ক্রাইমবার্তা রিপোর্ট:ঢাকা: ‘বেগম খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে রায়ের মাধ্যমে দেশে আইনের শাসন প্রতিষ্ঠিত হয়েছে’ বলে মন্তব্য করেছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল।
শুক্রবার দুপুরে তিনি এসব কথা বলেন।
বিস্তারিত আসছে…
খালেদা জিয়া জেলকোড অনুযায়ী সব সুযোগ সুবিধা পাবেন: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী
সামাজিক ও রাজনৈতিক অবস্থান বিবেচনা করে পুরনো কারাগারে সাবজেল হিসেবে খালেদা জিয়া জেলকোড অনুযায়ী সব সুযোগ সুবিধা পাবেন বলে মন্তব্য করেছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল।
বৃহস্পতিবার রায় ঘোষণা করার পর নিজ দপ্তরে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে একথা বলেন।
এর আগে তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় বিএনপি চেয়ারপারসনের আইনজীবী খন্দকার মাহবুব হোসেন বলেন, ‘রায়ের কপি পাওয়ার পর আমরা আপিলে যাব, বাকিটা হাইকোর্টের বিষয়’।
জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলার রায় ঘোষণার পর তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় তিনি একথা বলেন।
এছাড়া রায় ঘোষণার পর তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় বেগম খালেদা জিয়ার আইনজীবী ও সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সাধারণ সম্পাদক, বিএনপি নেতা মাহবুব উদ্দিন খোকন বলেছেন, আমরা আপিল করব। সোমবারের ভেতর আপিল করা হবে। আমরা প্রয়োজনীয় কাগজ জমা দিয়েছি আশা করছি আমরা হাইকোর্টে ন্যায় বিচার পাবো।
এর আগে বহুল আলোচিত জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলার রায় ঘোষণা করা হয়েছে। খালেদা জিয়ার পাঁচ বছরের কারাদণ্ড এবং তারেক রহমানসহ বাকী আসামীদের ১০ বছর করে কারাদণ্ড দিয়েছে আদালত।
বৃহস্পতিবার দুপুরে রাজধানীর বকশীবাজারে স্থাপিত বিশেষ আদালত-৫ এর বিচারক ড. আখতারুজ্জামান এই রায় ঘোষণা করেন। রায় ঘোষণার সময় আদালতে উপস্থিত ছিলেন বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া।
এর আগে দুপুর ২টা ১৪ মিনিটের দিকে আদালত কক্ষে প্রবেশ করেন বিচারক বিচারক ড. আখতারুজ্জামান। দুপুর ২টা ১৬ মিনিটের দিকে ৬৩২ পৃষ্ঠার রায় পড়া শুরু করেন তিনি। এর আগে দুপুর ১টা ৪০ মিনিটের দিকে বেগম খালেদা জিয়া আদালত চত্বরে পৌঁছান।
প্রসঙ্গত, বৃহস্পতিবার বেলা ১১টা ৪৫ মিনিটে তিনি গুলশানের নিজ বাসভবন ‘ফিরোজা’ থেকে আদালতের উদ্দেশ্যে রওয়ানা হন। এরই মধ্যে রায়কে ঘিরে দেশজুড়ে ব্যাপক উত্তেজনার সৃষ্টি হয়েছে। আদালতে যাওয়ার পথে রাজধানীর কাকরাইল মোড়ে পুলিশের সঙ্গে তার দলের কর্মীদের ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটেছে। এ সময় পুলিশ ১০-১২ রাউন্ড টিয়ারশেল নিক্ষেপ করে। এরপর কাকরাইল মোড়ে পুলিশ বক্সে ভাঙচুর করে বিএনপি কর্মীরা। সেখান থেকে আটক করা হয়েছে অনেককে।
এর আগে খালেদা জিয়ার গাড়িবহর কড়া নিরাপত্তার মধ্যে মগবাজার এলাকায় এলে শত শত নেতাকর্মী সেখানে যুক্ত হন। এ সময় রাস্তার পাশেও অনেকে দাঁড়িয়ে ছিলেন। নেতাকর্মীরা মোটর সাইকেলের বহর নিয়ে সেখানে যুক্ত হন। তারা খালেদা জিয়ার নামে স্লোগান দিয়ে এগোতে থাকেন।
এই মামলার প্রধান আসামি বিএনপির চেয়ারপারসন এবং তিনতিনবারের সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া। ফলে দেশবাসীর আগ্রহ অন্যরকম। রায়ের তারিখ ঘোষণার পর থেকেই টানটান উত্তেজনা জনমনে ছড়িয়ে পড়ে। রায়কে ঘিরে আওয়ামী লীগ-বিএনপি মুখোমুখি অবস্থানে দাঁড়িয়েছে। রাজনীতির মাঠে রায় নিয়ে আলোচনায় গুরুত্ব পাচ্ছে জাতীয় নির্বাচনও।
দেশের মানুষের আগ্রহের কেন্দ্রবিন্দু হয়ে উঠেছে রাজধানীর বকশীবাজারে স্থাপিত বিশেষ আদালত। এর আগে গত ২৫ জানুয়ারি ওই মামলার শুনানি শেষে রায়ের দিন নির্ধারণ করেন বিশেষ জজ আদালতের বিচারক ড. আখতারুজ্জামান।
বিএনপির অভিযোগ এই রায়কে কেন্দ্র করে সারা দেশে বিএনপি ও এর অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মীদের গণগ্রেপ্তার করছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। তবে সরকারের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, নাশকতা ঠেকাতে অভিযান চালাচ্ছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী।
এরই মধ্যে রাজধানীসহ সারা দেশে ৪৩ প্লাটুন বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) মোতায়েন করা হয়েছে। বার্তা সংস্থা বাসস জানিয়েছে বুধবার সন্ধ্যা থেকেই রাজধানীতে ২০ প্লাটুন বিজিবি সদস্য টহল শুরু করেন।