জাহিদ হোসাইন, সাতক্ষীরা প্রতিনিধি: এক গার্মেন্টস শ্রমিকের কষ্টের টাকায় সাতক্ষীরা সদর উপজেলার হাওয়ালখালি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মাঠে সদ্য নির্মিত শহীদ মিনারটি ভেঙ্গে দিয়েছে দূর্বৃত্তরা। রোববার রাতের কোনো এক সময় এ ঘটনাটি ঘটে।
এর আগে শহীদ মিনারটি নির্মাণের সময় ভাঙতে গিয়েছিলেন বাঁশদহা ইউনিয়র যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক নেতা খোরশেদ আলম রিপন। তবে স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরা বাধা দেওয়ায় শহীদ মিনারটি ভাঙতে ব্যর্থ হন ওই যুবলীগ নেতা বলে স্থানীয়রা জানান।
স্থানীয়রা আরো বলেন, এর আগে ওই যুবলীগ নেতা স্থানীয় এক অসহায়ের জমি দখল করে ইউনিয়ন যুবলীগের অফিস নির্মাণ করে। এছাড়া তার নেতৃত্বে ওই বিদ্যালয়ের জমি দখল করে দলীয় অফিস নির্মাণ করছে। যেটি এখনও নির্মানাধীন।
হাওয়ালখালি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক শফিউল ইসলাম বলেন, আসন্ন ২১ ফেব্রয়ারি ছাত্রছাত্রীরা মহান শহীদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস পালনের লক্ষ্যে গার্মেন্টস শ্রমিক আলাউদ্দিন বিদ্যালয় প্রাঙ্গনে শহীদ মিনারটি তৈরি করে দেন। কিন্তু সোমবার সকালে স্কুলে এসে আমরা দেখতে পাই শহীদ মিনারটি কে বা কারা ভাংচুর করেছে ।
বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি শহিদুল ইসলাম বলেন, আলাউদ্দিন স্কুল কর্তৃপক্ষের অনুমতি নিয়ে বিদ্যালয় প্রাঙ্গনে সরকারি জমির এক পাশে শহীদ মিনারটি তৈরি করেছিলেন শহীদ মিনারটি নির্মাণকালে বাধা দিয়েছিলেন যুবলীগ নেতা খোরশেদ আলম রিপন।
এ নিয়ে আলাউদ্দিনের সাথে তার ঝগড়াও হয়েছিল। তবে স্থানীয় চেয়ারম্যান ওই যুবলীগনেতাকে বাধা দেওয়ায় তিনি শহীদ মিনারটি ভাঙতে ব্যর্থ হন। তবে আজ রাতে কে বা কারা শহীদ মিনারটি ভেঙ্গে দিয়েছে।
বাঁশদহা ইউনিয়ন যুবলীগের সভাপতি খোরশেদ আলম রিপন বলেন, কেউ না কেউ এই শহীদ মিনারটি ভেঙেছে। লোকে দোষ দিচ্ছে আমাকে কিন্তু ভাংচুরের সময় আমি ছিলাম বাড়িতে । কারা ভেঙেছে এটি আমার জানা নেই।
অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মেরিনা আক্তার বলেন, বিষয়টি আমি শুনেছি। শহীদ মিনার ভাঙার সাথে যারা জড়িত তদন্ত করে তাদেও বিরুদ্ধে অবশ্যই ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।