসটঅ্যাপের একটি গ্রুপে ইংরেজি প্রথমপত্রের প্রশ্ন ফাঁস হয়ে যায়।
ফাঁস হওয়া ইংরেজি প্রথমপত্রের ‘ক’ সেটের প্রশ্নের সঙ্গে অনুষ্ঠিত হওয়া প্রশ্নপত্রের হুবহু মিল পাওয়া গেছে।
প্রশ্নপত্রটি হোয়াসটঅ্যাপের ‘English 1st part 2018’ নামের একটি গ্রুপ থেকে ফেসবুকসহ অন্যান্য সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রশ্নটি ছড়িয়ে যায়।
আজ সকাল ১০টায় ইংরেজি প্রথমপত্র পরীক্ষাটি শুরু হয়ে শেষ হয় দুপুর ১টায়।
ঢাকা শিক্ষাবোর্ডের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক তপন কুমার সরকার গণমাধ্যমকে বলেন, ইংরেজি প্রথমপত্র প্রশ্নও ফাঁস হওয়ার বিষয়টি নিয়ে মন্ত্রণালয়সহ আমরাও তদারকি করছি।
গত ১ ফেব্রুয়ারি বাংলা প্রথম পত্রের প্রশ্ন ফাঁসের অভিযোগ পাওয়া যায়। এরপর ৩ ফেব্রুয়ারি সকালে পরীক্ষা শুরুর আগে প্রায় ঘণ্টা খানেক আগে বাংলা দ্বিতীয় পত্রের প্রশ্নপত্র পাওয়া যায় ফেসবুকে।
এদিকে প্রশ্নফাঁস ভয়ঙ্কর রূপ নেয়ায় দেশের বরেণ্য শিক্ষাবিদ ও বিশিষ্ট নাগরিকরা বলছেন, সরকারের এত আইনশৃঙ্খলা বাহিনী থাকতে প্রশ্ন ফাঁসকারীদের চিহ্নিত ও ফাঁসের উৎস বের করতে না পারা হতাশাজনক। দিনের পর দিন প্রশ্নফাঁসের কারণে পাবলিক পরীক্ষার ওপর থেকে জনগণের আস্থা উঠে গেছে। এভাবে কোনো দেশের শিক্ষা ও পরীক্ষাব্যবস্থা চলতে পারে না। সরকারকে এবার কঠোর ব্যবস্থা নিতে হবে। শিক্ষাব্যবস্থায় তালগোল পাকানো, দুর্নীতি ও প্রশ্নপত্রের সুরক্ষা দিতে ব্যর্থতার দায়ে শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদের পদত্যাগ করা উচিত। তিনি পদত্যাগ না করলে সরকারের উচিত তাকে বরখাস্ত করা।
০৫ফেবরুয়ারী,২০১৮সোমবার:ক্রাইমর্বাতা.কম/প্রতিনিধি/আসাবি