আওয়ামী লীগের দৃষ্টি পাঁচ সিটিতে নিরপেক্ষতা ও জয়ের টার্গেট । রাজশাহীতে লিটন সিলেটে কামরান মাঠে, গাজীপুরে আসতে পারে নতুন মুখ

ক্রাইমবার্তা ডেস্করিপোট:  ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের দৃষ্টি এখন পাঁচ সিটি নির্বাচনে। আগামী সংসদ নির্বাচনের আগে এসব সিটিতে ভোটযুদ্ধে জিতে নিজেদের জনপ্রিয়তা অক্ষুণ্ন রয়েছে বলে প্রমাণ করতে চান ক্ষমতাসীনরা। এজন্য প্রতিটি নির্বাচনে জয় ও নিরপেক্ষতা দুটোই চায় আওয়ামী লীগ। একই সঙ্গে সিটি নির্বাচনে ব্যস্ত রেখে বিএনপিকে আন্দোলনের সুযোগ দিতে চায় না সরকারি দল। এদিকে সিটি নির্বাচন সামনে রেখে দলটির কেন্দ্রীয় নেতারা দল বেঁধে ভোটারের কাছে যাচ্ছেন। ইতিমধ্যে সিলেট, বরিশাল সিটিতে নৌকা মার্কায় ভোট চেয়েছেন দলীয় সভানেত্রী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি ২২ ফেব্রুয়ারি রাজশাহী ও ৩ মার্চ যাবেন খুলনায়।

সূত্রমতে, বিএনপি নেত্রীর কারাদণ্ড হওয়ায় বিএনপি এখন রাজনৈতিক ও নৈতিকভাবে দুর্বল হয়ে পড়েছে বলে মনে করেন আওয়ামী লীগ নেতারা। তাদের মতে, এ মুহূর্তে খালেদা জিয়ার মুক্তির জন্য বড় ধরনের কোনো আন্দোলনও গড়ে তোলার শক্তি নেই দলটির। এ ছাড়া সাবেক প্রধানমন্ত্রীর সাজা নিয়ে সরকারের ওপর আন্তর্জাতিকভাবেও কোনো চাপ সৃষ্টি করতে পারেনি বিএনপি। খালেদা জিয়ার মুক্তির বিষয়টি দীর্ঘ সময় লাগতে পারে বলে মনে করেন ক্ষমতাসীনরা। তাই বিএনপির আন্দোলন নিয়ে ভাবছে না সরকার। এসব বিবেচনায় আওয়ামী লীগের দৃষ্টি এখন পাঁচ সিটি করপোরেশন নির্বাচনের দিকে। আগামী মার্চে সিটি নির্বাচন শুরু করা হলে বিএনপিকে নির্বাচনে ব্যস্ত রাখা সম্ভব হবে। সে অনুযায়ী নির্বাচনী ছক তৈরি করছেন ক্ষমতাসীন দলের নীতিনির্ধারকরা। সিটি নির্বাচনে দলীয় প্রার্থীকে বিজয়ী করতে ইতিমধ্যে আওয়ামী লীগ সভানেত্রী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নির্দেশনা দিয়েছেন। একই সঙ্গে সিলেট ও রাজশাহীতে দলীয় প্রার্থীকে গ্রিন সিগন্যাল দেওয়া হয়েছে। সূত্রমতে, আগামী মার্চে সিটি করপোরেশন নির্বাচনের মধ্য দিয়েই কার্যত শুরু হয়ে যাবে একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের উত্তাপ। নির্বাচন কমিশন সূত্রমতে, গাজীপুরে ৮ মার্চ থেকে ৪ সেপ্টেম্বর, সিলেটে ১৩ মার্চ থেকে ৮ সেপ্টেম্বর, খুলনায় ৩০ মার্চ থেকে ২৫ সেপ্টেম্বর, রাজশাহীতে ৯ এপ্রিল থেকে ৫ অক্টোবর, বরিশালে ২৭ এপ্রিল থেকে ২৩ অক্টোবরের মধ্যে নির্বাচন করতে হবে। দলীয় সূত্রমতে, সিটি করপোরেশন নির্বাচনের অভিজ্ঞতা থেকে আগামী সংসদ নির্বাচনের কৌশল প্রণয়ন করবে আওয়ামী লীগ। পাঁচ সিটির ভোটে জানা যাবে আওয়ামী লীগের বর্তমান সাংগঠনিক অবস্থা, প্রতিপক্ষের শক্তি ও কৌশল, মাঠপর্যায়ে প্রশাসনের ভূমিকা বা দক্ষতা। সে অনুযায়ী একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের কৌশল ঠিক করা হবে। তবে আসন্ন সিটি নির্বাচনগুলোয় দলীয় মেয়র প্রার্থীদের জেতা যেমন জরুরি তেমনি নিরপেক্ষতা বজায় রাখাও অপরিহার্য। একদিকে সরকারের ভাবমূর্তি রক্ষা, অন্যদিকে বিশ্বাসযোগ্যতা অটুট রাখা। দলীয় প্রার্থীর বিজয় নিশ্চিত করতে আগেই রাজশাহী ও সিলেট সিটিতে দলীয় মেয়র প্রার্থীকে মাঠে কাজ করার নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। রাজশাহী সিটিতে সাবেক মেয়র এ এইচ এম খায়রুজ্জামান লিটন ও সিলেটে সাবেক মেয়র বদর উদ্দিন আহমদ কামরান কাজ শুরু করেছেন। এদিকে গাজীপুর সিটিতে নতুন মুখকে মনোনয়ন দেওয়ার সম্ভাবনা খুবই বেশি বলে জানা গেছে। দলের যুগ্মসাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট জাহাঙ্গীর কবির নানক বাংলাদেশ প্রতিদিনকে বলেন, ‘বিএনপির আন্দোলন নিয়ে ভাবছি না। জেলা সফরের মাধ্যমে আমরা সরকারের উন্নয়নগুলো তুলে ধরছি। জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে আমরা পাঁচ সিটি নির্বাচনে জয়ী হয়ে আওয়ামী লীগের জনপ্রিয়তা অটুট আছে তা আবারও জানান দিতে চাই।’বাংলাদেশ প্রতিদিন।

Check Also

সেই জল্লাদ শাহজাহান এখন চা বিক্রেতা

কেরানীগঞ্জের গোলামবাজার এলাকার বড় মসজিদের মিনারের পাশেই নতুন চায়ের দোকান দিয়েছেন আলোচিত জল্লাদ শাহজাহান ভূঁইয়া। …

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

***২০১৩-২০২৩*** © ক্রাইমবার্তা ডট কম সকল অধিকার সংরক্ষিত।