ক্রাইমবার্তা রিপোর্ট:কিশোরগঞ্জের হাওর উপজেলা নিকলীতে পারিবারিক কলহের জের ধরে স্ত্রী ও ভাবিকে গলা কেটে হত্যা করেছে শওকত আলী নামে এক প্রবাসী যুবক। এ ঘটনায় পালানোর সময় এলাকাবাসী শওকতকে আটক করে মারধরের পর পুলিশে দেয়। শুক্রবার ওমান থেকে বাড়ি ফিরে শনিবার এ ঘটনা ঘটান তিনি।
নিহতরা হলেন- উপজেলার গুরুই ইউনিয়নের বড়বাংলা গ্রামের শওকত আলীর স্ত্রী আয়শা আক্তার ও পূর্বপাড়া গ্রামের মোস্তফা মিয়ার স্ত্রী সালমা আক্তার।
পুলিশ জানায়, শনিবার সকাল ১০টার দিকে শওকত আলী তার গর্ভবতী স্ত্রী আয়শা আক্তারকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে গলা কেটে হত্যা করে। এর কিছুক্ষণ পরই তিনি পাশের পূর্বপাড়া গ্রামে শ্বশুরবাড়িতে গিয়ে স্ত্রী আয়শার বড় ভাই মোস্তফা মিয়ার স্ত্রী এক সন্তানের জননী সালমাকেও গলা কেটে হত্যা করেন। এ ঘটনা ঘটিয়ে পালিয়ে যাওয়ার সময় এলাকাবাসী শওকতকে আটক করে পুলিশকে খবর দেয়। খবর পেয়ে বাজিতপুর-নিকলী সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপারসহ পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন।
বাজিতপুর-নিকলী সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার কামাল উদ্দিন যুগান্তরকে বলেন, আপাতত পারিবারিক বিরোধের জের ধরে এ হত্যাকাণ্ড সংঘটিত হয়েছে বলে মনে করা হচ্ছে। তবে ঘাতক শওকতকে জিজ্ঞাসাবাদের মাধ্যমে এ জোড়া খুনের প্রকৃত রহস্য উদঘাটন সম্ভব হবে।