habibul islam habibঃ আশির দশকের মাঝামাঝি ঢাকা শহরে আসি একজন সাধারন যুবক হিসেবে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এর পদার্থ বিজ্ঞানে পড়াশুনা করার লক্ষ্যে!রাজনীতি তে জড়িয়ে পড়ি এক সময়।সেই এরশাদ বিরোধী আন্দোলন থেকে শুরু করে আজকের অবৈধ ভোটারবিহীন সরকারের আন্দোলন অব্দি জীবনের অনেক চড়াই উতরাই পার করেছি।যার অবদানে আজ সেই সাধারণ যুবক থেকে আমি আজকের অবস্থানে আসতে পেরেছি তিনি আজ কারাবন্দী! ছাত্রজীবন এ স্বৈরাচার আন্দোলন এর সময় ঢাকা শহরে পরিবারহীন আমি অসহায়ের মত রক্তাক্ত হয়ে রাজপথে পড়ে ছিলাম।সেসময় যোগাযোগ ব্যবস্থা বন্ধুর হওয়ায় পরিবার আমার অবস্থা অবগত ই ছিল না কিন্তু মা এর ভূমিকা এ অবতীর্ণ হোন বেগম খালেদাজিয়া। পরম করুণাময় ও অসীম দয়ালু আল্লাহ এবং পিতামাতার পর তিনি আমার জন্য মাতৃসমতুল্য।রাজনৈতিক জীবনের প্রত্যেক টি অর্জনের সাথে বেগম খালেদাজিয়া নাম টি যেন ওতপ্রোত ভাবে জড়িত।চারটি বার তিনি আমাকে সাংসদ হিসেবে দল থেকে মনোয়ন দিয়ে কলারোয়া তালার আপামর জনসাধারণ এর সেবা করার সুযোগ দিয়েছেন।সম্মানিত করেছেন অগণিত সম্মান এ!
অন্তরে হাহাকার জন্মেছে যখন দেখেছি সেই কনিষ্ঠ পুত্রকে হারিয়ে সন্তানহারা মা আরেক সন্তান নাতি নাতনী পুত্রবধূ সকলকে ছাড়া নিভৃতের জীবন বেছে নিয়েছেন শুধুমাত্র দল ও দেশের মানুষের কল্যাণের নিমিত্তে।হারিয়েছেন স্বামী শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের স্মৃতিবিজড়িত দীর্ঘ দিনের বাড়ি।প্রতিনিয়ত শুনেছেন সারা দেশ থেকে সন্তানতুল্য বিভিন্ন পর্যায়ের নেতাকর্মী দের গুম খুনের খবর!তারপর ও বিচলিত হয়ে দেশ ছাড়েন নি!বরাবর থেকেছেন আপোষহীন।
আজ তাকে এমন একটি মামলায় সাজা দেওয়া হয়েছে যেখানে প্রথম রিপোর্ট এ উনাকে অভিযুক্ত করা হয়নি।যার কোন কাগজ পত্রে বেগম জিয়ার স্বাক্ষর নেই।যে এতিমখানার নামে সরকার ই স্বীকার করেছে পুরো অর্থ ব্যাংকে সুরক্ষিত আছে।প্রমান ই আছে জিয়া অরফানেজ ট্রাস্টের জমি ট্রাস্টের নামে কেনা কোন ব্যক্তির নামে নয়।অথচ উনাকে শুধুমাত্র হয়রানী ও নির্বাচনে অংশগ্রহণ করতে না দেওয়ার জন্য পুরনো কারাগারে অন্তরীন করা হল।
সারাদেশের মানুষের চোখের পানি এক দিন শক্তিতে পরিণত হবে!এই মিথ্যা মামলার সাজার বিরুদ্ধে একদিন প্রতিরোধ গড়ে উঠবেই ইনশাল্লাহ।
বাংলাদেশ জিন্দাবাদ!!