বিষয়টি গণমাধ্যমের প্রধান শিরোনাম হেয়েছে মামলাটি নিয়ে। মামলা নিয়ে জেলা ব্যাপি তুলকালাম শুরু হয়েছে। আজ স্থানীয় সকল জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দুর্ণীতি মামলায় বিএনপির চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার রায় ঘোষণার পর বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় সাতক্ষীরা শহর উপকন্ঠের বাঁকাল এলাকায় রাস্তার ধারে পরিত্যক্ত একে ট্রাভেলস এর একটি এসি বাসে আগুন দেয়ার ঘটনায় শুক্রবার পুলিশ বাদী হয়ে একটি মামলা দায়ের করেছেন। সদর থানার এসআই হাফিজুর রহমান (২) বাদী হয়ে ১৬ জনকে এজাহারনামীয় আসামী করে এ মামলা দায়ের করেন। মামলা নং-২০। এ ঘটনায় বৃহস্পতিবার রাতেই পাচ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
সদর থানার দায়িত্বশীল সূত্র জানায়, ১৯৭৪ সালের স্পেশাল পাওয়ার এ্যাক্ট ১৫(৩)/২৫(ঘ) তৎসহ পেনাল কোডের ৪৩৫ ধারার এ মামলার আসামী করা হয়েছে, খুলনার খালিশপুর এলাকার আলিম খানের ছেলে ও সাতক্ষীরা ইসলামী ব্যাংক কমিউনিটি হাসপাতালের প্রশাসনিক কর্মকর্ত হামিদুল ইসলাম, কলারোয়ার ধানঘোরা গ্রামের মৃত গরিবুল্যার ছেলে ওমর আলী, কালিগঞ্জের ফতেপুর গ্রামের
মোসলেম গাজীর ছেলে আব্দুল মোমিন, সদরের কাশেমপুর গ্রামের হাজাম পাড়ার মৃত ঈমান আলীর ছেলে গোলাম রসুল, শহর উপকণ্ঠের কুচপুকুর গ্রামের মৃত ওয়াজেদ আলীর ছেলে গোলাম হোসেন।
বৃহস্পতিবার বিকাল ৪ টা ২১ মিনিটে ডিবি পুলিশ এমামলার প্রধান আসামী আব্দুল হামিদকে তার নিজস্ব কর্মস্থল ইসলামী ব্যাংক কমিউনিটি হাসপাতাল সাতক্ষীরা নারকেলতলাস্থ অফিস থেকে তাকে আটক করে। এ বিষয় হাসপাতাল স্টাফরা জানান বিকাল ৪ টা ২১ মিনিটে ১০ থেকে ১১ জনের ডিবি পুলিশের একটি ফোর্স দুটি গাড়িতে করে তাকে নিয়ে যায়। সাতক্ষীরা ডিবি পুলিশের ওসি জানান,জামায়াতের সাথে সংশ্লিতার অভিযোগে তাকে আটক করা হয়েছে। তবে
যাচাই বাছাই চলছে। হাসপাতালে সিসিটিভির ক্যামেরায় দেখা যায় ডিবিপুলিশের কয়েকজন সদস্য ৪টা ২১মিনিটে তার অফিসে থেকে তাকে নিয়ে যেতে দেখায়। হাসপাতালের পক্ষ থেকে গণমাধ্যমে ডিবিপুলিশ সহ একটি ছবি সরবরাহ করা হয়। পরে ডিবি অফিসে নিয়ে মামলা নরমাল করে দেয়ার নাম করে এক লক্ষ টাকা আদায় করেন আব্দুল হামিদের পরিবারের কাছ থেকে। হাসপাপতালের কয়েকজন স্টাফ ও আব্দুল হামিদের স্ত্রী এমন অভিযোগ করেছে কয়েকজন সাংবাদিকের কাছে। এর পরও আটকেতর কয়েক ঘণ্টা পর গাড়িতে আগুন দেয়ার ঘটনায় তাকে প্রধান আসামী করা হয়েছে। অনেকে বলছে
পুলিশ হেফাজাতে আব্দুল হামিদ কি ভাবে গাড়িতে আগুন দিতে পারে। তবে অর্থ লেনদেনের ঘটনা অস্বীকার করেছে ডিবি পুলিশ।
এছাড়া কলারোয়া থেকে আটক করে আনা কলারোয়ার ধানঘোরা গ্রামের মৃত গরিবুল্যার ছেলে ওমর আল কে এ মামলার দ্বিতীয় নং আসামী করা হয়েছে।
সংশ্লিষ্ট সূত্রানুযায়ী এ মামলায় পলাতক দেখানো হয়েছে আলিপুরের আব্দুস সাত্তার সরদারের ছেলে আব্দুস সবুর, জেলা বিএনপির সহ-সভাপতি আব্দুর রউপ তার ছোট ভাই মোস্তাাফিজুর রহমান ছোট, জেলা বিএনপির সভাপতি রহমত উল্যাহ পলাশ, সাধারণ সম্পাদক তারিকুল হাসান, জেলা যুবদলের সাবেক সাধা
রণ সম্পাদক নাসিম ফারুক খান মিঠু, জেলা যুবদলের বর্তমান সাধারণ সম্পাদক আইনুল ইসলাম নান্টা, ভোমরা ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান ও জেলা কৃষক দলের সিনিয়র সহ-সভাপতি আসাদুল ইসলাম আসাদ, জেলা যুব দলের সভাপতি আবুল হাসান হাদী, লাবসা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ও জেলা বিএনপির সাবেক সাধারণ স
ম্পাদক ও বর্তমানে জেলা বিএনপির সিনিয়র সহ-সভাপতি আব্দুল আলিম এবং জনৈক আল মামুন। এজাহার নামীয় ১৬জন ছাড়াও অজ্ঞাত নামা ৪০/৫০ জনকে আসামী করা হয়েছে এই মামলায়।
এমামলার তদন্তকারি কর্মকর্তা এসআই রফিকুল ইসলাম জানান, আমি শুনেছি আমাকে তদন্তকারি কর্মকর্তা হিসেবে নিযুক্ত করা হয়েছে কিন্তু আমি টহলে থাকায় কোন কপি এখনও হাতে পাইনি। সুতারাং কছিুই বলতে পারছি না।
সাতক্ষীরা সদর থানার অফিসার ইনচার্জ ওসি (ইনটেলিজেন্স) মহিদুল হক মামলার বিষয়ে নিশ্চিত করে বলেন, আসামীদের গ্রেপ্তারের লক্ষ্যে অভিযান অব্যহত আছে। যে কোন সময় এসব আসামীরা আটক হবে। এমামলায়
আসামী করা হয়েছে সাবেক শিবির নেতা ওমর ফারুককে। দেবহাটা সখিপুর ইউনিয়ন পরিষদে জামায়াত সমর্থিত চেয়ারম্যান প্রাথী।