ক্রাইমবার্তা রিপোট: দেবহাটার ইছামতি নদী থেকে উদ্ধার হওয়া অজ্ঞাতনামা সাড়ে ৪ বছরের মেয়ে শিশুর লাশের পরিচয় মিলেছে। শুক্রবার বিকালে পুলিশী তদন্তে এই বিষয়ে বিস্তারিত তথ্য পাওয়া গেছে বলে পুলিশ নিশ্চিত করেছে। মেয়েটির বাড়ি ঋিনাইদহ জেলার মহেশপুর থানার যাদবপুর গ্রামে। বৃহষ্পতিবার সাতক্ষীরার কালীগঞ্জ থানা পুলিশ ঐ মেয়েটির মায়ের লাশ উদ্ধার করার পরে বিস্তারিত তথ্য প্রকাশ পায়। পুলিশের দেয়া তথ্য মতে জানা গেছে, গত ১২-০২-১৮ তারিখ সোমবার বিকাল সাড়ে ৫ টার দিকে স্থানীয়রা ইছামতি নদীতে একটি মেয়ে শিশুর লাশ দেখতে পেয়ে পুলিশকে খবর দিলে দেবহাটা থানার ওসি কাজী কামাল হোসেন সহ সঙ্গীয় পুলিশ ফোর্স গিয়ে লাশটি উদ্ধার করেন। এ বিষয়ে দেবহাটা থানায় স্থানীয় গ্রাম পুলিশ বাদী হয়ে একটি ইউডি মামলা দায়ের করেন। পরে গত বৃহষ্পতিবার সাতক্ষীরার কালীগঞ্জে ইছামতি নদী থেকে অজ্ঞাতনামা এক মহিলার লাশ কালীগঞ্জ থানা পুলিশ উদ্ধার করে। লাশের শরীরে বিভিন্ন আঘাতের চিহ্ন থাকায় এ বিষয়ে কালীগঞ্জ থানার এসআই ইসরাফিল হোসেন থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। যার মামলা নং-০৬, তাং- ১৫-০২-১৮ ইং। মামলা পরবর্তী পুলিশ ঐ মহিলার ছবি বিভিন্ন মাধ্যমে দিয়ে তদন্ত শুরু করে। তদন্তে জানা গেছে, মহিলাটির নাম রিবনা আকতার (২২)। সে ঋিনাইদহ জেলার মহেশপুর থানার যাদবপুর গ্রামের মুছা শেখের স্ত্রী। গত কয়েকদিন আগে রিবনা আকতার তার মেয়ে মুন্নী আকতারকে নিয়ে বাড়ি থেকে কাউকে কিছু না বলে চলে আসে। এ বিষয়ে রিবনার স্বামী মুছা শেখ মহেশপুর থানায় গত ১০-০২-১৮ ইং তারিখে একটি সাধারন ডাইরী করেন। কালীগঞ্জ থানার হত্যা মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই সুধাংশু কুমার জানান, কালীগঞ্জ থানায় উদ্ধার হওয়া মহিলার লাশের ছবি ও দেবহাটা থানায় উদ্ধার হওয়া শিশুটির লাশের ছবি তাদের পরিবারের সদস্যরা সনাক্ত করেছে। হত্যার কারন সম্পর্কে তিনি বলেন, বিষয়টি পুলিশ গুরুত্ব দিয়ে তদন্ত করছে। তবে হত্যার বিষয়ে পরকীয়া সংক্রান্ত বিষয় থাকতে পারে বলে তিনি জানান। তবে স্থানীয়দের ধারনা মেয়ে ও মাকে হত্যা করে ইছামতি নদীতে ফেলে দিয়ে ঘাতকরা লাশগুলো গুম করতে চেয়েছিলো।
Check Also
আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল রাষ্ট্রীয় পদে আসীন হচ্ছেন খবরে আসামিপক্ষে শুনানি করেননি সমাজী
জুলাই-আগস্টের গণহত্যা ও মানবতাবিরোধী অপরাধে জড়িত থাকার অভিযোগে গ্রেপ্তার সাবেক ৯ মন্ত্রীসহ ১৩ জনকে আন্তর্জাতিক …