নিজস্ব প্রতিনিধি : সাতÿীরা সদর উপজেলার কাথন্ডা গ্রামের এক ব্যক্তির চুক্তি অনুযায়ী বিক্রীত সম্পত্তির দাগ নম্বর না লিখে ভিন্ন দাগ নম্বর বসিয়ে দলিল করার অভিযোগ উঠেছে এক দলিল লেখকের বিরুদ্ধে। বিচারের দাবীতে জেলা রেজিস্ট্রার বরাবর একটি অভিযোগ পত্র জমা দিয়ে ভ‚ক্তভোগী আব্দুল গফফার নামে এক ব্যক্তি। জানা যায় কাথন্ডা গ্রামের মৃত দেদার বক্স মৃধার ছেলে মো. আব্দুল গফফার তার নিজস্ব সম্পত্তি একই এলাকার মৃত কুরবান আলীর স্ত্রী আছিয়া খাতুনের নিকট বিক্রি করার জন্য সাতÿীরা সদর সাব রেজিস্ট্রার অফিসে যায় । চুক্তি অনুযায়ী ১৫ নং কাথন্ডা মৌজায় এস এ ৩৬৪ নং খতিয়ন থেকে ৪৮৯/৫২৪, ৪৯৫/৫০২, ৪৯৯/৫০৩, ৪৯৯/৫০৬ চারটি দাগ হইতে ৮ শতক ও এস.এ ১৩২১ নং খতিয়ন, বি আর এস ২১০ নং খতিয়ন হইতে ৮৯/১০৫ দাগে ৫০ শতকের মধ্যে ২৫ শতকসহ সর্বমোট ৫ দাগে ৩৩ শতক জমি কবলা দলিল করার জন্য চুক্তি অনুযায়ী গত ১৭/১২/২০১৭ ইং তারিখে সাতÿীরা সদর সাব রেজিস্ট্রি অফিসের দলিল লেখক মো. মনিরুল ইসলাম নিকট যায়। কিন্তু চতুর দলিল লেখক অসৎ উদ্দেশ্যে ঘুষখোর মনিরুল ইসলাম বিক্রীতার চুক্তিবদ্ধ দাগ নং ছাড়া পুর্ব থেকে ক্রেতাদের সাথে টাকার বিনিময়ে সুকৌশলে বিক্রেতা আব্দুল গফফারের সম্পত্তি ৩১১ নং দাগের ১ শতক জমি দলিলের ৭ নং কলামে লিখে দেয়। সেখানে সাবেক দাগও উলেøখ করেননি। অথচ আব্দৃুল গফফার ৩১১ নম্বর দাগটি আছিয়া বেগমের নিকট বিক্রয় করেনি। যার দলিল নম্বর ১০৩৯৭, এ বিষয় জানার পর আব্দুল গফফার গত ২৭/১২/২০১৭ ,জেলা রেজিস্ট্রার সাতÿীরা বরাবর দুর্নীতিবাজ দলিল লেখক মনিরুল ইসলম ও ক্রেতা আছিয়া বেগমের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহনের জন্য একটি অভিযোগ পত্র জমা দিয়েছেন। এদিকে দূর্নীতিবাজ দলিল লেখক ও ক্রেতা আছিয়া বেগম ও তার ছেলে সীমান্ত এলকার চিহ্নিত সন্ত্রাসী ইকবাল পিতা মৃত কুরবান আলী, মো. শরিফ-পিতা মাখফুর রহমান, শিমুল পিতা- নাছের আলীসহ সংঘবদ্ধ সন্ত্রাসীরা গত ১৩/০২/১৭ ইং তারিখে অভিযোগ পত্র প্রত্যাহারের জন্য জমির মালিক আব্দুল গফফারের বাড়িতে হামলা চালায়। এবং বাড়ির লোকদের ঘরের ভেতরের জীনিস পত্র বের করার জন্য হুমকি দিয়ে বলে জেলা রেজিস্ট্রার অফিস থেকে অভিযোগ প্রত্যাহার না করলে ঘরে পেট্রোল বোমা মেরে ঘর জালিয়ে দিবো। ভুক্ত ভোগী আরও জানা অভিযোগ না উঠালে আমাকেসহ আমার দুই সন্তানের নামে মিথ্যা মামলা দিয়ে পুলিশে দিবে বলে হুমকি দেয়। জমি বিক্রীতা আব্দুল গফফার জানান অন্যায়ভাবে অসৎ উদ্দেশ্য নিয়ে ৩১১ নং দাগের ১ শতক জমির মধ্যে ৩ টি দোকান ঘর আছে যা দখলের জন্য দলিলে উক্ত দাগটি কুটকৌশলে লিখে দেয়। এসময় তিনি জড়িত ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে তদন্ত পূর্বক ব্যবস্থা নিতে সংশিøষ্ট কতৃপÿের হ¯Íÿে কামনা করেছেন। এ বিষয় দলিল লেখক মনিরুল ইসলাম জানান ঘটনা সঠিক নয়। চেয়ারম্যান থেকে মিল তাল কে দিয়েছে।
Check Also
সাতক্ষীরা শহর শখার ২ নং ওয়ার্ডের উদ্যোগে সভা অনুষ্ঠিত
বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামি সাতক্ষীরা শহর শখার ২ নং ওয়ার্ড (রাজারবাগান ও সরকারপাড়া ইউনিট) এর উদ্যোগে …