ক্রাইমবার্তা রিপোর্ট::মদ্যপ অবস্থায় সাংবাদিকদের সাথে খারাপ আচারণের ঘটনায় সাতক্ষীরায় তোলপাড় শুরু হয়েছে। আজকে স্থানীয় গণমাধ্যম সহ জাতীয় দৈনিকে সাতক্ষীরার এএসপি মেরিনা আক্তারকে নিয়ে সংবাদের শিরোনা হয়েছে।
মধ্যরাতে ওসির কক্ষে ঢুকে সাতক্ষীরার এএসপি সার্কেল মেরিনা আকতার কর্তৃক উপস্থিত সাংবাদিক নেতৃবৃন্দের সাথে অশোভন আচরনের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছে সাতক্ষীরা প্রেসক্লাব।মঙ্গলবার রাতের এ ঘটনায় ক্ষোভ প্রকাশ করে সাতদিনের আলটিমেটাম দিয়ে সাংবাদিক নেতৃবৃন্দ বলেন এর বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা না নেওয়া হলে কঠোর কর্মসূচি দেওয়া হবে।গত মঙ্গলবার রাতে সাতক্ষীরা সদর থানায় ওসির কক্ষে এই অশোভন ও অশালীন এবং বেআইনি ঘটনা ঘটে।
সাংবাদিকরা জানান, সাতক্ষীরা শহরে একজন পুলিশ কনস্টেবলের স্কুল পড়–য়া ছেলেকে নৃশংসভাবে হত্যার ঘটনা সম্পর্কে জানবার জন্য রাতে সাতক্ষীরা প্রেসক্লাব সভাপতি অধ্যক্ষ আবু আহমেদ, সাধারন সম্পাদক আবদুল বারী এবং সাবেক সভাপতি আবুল কালাম আজাদসহ বেশ কয়েকজন সাংবাদিক ওসির সাথে সাক্ষাত করতে থানায় যান। এ সময় ওসি মারুফ আহমেদের অনুপস্থিতিতে তারা সেখানে অপেক্ষা করছিলেন। কিছুক্ষন পর ওসি রুমে আসার পর কথাবার্তার এক পর্যায়ে সাতক্ষীরা সদর সার্কেলের এএসপি মেরিনা আক্তার মদ্যপ অবস্থায় তার কক্ষে প্রবেশ করেন। এ সময় তিনি সাংবাদিক নেতৃবৃন্দের সাথে অশোভন আচরন করে বলেন ‘আপনাদের জন্য কাজ করতে পারছি না। ঠিকমতো তদন্তও করতে পারছি না। এই এদের সরিয়ে রুম খালি করো’। সাংবাদিক নেতৃবৃন্দ তারা অবস্থা দেখে লজ্জিত হয়ে পড়েন। তারা কথা না বাড়িয়ে ওসির কক্ষ ত্যাগ করেন।
এদিকে এ ঘটনার প্রতিবাদ ও নিন্দা জানাতে সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবে বুধবার দুপুরে প্রেসক্লাব সভাপতি অধ্যক্ষ আবু আহমেদের সভাপতিত্বে এক জরুরি সাধারন সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় সাংবাদিকরা ঘটনার নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে বলেন মেরিনা একজন সরকারি কর্মকর্তা হয়ে এ ধরনের বেআইনি কাজ করতে পারেন না। তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা না নেওয়া হলে আরও কঠোর কর্মসূচি দেওয়া হবে বলে সভায় মন্তব্য করেন সাংবাদিকরা।
সাধারন সভায় বক্তব্য রাখেন সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবের সাধারন সম্পাদক আবদুল বারী , সাবেক সভাপতি সুভাষ চৌধুরী , সাবেক সভাপতি আবুল কালাম আজাদ, সাবেক সভাপতি মনিরুল ইসলাম মিনি, প্রথম আলোর কল্যাণ ব্যনার্জি, সাবেক সাধারন সম্পাদক রুহুল কুদ্দুস, যুগ্মসম্পাদক গোলাম সরোয়ার, অর্থ সম্পাদক, মোশাররফ হোসেন, দফতর সম্পাদক আমিনা বিলকিস ময়না, সাংগঠনিক সম্পাদক রবিউল ইসলাম, নির্বাহী সদস্য আমিনুর রশীদ, ইন্ডিপেন্ডেন্ট টিভির আবুল কাসেম, ডিবিসির এম জিল্লুর রহমান, মোহনা টিভির আবদুল জলিল প্রমুখ সাংবাদিক।
এ বিষয়ে সাতক্ষীরা সদর সার্কেলের এএসপি মেরিনা আক্তার বললেন আমার বিরুদ্ধে যে অভিযোগ আনা হয়েছে তা সত্য নয়। যেখানে প্রেসক্লাবের সিনিয়র নেতৃবৃদ্ধ উপস্থিত সেখানে আমি এমন কথা বলতে যাব কেন। আমি ১৩ মাস সাতক্ষীরায় চাকুরি জীবনে আমার দারা কেউ অসম্মান হয়নি। আমি শুধু বলেছি আপনারা বাড়িতে যান তদন্তে যা হয় তাই হবে।
এদিকে সাংবাদিকরা জরুরি সাধারণ সভায় উপস্থিত হন সাতক্ষীরা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মারুফ আহমেদ তিনি অনাঙ্গিত ঘটনার জন্য দুঃখ প্রকাশ করেন। এবং সাংবাদিকদের কোন কর্মসুচি না দেওয়ার অনুরোধ জানান।এ ঘটনটি সম্পর্কে সাতক্ষীরা পুলিশ সুপার সাজ্জাদুর রহমানের কাছে তার ব্যাবহৃত মোবইল ফোনে কল দিলে তিনি রিসিভ করেননি।